বার্থ এসফেকসিয়া-গোল্ডেন মিনিটেই ঝরে যায় ২৯ হাজার নবজাতক by তৌফিক মারুফ
উপযুক্ত পরিচর্যা ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার অভাবে স্বাভাবিক-ভাবে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে বা বার্থ এসফেকসিয়ার শিকার হয়ে জন্মের পর প্রথম মিনিটেই বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২৯ হাজার নবজাতকের অকালমৃত্যু ঘটে। বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রসবের সময় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী বা পরিচর্যাকারীদের পর্যাপ্ত দক্ষতা ও প্রয়োজনমতো কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস
যন্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এ মৃত্যু সহজেই রোধ করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে 'দ্য গোল্ডেন মিনিট'-এর জন্য অবশ্যই কার্যকর ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা জরুরি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বার্থ এসফেকসিয়ায় প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১০ লাখ শিশু মারা যায়, যা প্রতিবছর বিশ্বে এইডস ও ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর মোট সংখ্যার চেয়েও বেশি। বাংলাদেশে পাঁচ বছর বয়সের নিচের যেসব শিশুর মৃত্যু হয় এর মধ্যে ৫৭ শতাংশ বা প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার শিশু মারা যায় জন্মের ২৮ দিনের মধ্যে। এদের এক-চতুর্থাংশ বা প্রায় ২৯ হাজার নবজাতক বার্থ এসফেকসিয়ায় আক্রান্ত।
বাংলাদেশে হেল্পিং বেবিস ব্রিদ প্রকল্পের পরিচালক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে জানান, কোনো নবজাতক বার্থ এসফেকসিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়লেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলে যায়। এর পরও পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া গেলে শিশুর জীবন রক্ষা করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রসবকালীন স্বাস্থ্যকর্মীর দক্ষতা অপরিহার্য।
বিশেষজ্ঞ জানান, বার্থ এসফেকসিয়া রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণও খুব জরুরি। এ প্রক্রিয়া শুরু হয় ওই শিশুর মা-বাবার বিয়ের সময় থেকে। বিশেষ করে পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বিয়ে কিংবা সন্তান ধারণ করা (১৮ বছরের আগে) অথবা বেশি বয়সে সন্তান ধারণ করার (৩৫ বছরের পর) কারণেও এ সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া গর্ভকালীন মায়ের উপযুক্ত পুষ্টি নিশ্চিত না করা, যথেষ্ট বিশ্রাম না নেওয়া, অতিরিক্ত রক্তশূন্যতা কিংবা নিয়মিত চেকআপ না করার কারণে নবজাতক সহজেই বার্থ এসফেকসিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রির্সাচ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. এম এ রশিদ কালের কণ্ঠকে জানান, দেশে বড়দের হৃদরোগ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার যতটা অগ্রগতি হয়েছে শিশুদের হৃদরোগের বিষয়টি এখনো ততটা এগোতে পারেনি। এ অবস্থার আরো উন্নতি প্রয়োজন।
চিকিৎসকরা জানান, বার্থ এসফেকসিয়ায় আক্রান্ত নবজাতককে রক্ষার জন্য এখন বিশ্বব্যাপী হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ (এইচবিবি) নামের একটি কার্যকর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউএসএইড, সেভিং নিউবর্ন লাইভস, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টসহ আরো কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় আমেরিকান একাডেমী অব পেডিয়াট্রিক্সের (এএপি) উদ্যোগে ওই হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশেও এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির (বিএসএমএমইউ) মাধ্যমে।
ইউএসএইড সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে ২০১০ সালে মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ইমপ্লিমেন্টেশন প্রোগ্রাম-এমচিপের সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে একটি গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ প্রটোকল কমিউনিটি এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যায়ে প্রসবকালীন স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য খুবই সহায়ক ও প্রয়োজনীয় একটি ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে সরকার দেশে 'শিশুদের শ্বাস গ্রহণে সহায়তা' কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। গত ১০ এপ্রিল এ কর্মসূচির জন্য ইউএসএইড এবং বিএসএমএমইউর মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এ কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশের ২০ হাজারের বেশি ধাত্রীকে প্রশিক্ষণ দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিকে আগামী তিন বছরে ১৪ কোটি ডলার দেবে ইউএসএইড। বাংলাদেশে হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বিএসএমএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
সেভ দ্য চিলড্রেন (ইউএস) মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ইমপ্লিমেন্টেশন প্রোগ্রাম-এমচিপের বাংলাদেশ প্রধান ডা. ইশতিয়াক মান্নান জানান, জন্মের এক মিনিটের মধ্যেই কোনো নবজাতক স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে না পারলে দ্রুত বিশেষ মাস্কের সাহায্যে তার কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আগে প্রয়োজন ওই শিশুকে জন্মের পর পরই ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা। এ জন্য অবশ্যই প্রসবকাজে নিয়োজিত চিকিৎসক বা প্রসবকর্মীর উপযুক্ত দক্ষতা থাকা জরুরি। এ ছাড়া দ্রুত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ দেওয়া ও মায়ের স্পর্শের মাধ্যমে শিশুকে উদ্দীপ্ত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে শিশু কিভাবে সহজে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে তা উপস্থিত পরিচর্যাকারীকে শিখিয়ে দিতে হবে। এ জন্য হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ কার্যক্রম খুবই কার্যকর।