নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২৮ মে-ট্রাইব্যুনাল-২ থেকেও শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেলেন আলীম
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। একই কারণে এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-ও তাঁকে জামিন দিয়েছিলেন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কি না, এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২৮ মে দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল-১।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ গতকাল আলীমের উপস্থিতিতে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, আসামির শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাঁকে জামিন দেওয়া হলো। তবে তাঁকে কয়েকটি শর্ত মানতে হবে। শর্তের মধ্যে রয়েছে: তাঁর পাসপোর্ট ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে, বনানীতে (জামিনের আবেদনে উল্লেখ করা ঠিকানা) ছেলে ফয়সল আলীমের বাসায় থাকতে হবে, কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা বা গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া যাবে না, তদন্ত সংস্থাকে সহযোগিতা করতে হবে, জরুরি যোগাযোগের জন্য মুঠোফোনের নম্বর দিতে হবে, ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ছাড়া জয়পুরহাটে যাওয়া যাবে না প্রভৃতি। শর্তগুলোর মধ্যে কোনোটি ভঙ্গ হলে জামিন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হবে।
গত বছরের ২৭ মার্চ আলীমকে তাঁর জয়পুরহাটের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ৩১ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-১ তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেন। আলীমের বিরুদ্ধে মামলাটি চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করেন ট্রাইব্যুনাল-১। এ জন্য তাঁর আইনজীবী ট্রাইব্যুনাল-২-এ নতুন করে জামিনের আবেদন করেন।
গতকাল জামিনের আবেদনের শুনানিতে আলীমের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনাল-১ আসামিকে যেসব শর্তে জামিন দিয়েছিলেন, তিনি কখনো সেগুলোর অপব্যবহার করেননি। আসামি শারীরিকভাবে অক্ষম, অন্যের সাহায্য ও হুইল চেয়ার ছাড়া চলাচল করতে পারেন না। তাঁর পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।
আলীমের জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নূরজাহান মুক্তা বলেন, ট্রাইব্যুনাল-১ আসামিকে তদন্ত পর্যায়ে জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তাঁর বিচার শুরু হতে যাচ্ছে। আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের গভীরতা বিবেচনা করলে তাঁকে জামিন দেওয়া যায় না। এ ছাড়া আসামি হেফাজতে থাকলে তাঁর নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া ও তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা সহজ হবে। বিগত দিনে তিনি হরতালের জন্য ট্রাইব্যুনালে আসতে পারেননি।
এরপর ট্রাইব্যুনাল আদেশ দেন।
পরে তাজুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়ে আসামিপক্ষের শুনানি দুই-এক দিনের জন্য মুলতবির আরজি জানান। তিনি বলেন, আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন প্রস্তুত শেষ হয়নি। এ সময় ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে আবদুল আলীম বলেন, মামলার বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে তাঁর কিছু সময় দরকার। শারীরিক অবস্থার কারণে তাঁকে জামিন দেওয়ায় তিনি ট্রাইব্যুনালের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম মুলতবি আবেদনের বিরোধিতা করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগের বিষয়ে আসামিপক্ষের শুনানির জন্য ৭ মে দিন ধার্য করেন।
নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২৮ মে: বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি হয়। আসামির কাঠগড়ায় নিজামীর উপস্থিতিতে আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ থেকে নিজামীকে অব্যাহতি দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেন। তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো স্পষ্ট নয়। এসব অভিযোগে সত্যতার অভাব আছে। এটা সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে যে ট্রাইব্যুনালস আইনের ৩(২)(এ) ধারায় কোন ধরনের অপরাধের অভিযোগ আসামির বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক অভিযোগে ৩(২)(এ) ধারায় অভিযোগ আনা হলেও অপরাধের ধরন উল্লেখ করা হয়নি।
শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করা হবে কি না, সে বিষয়ে আদেশের জন্য ২৮ মে দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। নিজামীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদনের ওপরও ওই দিন আদেশ দেওয়া হবে।
সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্বোধনী বক্তব্য শুরু: বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল সাক্ষ্য গ্রহণের উদ্বোধনী বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম। আসামির কাঠগড়ায় সাকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে কৌঁসুলি তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পটভূমি ও রাজনৈতিক পরিবেশের বিবরণ দেন। ৭ মে রাষ্ট্রপক্ষ উদ্বোধনী বক্তব্যের বাকি অংশ উপস্থাপন করবে।
