জবরদস্তিমূলক কর্মসূচি পরিহার করুন আর হরতাল চাই না
দলীয় নেতা ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এই সপ্তাহে পর পর দুই দিন হরতাল পালনের পর বিএনপি যে আবারও হরতাল ডাকেনি, তাতে জনসাধারণ আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে আরও কঠোর কর্মসূচির হুমকি অব্যাহত আছে। তাই অস্বস্তি ও আশঙ্কা কাটছে না।
অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে মোট পাঁচ দিনের হরতালের ফল: দেশবাসীর অবনর্ণনীয় দুর্ভোগ, নিত্যপণের মূল্য আরেক দফা বৃদ্ধি, চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ভোগান্তি, ক্ষতি ও হতাশা, জাতীয় অর্থনীতির বিপুল ক্ষয়ক্ষতি, বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার-আত্মগোপন। এই সবকিছু ছাপিয়ে আরও যে অপূরণীয় ক্ষতিটি হয়েছে, তা হলো পাঁচজন মানুষের প্রাণহানি, পাঁচটি পরিবারের মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি। নিহত দরিদ্র সাধারণ মানুষ। কিন্তু এত কিছুর বিনিময়ে বিএনপির অর্জন কী? দুঃখের বিষয়, ইলিয়াস আলীকে এখনো পাওয়া যায়নি। আর রাজনৈতিক রণকৌশলের বিবেচনায় বিএনপির এই আন্দোলনের লক্ষ্য যদি হয় সরকারকে দুর্বল করা, তবে তা-ও কতটুকু অর্জিত হয়েছে, বলা কঠিন। বরং সরকারকে আরও কঠিন দমন-পীড়নের দিকে এগোতে দেখা যাচ্ছে।বিরোধী দল ও সরকার কোনো সমস্যার সমাধানই আলোচনার মাধ্যমে করতে চায় না—আমাদের রাজনীতির এই স্থায়ী সমস্যাটিই অস্থিরতার কারণ। এর মধ্যেও জনসাধারণ যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী জীবন-জীবিকা চালিয়ে নিচ্ছে। এতে যেন আরও বাধাবিঘ্ন, দুর্ভোগ ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি না হয়, সরকার ও বিরোধী দলের উচিত সেই দিকটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখা। বিএনপির কোনো কোনো নেতা স্বীকার করেছেন যে হরতালে জনগণের কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু তবু তাঁদের হরতাল ডাকতেই হচ্ছে। কারণ সরকার তাঁদের দাবি-দাওয়া, প্রতিবাদ ইত্যাদি আমলে নিচ্ছে না। সবচেয়ে ভালো হতো যদি বিরোধী দল সংসদে যোগ দিয়ে তাদের বক্তব্য জোরালোভাবে তুলে ধরত, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করত। একই সঙ্গে সংসদের বাইরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও বাধা নেই। তবে সেই আন্দোলন যেন জনভোগান্তিমূলক, অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর না হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটায়। উচ্চ আদালতও এইচএসসি পরীক্ষার সময় হরতাল আহ্বান নিয়ে কারণ দর্শাতে বলেছেন। সামনে কঠোরতর কর্মসূচির ক্ষেত্রে বিএনপির নেতাদের একটি বিষয় লক্ষ করতে হবে। সেটি হলো, তাঁদের কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের ব্যাপারে আপামর জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া ও মনোভাব কী? সরকারের নানারূপ ব্যর্থতায় জনগণ হতাশ বোধ করলেও বিরোধী দলের জ্বালাও-পোড়াও ধরনের ‘কঠোর কর্মসূচি’র প্রতিও তাদের সায় নেই । ‘কঠোর কর্মসূচি’ মানে যে হরতাল, তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। হরতাল জবরদস্তিমূলক, ত্রাসসঞ্চারী, জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। সাংবিধানিক অর্থে নয়, নৈতিক বিবেচনায় হরতাল পরিহার করা উচিত। আমরা আর হরতাল চাই না।
অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে মোট পাঁচ দিনের হরতালের ফল: দেশবাসীর অবনর্ণনীয় দুর্ভোগ, নিত্যপণের মূল্য আরেক দফা বৃদ্ধি, চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ভোগান্তি, ক্ষতি ও হতাশা, জাতীয় অর্থনীতির বিপুল ক্ষয়ক্ষতি, বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার-আত্মগোপন। এই সবকিছু ছাপিয়ে আরও যে অপূরণীয় ক্ষতিটি হয়েছে, তা হলো পাঁচজন মানুষের প্রাণহানি, পাঁচটি পরিবারের মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি। নিহত দরিদ্র সাধারণ মানুষ। কিন্তু এত কিছুর বিনিময়ে বিএনপির অর্জন কী? দুঃখের বিষয়, ইলিয়াস আলীকে এখনো পাওয়া যায়নি। আর রাজনৈতিক রণকৌশলের বিবেচনায় বিএনপির এই আন্দোলনের লক্ষ্য যদি হয় সরকারকে দুর্বল করা, তবে তা-ও কতটুকু অর্জিত হয়েছে, বলা কঠিন। বরং সরকারকে আরও কঠিন দমন-পীড়নের দিকে এগোতে দেখা যাচ্ছে।বিরোধী দল ও সরকার কোনো সমস্যার সমাধানই আলোচনার মাধ্যমে করতে চায় না—আমাদের রাজনীতির এই স্থায়ী সমস্যাটিই অস্থিরতার কারণ। এর মধ্যেও জনসাধারণ যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী জীবন-জীবিকা চালিয়ে নিচ্ছে। এতে যেন আরও বাধাবিঘ্ন, দুর্ভোগ ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি না হয়, সরকার ও বিরোধী দলের উচিত সেই দিকটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখা। বিএনপির কোনো কোনো নেতা স্বীকার করেছেন যে হরতালে জনগণের কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু তবু তাঁদের হরতাল ডাকতেই হচ্ছে। কারণ সরকার তাঁদের দাবি-দাওয়া, প্রতিবাদ ইত্যাদি আমলে নিচ্ছে না। সবচেয়ে ভালো হতো যদি বিরোধী দল সংসদে যোগ দিয়ে তাদের বক্তব্য জোরালোভাবে তুলে ধরত, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করত। একই সঙ্গে সংসদের বাইরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও বাধা নেই। তবে সেই আন্দোলন যেন জনভোগান্তিমূলক, অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর না হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটায়। উচ্চ আদালতও এইচএসসি পরীক্ষার সময় হরতাল আহ্বান নিয়ে কারণ দর্শাতে বলেছেন। সামনে কঠোরতর কর্মসূচির ক্ষেত্রে বিএনপির নেতাদের একটি বিষয় লক্ষ করতে হবে। সেটি হলো, তাঁদের কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের ব্যাপারে আপামর জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া ও মনোভাব কী? সরকারের নানারূপ ব্যর্থতায় জনগণ হতাশ বোধ করলেও বিরোধী দলের জ্বালাও-পোড়াও ধরনের ‘কঠোর কর্মসূচি’র প্রতিও তাদের সায় নেই । ‘কঠোর কর্মসূচি’ মানে যে হরতাল, তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। হরতাল জবরদস্তিমূলক, ত্রাসসঞ্চারী, জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। সাংবিধানিক অর্থে নয়, নৈতিক বিবেচনায় হরতাল পরিহার করা উচিত। আমরা আর হরতাল চাই না।
No comments