জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়-নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আজীম উদ্দিনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে এস্টেট অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এস্টেট অফিসে প্রশাসনিক কর্মকর্তার কোনো পদ না থাকলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গতকাল শুক্রবার আজীমকে নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের কর্মীদের নির্মম নির্যাতনে গত সোমবার ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদের মৃত্যু হয়। ওই দিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আজীবন বহিষ্কার ও দেশের প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, প্রক্টর ও নিরাপত্তা কর্মকর্তার পদত্যাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের আধুনিকায়নের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি পর্যালোচনা করে আজীম উদ্দিনকে নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে এস্টেট অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এস্টেট অফিসে এস্টেট অফিসারের পদ শূন্য থাকলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নামে কোনো পদ নেই—বিষয়টি উল্লেখ করলে রেজিস্ট্রার বলেন, আজীমকে এস্টেট অফিসারের পদের বিপরীতে প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে জুবায়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে তিন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারা জীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানার পুলিশ।
আজ থেকে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন: এদিকে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এ মামুনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে প্রক্টরের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শনিবার থেকে উপাচার্যবিরোধী আওয়ামী লীগপন্থী, বিএনপিপন্থী ও বামঘেঁষা শিক্ষকদের ক্লাস ও সব ধরনের পেশাগত দায়িত্ব বর্জন কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। দাবি আদায়ে ওই শিক্ষকদের আজ অমর একুশের পাদদেশে গণসমাবেশ করার কথা।
এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবনের দিকে লক্ষ রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব শিক্ষককে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করা হয়েছে।
হত্যাকারীদের বিচারের দাবি: এদিকে জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও হত্যার সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীর শাস্তির দাবিতে গতকাল বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাঁরা জুবায়ের হত্যাকাণ্ডসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ঘটা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্বেগ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত সাম্প্রতিক ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দল। গতকাল দলের আহ্বায়ক সদরুল আমিনের সই করা এক বিবৃতিতে তাঁরা এ প্রতিক্রিয়া জানান।
মাগফিরাত কামনায় দোয়া: প্রথম আলোর কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, জুবায়েরের আত্মার মাগফিরাত কামনায় গতকাল জুমার নামাজের পর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে মোনাজাত করা হয়েছে।
কলাপাড়া পৌর শহরের মদিনাবাগ জামে মসজিদে মোনাজাতের আগে জুবায়েরের বাবা তোফায়েল আহমেদ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘আমার ছেলেটা ছিল একটি ফুল। তাকে ফুটতে দেওয়া হলো না। কলিতেই ঝরে যেতে হলো।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমার মনের মধ্যে এখন শুধু একটি প্রশ্ন জাগে, আমার ছেলেটার এমন কী দোষ ছিল যে তাকে নির্যাতন করে, কষ্ট দিয়ে মারা হয়েছে? আমি এর যথাযথ বিচার চাই।’
জুবায়েরের গ্রামের বাড়ি ওই মদিনাবাগ এলাকায়। গত রোববার তাঁকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের ভেতরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। পরদিন সোমবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি পর্যালোচনা করে আজীম উদ্দিনকে নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে এস্টেট অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এস্টেট অফিসে এস্টেট অফিসারের পদ শূন্য থাকলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নামে কোনো পদ নেই—বিষয়টি উল্লেখ করলে রেজিস্ট্রার বলেন, আজীমকে এস্টেট অফিসারের পদের বিপরীতে প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে জুবায়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে তিন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারা জীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানার পুলিশ।
আজ থেকে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন: এদিকে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এ মামুনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে প্রক্টরের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শনিবার থেকে উপাচার্যবিরোধী আওয়ামী লীগপন্থী, বিএনপিপন্থী ও বামঘেঁষা শিক্ষকদের ক্লাস ও সব ধরনের পেশাগত দায়িত্ব বর্জন কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। দাবি আদায়ে ওই শিক্ষকদের আজ অমর একুশের পাদদেশে গণসমাবেশ করার কথা।
এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবনের দিকে লক্ষ রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব শিক্ষককে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করা হয়েছে।
হত্যাকারীদের বিচারের দাবি: এদিকে জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও হত্যার সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীর শাস্তির দাবিতে গতকাল বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাঁরা জুবায়ের হত্যাকাণ্ডসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ঘটা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্বেগ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত সাম্প্রতিক ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দল। গতকাল দলের আহ্বায়ক সদরুল আমিনের সই করা এক বিবৃতিতে তাঁরা এ প্রতিক্রিয়া জানান।
মাগফিরাত কামনায় দোয়া: প্রথম আলোর কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, জুবায়েরের আত্মার মাগফিরাত কামনায় গতকাল জুমার নামাজের পর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে মোনাজাত করা হয়েছে।
কলাপাড়া পৌর শহরের মদিনাবাগ জামে মসজিদে মোনাজাতের আগে জুবায়েরের বাবা তোফায়েল আহমেদ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘আমার ছেলেটা ছিল একটি ফুল। তাকে ফুটতে দেওয়া হলো না। কলিতেই ঝরে যেতে হলো।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমার মনের মধ্যে এখন শুধু একটি প্রশ্ন জাগে, আমার ছেলেটার এমন কী দোষ ছিল যে তাকে নির্যাতন করে, কষ্ট দিয়ে মারা হয়েছে? আমি এর যথাযথ বিচার চাই।’
জুবায়েরের গ্রামের বাড়ি ওই মদিনাবাগ এলাকায়। গত রোববার তাঁকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের ভেতরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। পরদিন সোমবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
No comments