ডবএনপি : গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা-ঐক্যের গান শোনা যাচ্ছে
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অন্যতম নেতা ও জেলা কমিটির সহসভাপতি ফারুক আহম্মেদ বলেন, গোবিন্দগঞ্জে বিএনপিতে কোনো রকম বিভেদ-বিভক্তি নেই। দলীয় কর্মকাণ্ড ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে নেতা-কর্মীরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত এভাবে কাজ করা গেলে ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টি হবে। যা নির্বাচনে বিপুল প্রভাব ফেলবে। সরেজমিন গোবিন্দগঞ্জ ঘুরে তাঁর এ কথার সত্যতা মিলেছে।
পৌর শহরের পশ্চিম চৌমাথা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়েও দেখা গেছে নেতা-কর্মীদের ভিড়। উপজেলা বিএনপির সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রভাব প্রতিপত্তির মধ্যেও বিএনপি ধীরে ধীরে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। ২০০১ সালে জাতীয় পার্টির বিশাল ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত গাইবান্ধা-৪ গোবিন্দগঞ্জ আসনে বিএনপির এম এ মোত্তালিব আকন্দ বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে তাঁরই ছেলে শামিম কায়সার লিংকন এমপি নির্বাচিত হন। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে কিছু দিনের জন্য স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা নেমে আসে। এ সময় শামিম কায়সার লিংকন দলের সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার সঙ্গে সংস্কারপন্থী হওয়ায় পরবর্তী সময়ে তাঁকে দল থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে বহিষ্কার করা হয়। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি হয়। উপজেলা বিএনপি নেতাদের দাবি বিপুল জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও ওই সংকটের ফলেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে গোবিন্দগঞ্জের আসনে বিএনপির প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। জেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম চারদলীয় জোটগতভাবে ওই আসনে প্রার্থী হন। ধানে শীষ প্রতীক নির্বাচনের মাঠে না থাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয় সহজসাধ্য হয়।
এরপর থেকেই ঘুড়ে দাঁড়াতে শুরু করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। বর্তমান সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক ফারুক কবীর আহমেদ, রেজানুল হাবীব, ফারুক আহমেদ প্রমুখ ত্যাগী নেতাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিএনপি তাদের আগের অবস্থানে ফিরে আসে। তৃণমূল পর্যায়ের কাউন্সিল শেষে ২০০৯ সালের ৯ ডিসেম্বর গোবিন্দগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শাখাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান মণ্ডল সভাপতি ও গুমানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক কবীর আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দলীয় শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে পৌর বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ প্রার্থী হন। তিনি পরাজিত হলেও উল্লেখযোগ্য ভোট পান। এ ছাড়া ইউপি নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থীরা প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করেছেন।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, আগামী সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৪ গোবিন্দগঞ্জ আসনে তাঁরা বিএনপি প্রার্থীকে দেখতে চান। দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক কবীর আহমেদ জানান, নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে গোবিন্দগঞ্জে ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী নয়, জয়লাভের জন্য বিএনপির প্রার্থীই ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কোনোভাবেই ওই আসনের দাবি ছাড়া হবে না।
এরপর থেকেই ঘুড়ে দাঁড়াতে শুরু করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। বর্তমান সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক ফারুক কবীর আহমেদ, রেজানুল হাবীব, ফারুক আহমেদ প্রমুখ ত্যাগী নেতাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিএনপি তাদের আগের অবস্থানে ফিরে আসে। তৃণমূল পর্যায়ের কাউন্সিল শেষে ২০০৯ সালের ৯ ডিসেম্বর গোবিন্দগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শাখাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান মণ্ডল সভাপতি ও গুমানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক কবীর আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দলীয় শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে পৌর বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ প্রার্থী হন। তিনি পরাজিত হলেও উল্লেখযোগ্য ভোট পান। এ ছাড়া ইউপি নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থীরা প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করেছেন।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, আগামী সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৪ গোবিন্দগঞ্জ আসনে তাঁরা বিএনপি প্রার্থীকে দেখতে চান। দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক কবীর আহমেদ জানান, নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে গোবিন্দগঞ্জে ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী নয়, জয়লাভের জন্য বিএনপির প্রার্থীই ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কোনোভাবেই ওই আসনের দাবি ছাড়া হবে না।
No comments