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে নবজাতক শিশুর পরিচর্যায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা এনআইসিইউ চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পরিধি আরো বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত এই ইউনিট বা বেডের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর জানান, সরকার নবজাতকের মৃত্যু রোধসহ মাতৃমৃত্যু রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দিন দিন এর পরিধি আরো বাড়ছে। ফলে মাতৃ ও শিশুর মৃত্যুর হার আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বার্থ এসফেকসিয়ায় প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১০ লাখ শিশু মারা যায়, যা প্রতিবছর বিশ্বে এইডস ও ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর মোট সংখ্যার চেয়েও বেশি। বাংলাদেশে পাঁচ বছর বয়সের নিচের যেসব শিশুর মৃত্যু হয় এর মধ্যে ৫৭ শতাংশ বা প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার শিশু মারা যায় জন্মের ২৮ দিনের মধ্যে। এদের এক-চতুর্থাংশ বা প্রায় ২৯ হাজার নবজাতক বার্থ এসফেকসিয়ায় আক্রান্ত।
বাংলাদেশে হেল্পিং বেবিস ব্রিদ প্রকল্পের পরিচালক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে জানান, কোনো নবজাতক বার্থ এসফেকসিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়লেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলে যায়। এর পরও পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া গেলে শিশুর জীবন রক্ষা করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রসবকালীন স্বাস্থ্যকর্মীর দক্ষতা অপরিহার্য।
বিশেষজ্ঞ জানান, বার্থ এসফেকসিয়া রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণও খুব জরুরি। এ প্রক্রিয়া শুরু হয় ওই শিশুর মা-বাবার বিয়ের সময় থেকে। বিশেষ করে পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বিয়ে কিংবা সন্তান ধারণ করা (১৮ বছরের আগে) অথবা বেশি বয়সে সন্তান ধারণ করার (৩৫ বছরের পর) কারণেও এ সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া গর্ভকালীন মায়ের উপযুক্ত পুষ্টি নিশ্চিত না করা, যথেষ্ট বিশ্রাম না নেওয়া, অতিরিক্ত রক্তশূন্যতা কিংবা নিয়মিত চেকআপ না করার কারণে নবজাতক সহজেই বার্থ এসফেকসিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রির্সাচ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. এম এ রশিদ কালের কণ্ঠকে জানান, দেশে বড়দের হৃদরোগ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার যতটা অগ্রগতি হয়েছে শিশুদের হৃদরোগের বিষয়টি এখনো ততটা এগোতে পারেনি। এ অবস্থার আরো উন্নতি প্রয়োজন।
চিকিৎসকরা জানান, বার্থ এসফেকসিয়ায় আক্রান্ত নবজাতককে রক্ষার জন্য এখন বিশ্বব্যাপী হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ (এইচবিবি) নামের একটি কার্যকর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউএসএইড, সেভিং নিউবর্ন লাইভস, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টসহ আরো কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় আমেরিকান একাডেমী অব পেডিয়াট্রিক্সের (এএপি) উদ্যোগে ওই হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশেও এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির (বিএসএমএমইউ) মাধ্যমে।
ইউএসএইড সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে ২০১০ সালে মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ইমপ্লিমেন্টেশন প্রোগ্রাম-এমচিপের সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে একটি গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ প্রটোকল কমিউনিটি এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যায়ে প্রসবকালীন স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য খুবই সহায়ক ও প্রয়োজনীয় একটি ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে সরকার দেশে 'শিশুদের শ্বাস গ্রহণে সহায়তা' কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। গত ১০ এপ্রিল এ কর্মসূচির জন্য ইউএসএইড এবং বিএসএমএমইউর মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এ কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশের ২০ হাজারের বেশি ধাত্রীকে প্রশিক্ষণ দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিকে আগামী তিন বছরে ১৪ কোটি ডলার দেবে ইউএসএইড। বাংলাদেশে হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বিএসএমএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
সেভ দ্য চিলড্রেন (ইউএস) মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ইমপ্লিমেন্টেশন প্রোগ্রাম-এমচিপের বাংলাদেশ প্রধান ডা. ইশতিয়াক মান্নান জানান, জন্মের এক মিনিটের মধ্যেই কোনো নবজাতক স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে না পারলে দ্রুত বিশেষ মাস্কের সাহায্যে তার কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আগে প্রয়োজন ওই শিশুকে জন্মের পর পরই ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা। এ জন্য অবশ্যই প্রসবকাজে নিয়োজিত চিকিৎসক বা প্রসবকর্মীর উপযুক্ত দক্ষতা থাকা জরুরি। এ ছাড়া দ্রুত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ দেওয়া ও মায়ের স্পর্শের মাধ্যমে শিশুকে উদ্দীপ্ত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে শিশু কিভাবে সহজে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে তা উপস্থিত পরিচর্যাকারীকে শিখিয়ে দিতে হবে। এ জন্য হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ কার্যক্রম খুবই কার্যকর।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে নবজাতক শিশুর পরিচর্যায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা এনআইসিইউ চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পরিধি আরো বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত এই ইউনিট বা বেডের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর জানান, সরকার নবজাতকের মৃত্যু রোধসহ মাতৃমৃত্যু রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দিন দিন এর পরিধি আরো বাড়ছে। ফলে মাতৃ ও শিশুর মৃত্যুর হার আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।
No comments