কাদের মোল্লার অভিযোগের বিষয়ে শুনানি ৭ মে: আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগের বিষয়ে শুনানির জন্য ৭ মে পুনর্নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল-২।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ গতকাল আলীমের উপস্থিতিতে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, আসামির শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাঁকে জামিন দেওয়া হলো। তবে তাঁকে কয়েকটি শর্ত মানতে হবে। শর্তের মধ্যে রয়েছে: তাঁর পাসপোর্ট ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে, বনানীতে (জামিনের আবেদনে উল্লেখ করা ঠিকানা) ছেলে ফয়সল আলীমের বাসায় থাকতে হবে, কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা বা গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া যাবে না, তদন্ত সংস্থাকে সহযোগিতা করতে হবে, জরুরি যোগাযোগের জন্য মুঠোফোনের নম্বর দিতে হবে, ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ছাড়া জয়পুরহাটে যাওয়া যাবে না প্রভৃতি। শর্তগুলোর মধ্যে কোনোটি ভঙ্গ হলে জামিন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হবে।
গত বছরের ২৭ মার্চ আলীমকে তাঁর জয়পুরহাটের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ৩১ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-১ তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেন। আলীমের বিরুদ্ধে মামলাটি চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করেন ট্রাইব্যুনাল-১। এ জন্য তাঁর আইনজীবী ট্রাইব্যুনাল-২-এ নতুন করে জামিনের আবেদন করেন।
গতকাল জামিনের আবেদনের শুনানিতে আলীমের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনাল-১ আসামিকে যেসব শর্তে জামিন দিয়েছিলেন, তিনি কখনো সেগুলোর অপব্যবহার করেননি। আসামি শারীরিকভাবে অক্ষম, অন্যের সাহায্য ও হুইল চেয়ার ছাড়া চলাচল করতে পারেন না। তাঁর পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।
আলীমের জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নূরজাহান মুক্তা বলেন, ট্রাইব্যুনাল-১ আসামিকে তদন্ত পর্যায়ে জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তাঁর বিচার শুরু হতে যাচ্ছে। আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের গভীরতা বিবেচনা করলে তাঁকে জামিন দেওয়া যায় না। এ ছাড়া আসামি হেফাজতে থাকলে তাঁর নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া ও তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা সহজ হবে। বিগত দিনে তিনি হরতালের জন্য ট্রাইব্যুনালে আসতে পারেননি।
এরপর ট্রাইব্যুনাল আদেশ দেন।
পরে তাজুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়ে আসামিপক্ষের শুনানি দুই-এক দিনের জন্য মুলতবির আরজি জানান। তিনি বলেন, আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন প্রস্তুত শেষ হয়নি। এ সময় ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে আবদুল আলীম বলেন, মামলার বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে তাঁর কিছু সময় দরকার। শারীরিক অবস্থার কারণে তাঁকে জামিন দেওয়ায় তিনি ট্রাইব্যুনালের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম মুলতবি আবেদনের বিরোধিতা করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগের বিষয়ে আসামিপক্ষের শুনানির জন্য ৭ মে দিন ধার্য করেন।
নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২৮ মে: বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি হয়। আসামির কাঠগড়ায় নিজামীর উপস্থিতিতে আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ থেকে নিজামীকে অব্যাহতি দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেন। তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো স্পষ্ট নয়। এসব অভিযোগে সত্যতার অভাব আছে। এটা সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে যে ট্রাইব্যুনালস আইনের ৩(২)(এ) ধারায় কোন ধরনের অপরাধের অভিযোগ আসামির বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক অভিযোগে ৩(২)(এ) ধারায় অভিযোগ আনা হলেও অপরাধের ধরন উল্লেখ করা হয়নি।
শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করা হবে কি না, সে বিষয়ে আদেশের জন্য ২৮ মে দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। নিজামীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদনের ওপরও ওই দিন আদেশ দেওয়া হবে।
সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্বোধনী বক্তব্য শুরু: বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল সাক্ষ্য গ্রহণের উদ্বোধনী বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম। আসামির কাঠগড়ায় সাকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে কৌঁসুলি তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পটভূমি ও রাজনৈতিক পরিবেশের বিবরণ দেন। ৭ মে রাষ্ট্রপক্ষ উদ্বোধনী বক্তব্যের বাকি অংশ উপস্থাপন করবে।
কাদের মোল্লার অভিযোগের বিষয়ে শুনানি ৭ মে: আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগের বিষয়ে শুনানির জন্য ৭ মে পুনর্নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল-২।
No comments