দুর্বৃত্তদের কঠোর হাতে দমন করুন-পুলিশের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলা
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর পরের দিন রাজধানী ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর যারা অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে, তাদের পরিচয় রাজনৈতিক হলেও আচরণটি দুর্বৃত্তের।
জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশের একজন টহল পরিদর্শক, একটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে আহত করেছেন, গুলিসহ একটি পিস্তল ছিনিয়ে নিয়েছেন এবং পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালিয়েছেন। হামলার শিকার পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার বিবরণ থেকে এটা পরিষ্কার যে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বিনা প্ররোচনায়, বলতে গেলে নিরর্থকভাবে অতর্কিতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ওপর চড়াও হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওই রকম চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে তাঁরা কী ফায়দা লুটতে চেয়েছেন, আমরা জানি না। কিন্তু আমরা নিশ্চিত জানি, দুর্বৃত্তপনায় বাহাদুরি তাঁদের নিজেদের জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গোলাম আযমসহ জামায়াতের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে; আইনানুগভাবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই আইনি প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জামায়াত-শিবির জানাতেই পারে। কিন্তু সেটা হতে হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে। তা না করে তারা বৃহস্পতিবার পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। জামায়াত-শিবির কি তাদের পেশিশক্তি প্রদর্শন করে যুদ্ধাপরাধের বিচার-প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার স্বপ্ন দেখছে?
পুলিশ জামায়াত-শিবিরের কয়েকজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে; কিন্তু যে পিস্তলটি খোয়া গেছে তা উদ্ধার করতে পারেনি। সেটি উদ্ধার করা একান্তই প্রয়োজন। যারা সেদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর সুপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে, তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরও এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। কারণ, দলীয় সাংগঠনিক পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া এ রকম ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম; আর যদি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরেই তা ঘটে থাকে, তাহলে যারা তা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দলের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্য এ ধরনের দুর্বৃত্তপনা অত্যন্ত কঠোর হাতে দমন করা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গোলাম আযমসহ জামায়াতের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে; আইনানুগভাবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই আইনি প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জামায়াত-শিবির জানাতেই পারে। কিন্তু সেটা হতে হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে। তা না করে তারা বৃহস্পতিবার পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। জামায়াত-শিবির কি তাদের পেশিশক্তি প্রদর্শন করে যুদ্ধাপরাধের বিচার-প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার স্বপ্ন দেখছে?
পুলিশ জামায়াত-শিবিরের কয়েকজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে; কিন্তু যে পিস্তলটি খোয়া গেছে তা উদ্ধার করতে পারেনি। সেটি উদ্ধার করা একান্তই প্রয়োজন। যারা সেদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর সুপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে, তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরও এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। কারণ, দলীয় সাংগঠনিক পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া এ রকম ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম; আর যদি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরেই তা ঘটে থাকে, তাহলে যারা তা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দলের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্য এ ধরনের দুর্বৃত্তপনা অত্যন্ত কঠোর হাতে দমন করা।
No comments