পবিত্র কোরআনের আলো-অপরাধ করে যারা তওবা করবে তাদের ক্ষমা করার আশ্বাস
১৬. ওয়াল্লাযা-নি ইয়া'তিইয়া-নিহা মিনকুম ফাআ-যূহুমা-; ফাইন তা-বা ওয়া আসলাহা ফাআ'রিদ্বূ আ'নহুমা; ইন্নাল্লা-হা কা-না তাওয়্যা-বার্ রাহীমা। ১৭. ইন্নামাত্ তাওবাতু আ'লাল্লা-হি লিল্লাযীনা ইয়া'মালূনাছ্ ছূআ বিজাহা-লাতি ছুম্মা ইয়াতূবূনা মিন ক্বারীবিন ফাউলা-ইকা ইয়াতূবুল্লা-হু আ'লাইহিম; ওয়া কা-নাল্লা-হু আ'লীমান হাকীমা।
[সুরা : আন্ নিসা, আয়াত : ১৬-১৭]
অনুবাদ : ১৬. আর তোমাদের মাঝে যে দুজন নর-নারী এ ব্যভিচারের কাজ করবে, তাদের তোমরা শাস্তি প্রদান করবে। এরপর তারা যদি তওবা করে এবং সংশোধন হয়ে যায়, তবে তাদের পেছনে আর লেগে থেকো না (অর্থাৎ তাদের মাফ করে দাও)। অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তওবা কবুলকারী ও পরম দয়ালু।
১৭. আল্লাহ তায়ালা শুধু তাদের তওবাই কবুল করতে পারেন, যারা অজ্ঞতাবশত পাপ কাজ করেছে এবং বোধোদয় হওয়া মাত্র সুপথে ফিরে আসে। এরাই হচ্ছে সেই লোক, যাদের ওপর আল্লাহ তায়ালা দয়াপরবশ হন। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞানী ও কুশলী।
ব্যাখ্যা : এই আয়াত দুটোতে মূলত ব্যভিচারের শাস্তির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে এবং সমাজ যাতে এ ধরনের অনাচারের দিকে না যায় এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। ১৬ নম্বর আয়াতে ব্যভিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট নারী-পুরুষ দুজনকেই সমানভাবে শাস্তি প্রদানের কথা বলা হয়। শাস্তি কী হবে, তা এখানে উল্লেখ করা হয়নি। সুতরাং বোঝা যায়, শাস্তি হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক বা আদালতের রায় অনুযায়ী বা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী। এর আগের আয়াতে নারীকে গৃহবন্দি করে শাস্তি প্রদানের কথা বলা হয়েছে। সেটা এ কারণে যে সমাজে যাতে অশ্লীলতা ছড়িয়ে না পড়ে। সেখানেও অবশ্যই দায়ী পুরুষকেও শাস্তি দিতে হবে। আগের আয়াতে শুধু নারীর কথা বলার মানে পুরুষের অপরাধ গৌণ করে দেখা নয়।
এই আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে, তারা যদি তওবা করে নিজেদের সংশোধন করে নেয়, তবে দীর্ঘকাল তাদের পেছনে লেগে থেকো না। অর্থাৎ সমাজও যেন তাদের ক্ষমা করে দেয়। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, ব্যভিচারের কঠোর শাস্তি প্রদানের লক্ষ্য সমাজকে এ ধরনের অনাচারের কাজ থেকে মুক্ত রাখা। একদিকে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি প্রদান এবং অপরদিকে তওবাকারীদের মাফ করে দেওয়ায় রূপরেখা এখানে তুলে ধরা হয়েছে। কোরআন মজিদে ব্যভিচারের ব্যাপারে অন্যত্র আরো আয়াত নাজিল হয়েছে; সেখানে অবিবাহিতদের জন্য ১০০ বেত্রাঘাত এবং বয়স্কদের জন্য আরো কঠোর শাস্তি দানের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। তবে বর্তমান আয়াত দ্বারা আদালতের রায় এবং দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে শাস্তি প্রদানের রূপরেখাই স্পষ্ট হয়। এখানেও উল্লেখ করা প্রয়োজন, চারজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য ছাড়া ব্যভিচারের জন্য কাউকে দায়ী করা যায় না। আর এর বিচার অবশ্যই অনুষ্ঠিত হতে হবে রাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অধীনে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ১৬. আর তোমাদের মাঝে যে দুজন নর-নারী এ ব্যভিচারের কাজ করবে, তাদের তোমরা শাস্তি প্রদান করবে। এরপর তারা যদি তওবা করে এবং সংশোধন হয়ে যায়, তবে তাদের পেছনে আর লেগে থেকো না (অর্থাৎ তাদের মাফ করে দাও)। অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তওবা কবুলকারী ও পরম দয়ালু।
১৭. আল্লাহ তায়ালা শুধু তাদের তওবাই কবুল করতে পারেন, যারা অজ্ঞতাবশত পাপ কাজ করেছে এবং বোধোদয় হওয়া মাত্র সুপথে ফিরে আসে। এরাই হচ্ছে সেই লোক, যাদের ওপর আল্লাহ তায়ালা দয়াপরবশ হন। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞানী ও কুশলী।
ব্যাখ্যা : এই আয়াত দুটোতে মূলত ব্যভিচারের শাস্তির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে এবং সমাজ যাতে এ ধরনের অনাচারের দিকে না যায় এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। ১৬ নম্বর আয়াতে ব্যভিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট নারী-পুরুষ দুজনকেই সমানভাবে শাস্তি প্রদানের কথা বলা হয়। শাস্তি কী হবে, তা এখানে উল্লেখ করা হয়নি। সুতরাং বোঝা যায়, শাস্তি হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক বা আদালতের রায় অনুযায়ী বা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী। এর আগের আয়াতে নারীকে গৃহবন্দি করে শাস্তি প্রদানের কথা বলা হয়েছে। সেটা এ কারণে যে সমাজে যাতে অশ্লীলতা ছড়িয়ে না পড়ে। সেখানেও অবশ্যই দায়ী পুরুষকেও শাস্তি দিতে হবে। আগের আয়াতে শুধু নারীর কথা বলার মানে পুরুষের অপরাধ গৌণ করে দেখা নয়।
এই আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে, তারা যদি তওবা করে নিজেদের সংশোধন করে নেয়, তবে দীর্ঘকাল তাদের পেছনে লেগে থেকো না। অর্থাৎ সমাজও যেন তাদের ক্ষমা করে দেয়। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, ব্যভিচারের কঠোর শাস্তি প্রদানের লক্ষ্য সমাজকে এ ধরনের অনাচারের কাজ থেকে মুক্ত রাখা। একদিকে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি প্রদান এবং অপরদিকে তওবাকারীদের মাফ করে দেওয়ায় রূপরেখা এখানে তুলে ধরা হয়েছে। কোরআন মজিদে ব্যভিচারের ব্যাপারে অন্যত্র আরো আয়াত নাজিল হয়েছে; সেখানে অবিবাহিতদের জন্য ১০০ বেত্রাঘাত এবং বয়স্কদের জন্য আরো কঠোর শাস্তি দানের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। তবে বর্তমান আয়াত দ্বারা আদালতের রায় এবং দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে শাস্তি প্রদানের রূপরেখাই স্পষ্ট হয়। এখানেও উল্লেখ করা প্রয়োজন, চারজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য ছাড়া ব্যভিচারের জন্য কাউকে দায়ী করা যায় না। আর এর বিচার অবশ্যই অনুষ্ঠিত হতে হবে রাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অধীনে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments