পুলিশের ওপর হামলা-সারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা
রাজধানীতে আবারও জামায়াত-শিবিরের অতর্কিত হামলায় আহত হয়েছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। খোয়া গেছে গুলিসহ পুলিশের অস্ত্র। পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী আক্রমণ আকস্মিক হলেও এটা যে পরিকল্পিত আক্রমণ তা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠালে জামায়াত পরদিন 'প্রতিবাদ দিবস' পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। রাজনৈতিক দলগুলোর যেকোনো কর্মসূচি পালনের জন্য স্থান-কাল নির্দিষ্ট থাকে। কিন্তু জামায়াতের প্রতিবাদ দিবস পালনের কোনো নির্দিষ্ট স্থান বা সময় দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায়, বিচ্ছিন্নভাবে হলেও পূর্বনির্ধারিত ও পরিকল্পিতভাবে 'কিছু একটা' করে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল জামায়াত-শিবির। পুলিশের ওপর হামলা সেই পূর্বপরিকল্পনারই অংশ। হামলার পর গণমাধ্যমের কাছে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যেই জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। এই পরিকল্পনার সন্দেহ একেবারেই অমূলক নয়। তা ছাড়া এমন ঘটনা এটাই প্রথম নয়। কিছুদিন আগেও রাজধানীতে পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল জামায়াত-শিবির চক্র। এ ছাড়া কিছুদিন পর পরই জামায়াতের অফিসসহ সারা দেশে জামায়াত-শিবির সদস্যদের কাছ থেকে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
এটা মানতেই হবে, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল জামায়াত। তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল। সেই অপরাধে তাদের এদেশীয় দোসর হিসেবে কাজ করে জামায়াত। জামায়াতের নেতৃত্বে এখানে গঠিত হয় বাংলাদেশবিরোধী রাজাকার-আলবদর বাহিনী। সেই বাহিনীগুলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতার পাশাপাশি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেমন অস্ত্র ধরে, তেমনি দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও এই বাহিনী যুক্ত। স্বাভাবিকভাবেই স্বাধীনতার ৪০ বছর পর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় জামায়াত শঙ্কিত। আগেই জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে গঠন করা হয়েছে অভিযোগপত্র। এখন চলছে শুনানি। একই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গোলাম আযমকে। জামায়াত-শিবির যে এই বিচারপ্রক্রিয়া ভণ্ডুল করতে চায়, তা সবার কাছে পরিষ্কার। সে কারণেই গোলাম আযম গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারা শঙ্কিত। শুধু গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের নিয়েই নয়, নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কিত জামায়াত-শিবির চক্র। কারণ আধুনিক শিক্ষিত তরুণদের কাছে ধর্মব্যবসায়ীদের কোনো স্থান নেই। স্বাভাবিকভাবেই গোলাম আযম গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক মনোবল শূন্যের কোঠায় চলে গেছে। এ অবস্থায় বিচার ভণ্ডুল করে নেতাদের ফিরিয়ে আনার বিকল্প জামায়াত-শিবিরের হাতে নেই। জামায়াত নেতাদের বিচার হয়ে গেলে এবং বিচারে তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হলে জামায়াতের পায়ের নিচে আর মাটি থাকবে না। মানুষের কাছে গিয়ে দাঁড়ানোর কোনো অবলম্বনই থাকবে না জামায়াত-শিবিরের। সে কারণেই তারা মরণকামড় দিতে চায়। এক দিন পর সারা দেশে তাদের যে কর্মসূচি রয়েছে, সে কর্মসূচি থেকেও যেকোনো অঘটন ঘটতে পারে- এমন আশঙ্কাও এখন অমূলক নয়। কাজেই সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
বৃহস্পতিবার বিনা উসকানিতেই পুলিশের ওপর হামলা করেছে জামায়াত-শিবির। নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এমন আরো অঘটন ঘটতে পারে। সে ব্যাপারে আগে থেকেই সচেতন থাকতে হবে। নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
এটা মানতেই হবে, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল জামায়াত। তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল। সেই অপরাধে তাদের এদেশীয় দোসর হিসেবে কাজ করে জামায়াত। জামায়াতের নেতৃত্বে এখানে গঠিত হয় বাংলাদেশবিরোধী রাজাকার-আলবদর বাহিনী। সেই বাহিনীগুলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতার পাশাপাশি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেমন অস্ত্র ধরে, তেমনি দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও এই বাহিনী যুক্ত। স্বাভাবিকভাবেই স্বাধীনতার ৪০ বছর পর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় জামায়াত শঙ্কিত। আগেই জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে গঠন করা হয়েছে অভিযোগপত্র। এখন চলছে শুনানি। একই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গোলাম আযমকে। জামায়াত-শিবির যে এই বিচারপ্রক্রিয়া ভণ্ডুল করতে চায়, তা সবার কাছে পরিষ্কার। সে কারণেই গোলাম আযম গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারা শঙ্কিত। শুধু গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের নিয়েই নয়, নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কিত জামায়াত-শিবির চক্র। কারণ আধুনিক শিক্ষিত তরুণদের কাছে ধর্মব্যবসায়ীদের কোনো স্থান নেই। স্বাভাবিকভাবেই গোলাম আযম গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক মনোবল শূন্যের কোঠায় চলে গেছে। এ অবস্থায় বিচার ভণ্ডুল করে নেতাদের ফিরিয়ে আনার বিকল্প জামায়াত-শিবিরের হাতে নেই। জামায়াত নেতাদের বিচার হয়ে গেলে এবং বিচারে তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হলে জামায়াতের পায়ের নিচে আর মাটি থাকবে না। মানুষের কাছে গিয়ে দাঁড়ানোর কোনো অবলম্বনই থাকবে না জামায়াত-শিবিরের। সে কারণেই তারা মরণকামড় দিতে চায়। এক দিন পর সারা দেশে তাদের যে কর্মসূচি রয়েছে, সে কর্মসূচি থেকেও যেকোনো অঘটন ঘটতে পারে- এমন আশঙ্কাও এখন অমূলক নয়। কাজেই সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
বৃহস্পতিবার বিনা উসকানিতেই পুলিশের ওপর হামলা করেছে জামায়াত-শিবির। নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এমন আরো অঘটন ঘটতে পারে। সে ব্যাপারে আগে থেকেই সচেতন থাকতে হবে। নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
No comments