কলঙ্কিত উত্তরাধিকার পরিত্যাগের সময় এসেছে-বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটল, তার জন্য কাউকে লজ্জিত, অনুতপ্ত বা দোষ স্বীকার করতে দেখা যায়নি। কিন্তু দেশবাসী ও ছাত্রসমাজ লজ্জায়, ঘৃণায় নতমুখ হয়ে আছে। পদ নিয়ে কাড়াকাড়িতে বর্বরতা ঘটানোর অধিকার কারও নেই।
তাতে রক্ত ঝরেছে এবং শিক্ষায়তনের পরিবেশ কলঙ্কিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এ রকম পাশবিক হানাহানির জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে দুই দিনের ধর্মঘট ডাকা হলো, তা আসলে কার বিরুদ্ধে কার প্রতিবাদ? এর সঙ্গে বৃহত্তর ছাত্রসমাজের স্বার্থের কী সম্পর্ক? যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শিক্ষা দিবসকে অস্ত্র আর গুলি-বারুদে সন্ত্রস্ত করেছে, তাদের জন্য আরও দুটি শিক্ষা দিবস কেন অচল হয়ে থাকবে?
ছাত্রদলের নেতৃত্বের ক্ষমতার ভাগাভাগি কী প্রক্রিয়ায় হবে, সেটা অবশ্যই ভাবার বিষয়, কিন্তু এর জন্য জনস্থানে শান্তি ভঙ্গের দায়দায়িত্ব অবশ্যই সংগঠনটির নেতৃত্বের। আর আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রতিকারের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, আগের রাত থেকে সন্ত্রাসী মহড়া শুরু হলেও সংঘর্ষ ঘটার আগেই ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তা ঘটতে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকে কেন কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হলো না? ক্যাম্পাসে অর্ধশতাধিক সশস্ত্র বহিরাগত ঢুকল, ৫০টি গুলি ও ২০টি ককটেল ফাটল, আহত হলো ৫০ জন, কিন্তু একজনও গ্রেপ্তার হলো না কেন? কেবল তা-ই নয়, ছাত্রলীগের কিছু কর্মীও ছাত্রদলের বিদ্রোহী গ্রুপকে সক্রিয় মদদ দিয়ে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঘটনার পেছনে ‘ষড়যন্ত্র’ দেখেছেন, ছাত্রদলের নেতারা হামলার দায় ছাত্রলীগকে দিয়েছেন আর বিদ্রোহী গ্রুপ ছাত্রদলের পরিচয়ে হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তাঁদের কারও অবস্থানকেই দায়িত্বশীল মনে হয় না, অনুতাপ তো দূরের কথা। এ রকম অনৈতিক অবস্থান নিয়ে কীভাবে নেতা হওয়া সম্ভব? ইতিহাসের চাকা ঘুরছে, কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের ধারা বদলায়নি। সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ গত এক বছরে দখল-পাল্টা দখলের মচ্ছব করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিকে তাদের হাতে এক ছাত্র নিহতও হয়েছে। ছাত্রদলও তাদের পুরোনো ঐতিহ্য অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে এবং প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের সঙ্গে বারবার সন্ত্রাসে জড়িয়েছে। সোমবার চট্টগ্রামে ছাত্রশিবিরের মেস থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শিবিরের চিরাচরিত সন্ত্রাস-আশ্রয়ী চালচলন প্রকাশিত হয়েছে। ছাত্ররাজনীতির গণতান্ত্রিক ও সংগ্রামী ঐতিহ্য এদের হাতেই ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
দেশের অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ এদের হাতেই জিম্মি। পদ, দখলদারি ইত্যাদি আসলে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অবৈধ ক্ষমতার উপায়। উচ্চপর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা এদের মাধ্যমে দাপটের সুবিধা ভোগ করে থাকেন। এ অবস্থা যতটা অসহনীয় ও লজ্জাকর, প্রতিকারে ততটাই কঠোর ও লক্ষ্যভেদী হওয়া চাই। সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আদালতে বিচারের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা যেতে পারে। এটা করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় পক্ষপাতহীন দক্ষ শিক্ষক-প্রশাসকদের দায়িত্ব দিতে হবে। শিক্ষা ও পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা খুবই জরুরি, তার জন্য দেখতে হবে যাতে রাজনৈতিক চাপ তাদের বিব্রত ও ভীত না করে।
