‘হুকুম মানার’ অর্থনীতি বাতিল চান প্রফেসর ইউনূস
নোবেল
জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমান অর্থনীতির সংজ্ঞা বদলে দিতে চান। তার
মতে, এই অর্থনীতি হচ্ছে হুকুম মানার অর্থনীতি। এই অর্থনীতি মানুষকে চাকরি
করতে শিখিয়েছে। নিজেকে আবিষ্কার করার সুযোগ দেয়নি। তাই হুকুম মানার এই
অর্থনীতি বাতিল করে দিতে হবে। অর্থনীতি একটা সামাজিক বিজ্ঞান, তাও মানতে
রাজি নন এই অর্থনীতিবিদ। ব্যাংককে দুই দিনব্যাপী সামাজিক ব্যবসা সম্মেলনের
সমাপনী ভাষণে প্রফেসর ইউনূস এই মতামত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, গন্তব্য খুব কাছে নয়।
আমাদের গন্তব্য পৃথিবীকে বাঁচানো। যদিও আমাদের হাতে সময় নেই। অনেকে অনেক রকম তত্ত্ব হাজির করেন। বলেন, ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যেই নাকি তারা পরিবর্তন দেখবেন। আসলে এসব কল্পনা মাত্র।
তিনি বলেন, সামাজিক ব্যবসা হলো মানুষের সামাজিক দিকটাকে আবিষ্কার করা এবং ব্যবহার করা। এটা চ্যারিটি না, অনুদানও না। এখানে আমার টাকা আমার কাছে ফিরে আসে। কিন্তু কাজটি আমি এমনভাবে করছি তা পুরোপুরি মানুষের স্বার্থে। মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য।
৫৯টি দেশের ১৫০০ প্রতিনিধির উদ্দেশ্যে প্রফেসর ইউনূস বলেন, এই মুহূর্তে সামাজিক ব্যবসা আন্দোলনে নতুন এক মাত্রা যোগ হয়েছে। আমি দাবি করি না সামাজিক ব্যবসা সফল হয়েছে। আমরা বীজ রোপণ করেছি মাত্র। আস্তে আস্তে বীজে পাতা খুলছে। এটি শাখা-প্রশাখা হওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছায়নি। তবে বলতে পারেন অর্ধেক পৃথিবীর মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড রকম আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, আমাদের কারও কাছে যাওয়ার দরকার নেই। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মধ্যেও আপনি কোনো সুখ পাবেন না। তাই কারও কাছে গিয়ে লাভ নেই। সরকার কিংবা জাতিসংঘ কারও কাছেই গিয়ে লাভ হবে না।
তিনি বলেন, আপনার শক্তি আছে, আপনার বুদ্ধি আছে, নিজেই আবিষ্কার করে বুদ্ধি কাজে লাগান। মনে রাখবেন প্রত্যেক মানুষের ভেতরে জাদুকরি ক্ষমতা রয়েছে। মানুষ পারে না এমন কিছু নেই। যোগ করেন সামাজিক ব্যবসার এই জনক। বলেন, টাকার সন্ধানে ব্যস্ত থাকাটা হ্যাপিনেস না। মানুষের কল্যাণ সাধনই সুপার হ্যাপিনেস।’
তিনি বলেন, অর্থনীতি শুরু হয় এমন একটি মানুষকে কল্পনা করে যে মানুষটি নিজের স্বার্থে কাজ করে। সেই মানুষের মধ্যে কোনো সামাজিক মাত্রা নেই। সে শুধু নিজের জন্য কাজ করে। অথচ মানুষ একটি সামাজিক জীব। সে সমাজ ছাড়া চলতে পারে না। সামাজিক চিন্তাকে বাদ দিয়ে চলতে পারে না। কিন্তু চলমান অর্থনীতি তার সেই চিন্তাকে ছাঁটাই করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থনীতিকে সামাজিক বিজ্ঞান বলা হয়, এটিও আসলে ঠিক না। এখানে সমাজ নিয়ে কোনো বিষয় নেই। এখানে ব্যক্তির স্বার্থেই সবকিছু। ব্যক্তির স্বার্থের অর্থনীতিকে আমরা সামাজিক বিজ্ঞান বলতে যাবো কেন?
