টিআরের নামে প্রতারণা!-সেই সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছে দুদক

রকারদলীয় সাংসদ (চট্টগ্রাম-১১) ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কাল রোববার থেকে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (টিআর) সম্পর্কিত এ তদন্ত শুরু হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।


গত ২ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মেজর ফয়সাল পাশাকে সাংসদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ-সংক্রান্ত চিঠি ঢাকা থেকে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম দুদকে পৌঁছায়। গত ১১ নভেম্বর ‘পটিয়ায় টিআরের নামে ত্রিমুখী প্রতারণা’ শিরোনামে প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনের পর দুদক ঢাকা কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম কার্যালয়কে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মেজর ফয়সাল পাশা দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে অভিযোগ তদন্ত করে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মেজর ফয়সাল পাশা ঢাকা থেকে নির্দেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও তিনি কাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন, তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সবেমাত্র ঢাকা থেকে নির্দেশ এসেছে। আমরা এখনো তদন্ত শুরু করিনি।’
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে টিআর ও টিউবওয়েল বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ এনে গত বছরের ২৮ জুলাই পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও এই অভিযোগ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পটিয়ার আশিয়া ইউনিয়নের লোকনাথ মন্দির নামে একটি মন্দিরের নামে গম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবেদনপত্রে মন্দির কমিটির যেসব ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়, তাঁদের সবাই ছিল মুসলমান সম্প্রদায়ের। এ ছাড়া সাংসদের নিজ গ্রাম পটিয়ার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের লাউয়ারখিল জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আবুল কালাম বাদশা অভিযোগ করেন, তাঁর জামে মসজিদের নামে একটি টিউবওয়েল বরাদ্দ এবং এ-সংক্রান্ত কাগজপত্রে তাঁর স্বাক্ষর নেওয়া হলেও সাংসদ টিউবওয়েল দেননি।
আবুল কালাম বাদশা অভিযোগটির অনুলিপি পাঠান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে। এরপর অভিযোগটি আমলে নিয়ে দুদক তদন্তের উদ্যোগ নেয়।

No comments

Powered by Blogger.