পরিশেষে এটাই বলার আছে যে অনেক হয়েছে, আর নয়। এই কলঙ্কিত উত্তরাধিকার পরিত্যাগের সময় এসেছে।
ছাত্রদলের নেতৃত্বের ক্ষমতার ভাগাভাগি কী প্রক্রিয়ায় হবে, সেটা অবশ্যই ভাবার বিষয়, কিন্তু এর জন্য জনস্থানে শান্তি ভঙ্গের দায়দায়িত্ব অবশ্যই সংগঠনটির নেতৃত্বের। আর আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রতিকারের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, আগের রাত থেকে সন্ত্রাসী মহড়া শুরু হলেও সংঘর্ষ ঘটার আগেই ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তা ঘটতে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকে কেন কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হলো না? ক্যাম্পাসে অর্ধশতাধিক সশস্ত্র বহিরাগত ঢুকল, ৫০টি গুলি ও ২০টি ককটেল ফাটল, আহত হলো ৫০ জন, কিন্তু একজনও গ্রেপ্তার হলো না কেন? কেবল তা-ই নয়, ছাত্রলীগের কিছু কর্মীও ছাত্রদলের বিদ্রোহী গ্রুপকে সক্রিয় মদদ দিয়ে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঘটনার পেছনে ‘ষড়যন্ত্র’ দেখেছেন, ছাত্রদলের নেতারা হামলার দায় ছাত্রলীগকে দিয়েছেন আর বিদ্রোহী গ্রুপ ছাত্রদলের পরিচয়ে হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তাঁদের কারও অবস্থানকেই দায়িত্বশীল মনে হয় না, অনুতাপ তো দূরের কথা। এ রকম অনৈতিক অবস্থান নিয়ে কীভাবে নেতা হওয়া সম্ভব? ইতিহাসের চাকা ঘুরছে, কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের ধারা বদলায়নি। সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ গত এক বছরে দখল-পাল্টা দখলের মচ্ছব করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিকে তাদের হাতে এক ছাত্র নিহতও হয়েছে। ছাত্রদলও তাদের পুরোনো ঐতিহ্য অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে এবং প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের সঙ্গে বারবার সন্ত্রাসে জড়িয়েছে। সোমবার চট্টগ্রামে ছাত্রশিবিরের মেস থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শিবিরের চিরাচরিত সন্ত্রাস-আশ্রয়ী চালচলন প্রকাশিত হয়েছে। ছাত্ররাজনীতির গণতান্ত্রিক ও সংগ্রামী ঐতিহ্য এদের হাতেই ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
দেশের অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ এদের হাতেই জিম্মি। পদ, দখলদারি ইত্যাদি আসলে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অবৈধ ক্ষমতার উপায়। উচ্চপর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা এদের মাধ্যমে দাপটের সুবিধা ভোগ করে থাকেন। এ অবস্থা যতটা অসহনীয় ও লজ্জাকর, প্রতিকারে ততটাই কঠোর ও লক্ষ্যভেদী হওয়া চাই। সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আদালতে বিচারের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা যেতে পারে। এটা করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় পক্ষপাতহীন দক্ষ শিক্ষক-প্রশাসকদের দায়িত্ব দিতে হবে। শিক্ষা ও পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা খুবই জরুরি, তার জন্য দেখতে হবে যাতে রাজনৈতিক চাপ তাদের বিব্রত ও ভীত না করে।
পরিশেষে এটাই বলার আছে যে অনেক হয়েছে, আর নয়। এই কলঙ্কিত উত্তরাধিকার পরিত্যাগের সময় এসেছে।
No comments