১২০ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন ডনাল্ড ট্রাম্প: বাজিমাত

ভূমিধস জয় পেলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স নিউজের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী তিনি নিজেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করলেন। তখনো ভোট গণনা চলছে। এমন সময় বিভিন্ন প্রক্ষেপণে বলা হচ্ছে, ট্রাম্প জয়ের দ্বারপ্রান্তে। ফক্স নিউজ জানিয়ে দেয় তিনি ২৭৭ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন। তার আগেই ট্রাম্প তার নেতাকর্মীদের মাঝে উপস্থিত হয়ে নিজেকে ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডেমোক্রেট কমালা হ্যারিস পরাজয় স্বীকার করেননি। এমনই এক প্রেক্ষাপটে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে ট্রাম্প এখন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত। পাশাপাশি কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তার দল রিপাবলিকানরা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ে এর নিয়ন্ত্রণ ছিল ডেমোক্রেটদের হাতে। কমপক্ষে ১২০ বছরের  রেকর্ড ভাঙলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড প্রথম মেয়াদের পর দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এর চার বছর পর নির্বাচন করে ১৮৯২ সালে তিনি জয়ী হন। ফক্স নিউজের হিসাবে, সেই রেকর্ড ভেঙে ১২০ বছর পরে হোয়াইট হাউসের চাবি হাতে আসছে ট্রাম্পের। একই সঙ্গে তিনি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার পর নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের মানচিত্রের প্রায় পুরোটা লাল হয়ে গেছে। লাল হলো রিপাবলিকানদের রং। পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকটি রাজ্য নীল রং ধারণ করেছে। এ ছাড়া মধ্যবর্তী স্থানে তিনটি রাজ্য এই রং পেয়েছে। নীল রং হলো ডেমোক্রেটদের। এই জয়ের জন্য তিনি যেমন মার্কিনিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তেমনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন আরব মার্কিনিদের। ধারণা করা হয়, গাজা যুদ্ধের কারণে ডেমোক্রেটদের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন মুসলিমরা। তারা এবার ব্যাপকভাবে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। তবে এদিন তিনি বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ করেননি। তার জয়ে রিপাবলিকান শিবিরে আনন্দের বন্যা। অন্যদিকে ডেমোক্রেট শিবিরে পিনপতন নিস্তব্ধতা। ওদিকে রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে অভিনন্দন জানিয়েছে ট্রাম্পকে। জনমত জরিপ এবং বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস ধোপে টিকলো না। যেখানে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বলাবলি হচ্ছিল নির্বাচন নিয়ে ‘ডেডলক’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। খুব সামান্য ব্যবধানে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে। সেখানে মঙ্গলবার রাতে (বাংলাদেশ সময় দুপুর নাগাদ) খবর চলে আসে ট্রাম্প জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যে ধারায় ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পাচ্ছিলেন তাতে তার ধারেকাছে দাঁড়াতেই পারছিলেন না ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিস। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টার দিকে ট্রাম্প যখন ফ্লোরিডার পাম বিচে কনভেনশন সেন্টারে দলীয় সমর্থক, নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন, তখন কমালা হ্যারিসের ডেমোক্রেট শিবির নিস্তব্ধ। পূর্ব পরিকল্পিত ভাষণ বাতিল করেন কমালা। নির্ধারিত ২৭০ মাইলফলক স্পর্শ করে আরও দূরে এগিয়ে গেছেন ট্রাম্প। তিনি জিতেছেন ২৭৭টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। তার কাছে কুপোকাত হয়েছেন ডেমোক্রেট কমালা হ্যারিস। তাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ২২৬ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে।

