মূল রচনা-‘তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে আসছি’ by মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী

স্যামসন এইচ চৌধুরীর অনেক পরে আমি ব্যবসায় এসেছি—১৯৮২ সালে। আর তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। কিন্তু পরিচয়ের পর থেকেই আমি তাঁর আদর্শগুলো অনুসরণ করে আসছি। যখনই কোনো সমস্যায় পড়তাম, তাঁর কাছে উপদেশের জন্য যেতাম। অকুণ্ঠচিত্তে তিনি যে উপদেশ দিতেন, আমি সেগুলো মানতাম। আমাদের মধ্যে পারিবারিক হূদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কও ছিল। আমরা একসঙ্গে অনেক দিন মেট্রো চেম্বারে কাজ করেছি।


মহান উদ্যোক্তা হিসেবে স্যামসন এইচ চৌধুরী এ দেশে বিরাট দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। ওষুধশিল্পে তিনি ছিলেন অগ্রপথিক। জাতীয় জীবনে কর্মসংস্থান খুব দরকার। আমরা সব সময়ই বেকারত্ব দূর করার চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছি। এ বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে তাঁর অবদান অনেক। তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কয়ার শিল্পগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার লোকের কাজের সংস্থান হচ্ছে। একজন মানুষের যদি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যগুলো অর্জিত হয়, তাহলে আর কী লাগে? স্বীকার করতে কোনো দ্বিধা নেই, স্কয়ার শিল্পগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের অন্যতম উত্তম প্রতিষ্ঠান। এটা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা, কার্যক্রম, পণ্যের গুণগত মান ইত্যাদির কারণে। আর এসব বিষয়ে স্যামসন এইচ চৌধুরীর কোনো আপস ছিল না।
দুর্ভাগ্য, এ দেশে গুণী মানুষকে সম্মান দেওয়ার অভ্যাস খুব কম। অথচ শিল্পোদ্যোক্তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে আরও সম্মান দেওয়া উচিত।

No comments

Powered by Blogger.