অধ্যক্ষ জেমসের হকি-প্রেম
জাতীয় হকিতে নৌবাহিনী-কুমিল্লার ম্যাচ চলছে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে। ভিআইপি বক্সে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু দর্শক। তারই মধ্যে অচেনা একটি মুখ। আর সবার চেয়ে আলাদা। খুব নিবিষ্ট মনে খেলা দেখছেন। কে তিনি? পরিচয় জানতে চাইলে সহাস্যে ভিজিটিং কার্ড বের করে দিলেন। রিজেন্ট কলেজ, ঢাকা। জেমস অ্যান্থনি অরমান্ডি, প্রিন্সিপাল। মাস দুয়েক আগে ঢাকার এই ইংলিশ মাধ্যমের স্কুলে যোগ দিয়েছেন ব্রিটিশ ভদ্রলোক।
এর আগেও দুদিন ঢাকার হকি মাঠে এসেছেন খেলা দেখতে। কাল এলেন তৃতীয়বারের মতো। কারণ কী? ৫৪ বছর বয়সী জেমস এ দেশের মৃতপ্রায় হকির প্রেমে পড়েছেন! দেশ-কাল তাঁর কাছে বড় নয়। ম্যানচেস্টারের পাশের শহর চেস্টারে বাস। সেখানকার চেস্টার হকি ক্লাবে খেলতেন। সেটি সেই সত্তর দশকের কথা। খেলেছেন ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলেরও হয়ে। তাঁর স্ত্রীও হকি খেলোয়াড়। ৪৭ বছর বয়সেও নাকি বয়স্কদের হকি প্রতিযোগিতায় নেমে যান!
জেমসের দুই ছেলে। ১৭ বছরের ছোট ছেলেটা হকি খেলে না, তবে ১৮ বছরের বড়জন ইংল্যান্ডের জাতীয় হকিতে খেলছেন। চারজনের পরিবারের তিনজনই হকি খেলোয়াড়! এসব গল্প প্রাণখোলা মানুষটিকে নস্টালজিয়ায় ভোগায়। রসিকতা করে বলেন, ‘ইচ্ছে করে এখনো হকি খেলি। বুড়ো হয়েছি তাতে কী, খেলা তো আর ভুলিনি!’
গত মাসে বিজয় দিবস হকি দেখেছেন। এখনো ভুলতে পারছেন না সেই অভিজ্ঞতা, ‘বাংলাদেশের হকির মানটা বেশ ভালো। আমার খুবই ভালো লেগেছে খেলা। জিমির কথাই ধরুন। দারুণ খেলোয়াড়।’ এই জাতীয় হকিও তাঁর চোখ কেড়েছে, ‘অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। প্রয়োজন এদের পরিচর্যা। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ ভালো করছে না শুনেছি। তবে আমার বিশ্বাস, চেষ্টা করলে ভালো করা সম্ভব।’
চেস্টারের পাশেই লিভারপুল। তাই ফুটবলে লিভারপুলের পাঁড় সমর্থক। সেসব নিয়ে গল্পে মেতে ওঠেন। পরক্ষণেই ফিরে আসেন হকিতে, ‘আমি হকি কোচ ছিলাম, আম্পায়ারিংও করেছি। এখনো হকিবিহীন জীবন ভাবতেই পারি না। এ কারণেই মাঠে ছুটে আসি।’
এই মানুষটিকে ঢাকার ব্যস্ত নগর জীবনের কোনো বিরক্তিকর উপাদানই গ্রাস করতে পারেনি। প্রশংসায় ভরান এ দেশের তরুণ সমাজকে, ‘আমি এখানে এসে অভিভূত। একদিকে দরিদ্রতা, অন্যদিকে তরুণদের মধ্যে অমিত সম্ভাবনা। অসাধারণ।’
এই মুগ্ধতা তাঁর মনে একটা সুপ্ত ইচ্ছের বীজ বুনে দিয়েছে, ‘এখানে হকির উন্নয়নের কোনো ভূমিকা রাখতে পারলে ধন্য হব। সেটি কোচিং, আম্পায়ারিংও হতে পারে।’ ততক্ষণে খেলা শেষ। ড্রাইভার তাঁকে নিতে চলে এসেছেন। গুলশানে নিজের বাসার উদ্দেশে স্টেডিয়াম ছাড়লেন জেমস। কিন্তু মনটা পড়ে রইল হকি মাঠে!
জেমসের দুই ছেলে। ১৭ বছরের ছোট ছেলেটা হকি খেলে না, তবে ১৮ বছরের বড়জন ইংল্যান্ডের জাতীয় হকিতে খেলছেন। চারজনের পরিবারের তিনজনই হকি খেলোয়াড়! এসব গল্প প্রাণখোলা মানুষটিকে নস্টালজিয়ায় ভোগায়। রসিকতা করে বলেন, ‘ইচ্ছে করে এখনো হকি খেলি। বুড়ো হয়েছি তাতে কী, খেলা তো আর ভুলিনি!’
গত মাসে বিজয় দিবস হকি দেখেছেন। এখনো ভুলতে পারছেন না সেই অভিজ্ঞতা, ‘বাংলাদেশের হকির মানটা বেশ ভালো। আমার খুবই ভালো লেগেছে খেলা। জিমির কথাই ধরুন। দারুণ খেলোয়াড়।’ এই জাতীয় হকিও তাঁর চোখ কেড়েছে, ‘অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। প্রয়োজন এদের পরিচর্যা। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ ভালো করছে না শুনেছি। তবে আমার বিশ্বাস, চেষ্টা করলে ভালো করা সম্ভব।’
চেস্টারের পাশেই লিভারপুল। তাই ফুটবলে লিভারপুলের পাঁড় সমর্থক। সেসব নিয়ে গল্পে মেতে ওঠেন। পরক্ষণেই ফিরে আসেন হকিতে, ‘আমি হকি কোচ ছিলাম, আম্পায়ারিংও করেছি। এখনো হকিবিহীন জীবন ভাবতেই পারি না। এ কারণেই মাঠে ছুটে আসি।’
এই মানুষটিকে ঢাকার ব্যস্ত নগর জীবনের কোনো বিরক্তিকর উপাদানই গ্রাস করতে পারেনি। প্রশংসায় ভরান এ দেশের তরুণ সমাজকে, ‘আমি এখানে এসে অভিভূত। একদিকে দরিদ্রতা, অন্যদিকে তরুণদের মধ্যে অমিত সম্ভাবনা। অসাধারণ।’
এই মুগ্ধতা তাঁর মনে একটা সুপ্ত ইচ্ছের বীজ বুনে দিয়েছে, ‘এখানে হকির উন্নয়নের কোনো ভূমিকা রাখতে পারলে ধন্য হব। সেটি কোচিং, আম্পায়ারিংও হতে পারে।’ ততক্ষণে খেলা শেষ। ড্রাইভার তাঁকে নিতে চলে এসেছেন। গুলশানে নিজের বাসার উদ্দেশে স্টেডিয়াম ছাড়লেন জেমস। কিন্তু মনটা পড়ে রইল হকি মাঠে!
No comments