এর মধ্যদিয়ে ট্রাম্প দুইবার দু’জন ডেমোক্রেট নারী প্রার্থীকে ধরাশায়ী করলেন। ২০১৬ সালে তার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয় ডেমোক্রেট নেতা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। আর এবার পরাজিত হলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডেমোক্রেট কমালা হ্যারিস। চার বছর পরে আবার ট্রাম্পের হাতে উঠতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউসের চাবি। এরই মধ্যে তিনি ফ্লোরিডার পাম বিচে দলীয় নেতাকর্মীদের কনভেনশন হলে পৌঁছে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি মার্কিনিদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। নিজেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন। দলীয় সমর্থকদের ব্যাপক করতালির মধ্যদিয়ে তিনি মঞ্চে আরোহণ করেন। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, রানিংমেট জেডি ভ্যান্স, মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প, ছেলে ব্যারন ট্রাম্প প্রমুখ। প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের যে ক্ষতি হয়েছে তা সারিয়ে তুলতে। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি মেলানিয়া ট্রাম্পকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করেন। এ সময়ই তিনি মেলানিয়াকে ফার্স্টলেডি হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে ধন্যবাদ জানান। মেলানিয়া একটি বই লিখেছেন। সেটা দেশে অন্যতম বেস্টসেলার হয়েছে বলে তার প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, সে একটি মহান কাজ করেছে। জনগণকে সহায়তা করার জন্য সে কঠোর কাজ করে। নিজের সন্তানদের ‘অ্যামেজিং চিলড্রেন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প।

তিনি এ সময় প্রতিশ্রুতি দেন সীমান্ত সমস্যা সমাধান করার। তিনি আরও বলেন, তিনি এবং তার দল আরও একবার ইতিহাস রচনা করেছেন। এ জয়কে তিনি ‘ম্যাগনিফিসেন্ট ভিক্টরি’ বলে অভিহিত করেন। ট্রাম্প বলেন, এর মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সোনালী যুগের সূচনা হলো। তিনি বলেন, এই বিজয় মার্কিন জনগণের। ফলে আমরা আবার আমেরিকাকে গ্রেট করে গড়ে তুলতে পারবো। এ সময় সমর্থকদের স্লোগানে ফেটে পড়ছিল কনভেনশন সেন্টার। তার মাঝেই ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদেরকে অপ্রত্যাশিত ও শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় পাশে থাকার জন্য এক্সের মালিক ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ককে তিনি রিপাবলিকান দলের ‘নতুন তারকা’ আখ্যায়িত করেন। ট্রাম্প বলেন, প্রচারণাকালে দু’বার হত্যাচেষ্টা থেকে তিনি রক্ষা পেয়েছেন। তিনি রক্ষা পেয়েছেন একটি কারণে। ট্রাম্প বলেন, হোয়াইট হাউসে তিনি প্রতিটি কাজে উৎসাহ ও লড়াই নিয়ে আসবেন। বলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়া হলো বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সরকার চালাবেন তার ঘোষণা- ‘প্রমিজেস মেইড, প্রমিজেস কেপ্ট’ নীতি অনুযায়ী।

ট্রাম্পকে বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন: রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিধস জয়ে খুশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাতে মোটেও কালক্ষেপণ করেন নি তিনি। ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে এক্সের এক পোস্টে মোদি লিখেছেন, ‘হে বন্ধু ডনাল্ড ট্রাম্প, আপনার ঐতিহাসিক জয়ের জন্য হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা।’ এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়ে মোদি বলেছেন, আপনার (ট্রাম্পের) আগের মেয়াদের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আমি ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বৈশ্বিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে পুনরায় আরও শক্তিশালী করার জন্য উন্মুখ। আসুন একসঙ্গে আমাদের জনগণের উন্নতির জন্য এবং বিশ্বশান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য কাজ করি।’ ওদিকে টাইমস অব ইসরাইলের এক খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের জয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য ট্রাম্প এবং তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নেতানিয়াহু এবং তার স্ত্রী সারা। ইংরেজিতে লেখা এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ইতিহাসে মহান হয়ে ফিরে আসার জন্য শুভেচ্ছা। নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘হোয়াইট হাউসে আপনার (ট্রাম্পের) ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন আমেরিকার জন্য একটি নতুন সূচনা; যার মাধ্যমে ইসরাইল ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিশ্রুতিশীল ঐক্য বজায় থাকবে। এটি একটি বিশাল বিজয়!’ বিবৃতিতে স্বাক্ষরের উপরে নেতানিয়াহু লিখেন, ‘সত্যিকারের বন্ধুত্বের জন্য’। অভিনন্দন জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ।  বিশ্বের পরবর্তী নেতা হিসেবে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। তিনিও ট্রাম্পের বিজয়কে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়ে স্টারমার বলেছেন, ‘আমি সামনের বছরগুলোতে আপনার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’  ট্রাম্পকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রবৃদ্ধি, নিরাপত্তা, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি থেকে শুরু করে সকল বিষয়ে আটলান্টিকের উভয় তীরে সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে।’ হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানও ট্রাম্পের বিজয়কে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রত্যাবর্তন বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে তার ভূমিধস জয়ের জন্য অভিনন্দন। বিশ্ববাসীর জন্য এটি একটি প্রয়োজনীয় বিজয় বলেও উল্লেখ করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী। ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রিপাবলিকান নেতার বিজয়কে ‘আকর্ষণীয় বিজয়’ বলে উল্লেখ করেছেন জেলেনস্কি। এক্সের পোস্টে তিনি বলেছেন, কিয়েভের নেতারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তমূলক নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্রের যুগের অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের জন্য শক্তিশালী সমর্থনের উপর নির্ভর করি। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের শক্তির প্রশংসা করেছেন জেলেনস্কি। তিনি মনে করেন, এই নীতি এমন, যা ইউক্রেনে শুধু শান্তি আনতে পারে। মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অন্যরকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পশ্চিমা ব্লকের চির শত্রু রাশিয়া। এক্সের এক পোস্টে ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা লিখেছেন, ‘যারা অন্যের প্রতি ঘৃণা নয়, দেশের প্রতি ভালোবাসায় বেঁচে থাকে তারাই জয়ী হয়।’ এর আগে এক্সে তিনি কমালা হ্যারিসের প্রচারাভিযানের একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিওতে হ্যারিস বলেছেন, ‘রাতের কান্না শেষেই ভোরে বিজয় আসে।’

এ ছাড়া রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী দমিত্রি মেদভেদেভ টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, ‘ট্রাম্পের একটি বড় গুণ আছে, যা আমাদের জন্য বেশ কার্যকর- তিনি একজন কোটিপতি ব্যবসায়ী, তিনি ‘মূর্খ মিত্রদের’ পেছনে অর্থ ব্যয় করাকে মারাত্মকভাবে অপছন্দ করেন। তিনি ট্রাম্পকে ইউক্রেনে সাহায্য থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। মেদভেদেভ বর্তমানে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের দায়িত্ব পালন করছেন। ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুট বলেছেন, ট্রাম্পের নেতৃত্ব ‘আমাদের জোটকে শক্তিশালী রাখার জন্য আবারো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’  তিনি আরও বলেন, ‘আমি ন্যাটো জোটের শক্তির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করতে ট্রাম্পের সঙ্গে আবারো কাজ করার জন্য উন্মুখ।’ ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, আমি ডনাল্ড ট্রাম্পকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ বন্ধুর চেয়েও বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেন উরসুলা।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের জনগণের মাধ্যমে সত্যিকারের সম্পর্কে আবদ্ধ। সুতরাং আমরা শক্তিশালীভাবে একত্রে কাজ শুরু করতে প্রস্তুত।’ ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি তার এক্স পোস্টে ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘ভালো করেছেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট।’ ইতালি এবং যুক্তরাষ্ট্র ‘ঘনিষ্ঠ জাতি’ হিসেবে উল্লেখ করে ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত বন্ধন রয়েছে, যা আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করি আমি।’ তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ট্রাম্পকে একজন ‘বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এক্সের পোস্টে ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এরদোগান বলেছেন, ‘আমি আশা করি তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। যা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় জোরালো ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে ফিলিস্তিন-ইসরাইল এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুুদ্ধের ইতি টানতে পারবো।’ ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে এবং দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরালো করতে সামনের দিনগুলোতে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।  দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়ল ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আপনার শক্তিশালী নেতৃত্বে দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন জোট আরও উজ্জ্বল হবে। আমরা আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে উন্মুখ। কমালা হ্যারিসকে পরাজিত করে হোয়াইট হাউসের টিকিট পাওয়ায় ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের কথা উল্লেখ করে ম্যাক্রন বলেন, আমরা চার বছর ধরে যেভাবে কাজ করেছিলাম, আবারো সেভাবে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। উভয়ের বিশ্বস্ততার প্রত্যয়ের কথা উল্লেখ করেন ফ্রান্সের  প্রেসিডেন্ট।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.