সামাজিক ব্যবসা নিয়ে পৃথিবীজুড়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ার তথ্য জানিয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেন, বিদ্যমান অর্থনীতির মধ্যে মানুষ কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না। সবাই চিন্তিত। সামনে কি হবে? এখানে সামাজিক ব্যবসা একটা পথ দেখাচ্ছে। সেই পথ তৈরির কাজটি আমাদেরই করতে হবে। ব্যক্তিকেই করতে হবে। মানুষের হাতেই আসল ম্যাজিক। মানুষকেই সেই কাজটি করতে হবে।
তিনি বলেন, গন্তব্য খুব কাছে নয়।
আমাদের গন্তব্য পৃথিবীকে বাঁচানো। যদিও আমাদের হাতে সময় নেই। অনেকে অনেক রকম তত্ত্ব হাজির করেন। বলেন, ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যেই নাকি তারা পরিবর্তন দেখবেন। আসলে এসব কল্পনা মাত্র।
তিনি বলেন, সামাজিক ব্যবসা হলো মানুষের সামাজিক দিকটাকে আবিষ্কার করা এবং ব্যবহার করা। এটা চ্যারিটি না, অনুদানও না। এখানে আমার টাকা আমার কাছে ফিরে আসে। কিন্তু কাজটি আমি এমনভাবে করছি তা পুরোপুরি মানুষের স্বার্থে। মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য।
৫৯টি দেশের ১৫০০ প্রতিনিধির উদ্দেশ্যে প্রফেসর ইউনূস বলেন, এই মুহূর্তে সামাজিক ব্যবসা আন্দোলনে নতুন এক মাত্রা যোগ হয়েছে। আমি দাবি করি না সামাজিক ব্যবসা সফল হয়েছে। আমরা বীজ রোপণ করেছি মাত্র। আস্তে আস্তে বীজে পাতা খুলছে। এটি শাখা-প্রশাখা হওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছায়নি। তবে বলতে পারেন অর্ধেক পৃথিবীর মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড রকম আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, আমাদের কারও কাছে যাওয়ার দরকার নেই। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মধ্যেও আপনি কোনো সুখ পাবেন না। তাই কারও কাছে গিয়ে লাভ নেই। সরকার কিংবা জাতিসংঘ কারও কাছেই গিয়ে লাভ হবে না।
তিনি বলেন, আপনার শক্তি আছে, আপনার বুদ্ধি আছে, নিজেই আবিষ্কার করে বুদ্ধি কাজে লাগান। মনে রাখবেন প্রত্যেক মানুষের ভেতরে জাদুকরি ক্ষমতা রয়েছে। মানুষ পারে না এমন কিছু নেই। যোগ করেন সামাজিক ব্যবসার এই জনক। বলেন, টাকার সন্ধানে ব্যস্ত থাকাটা হ্যাপিনেস না। মানুষের কল্যাণ সাধনই সুপার হ্যাপিনেস।’
তিনি বলেন, অর্থনীতি শুরু হয় এমন একটি মানুষকে কল্পনা করে যে মানুষটি নিজের স্বার্থে কাজ করে। সেই মানুষের মধ্যে কোনো সামাজিক মাত্রা নেই। সে শুধু নিজের জন্য কাজ করে। অথচ মানুষ একটি সামাজিক জীব। সে সমাজ ছাড়া চলতে পারে না। সামাজিক চিন্তাকে বাদ দিয়ে চলতে পারে না। কিন্তু চলমান অর্থনীতি তার সেই চিন্তাকে ছাঁটাই করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থনীতিকে সামাজিক বিজ্ঞান বলা হয়, এটিও আসলে ঠিক না। এখানে সমাজ নিয়ে কোনো বিষয় নেই। এখানে ব্যক্তির স্বার্থেই সবকিছু। ব্যক্তির স্বার্থের অর্থনীতিকে আমরা সামাজিক বিজ্ঞান বলতে যাবো কেন?
সামাজিক ব্যবসা নিয়ে পৃথিবীজুড়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ার তথ্য জানিয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেন, বিদ্যমান অর্থনীতির মধ্যে মানুষ কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না। সবাই চিন্তিত। সামনে কি হবে? এখানে সামাজিক ব্যবসা একটা পথ দেখাচ্ছে। সেই পথ তৈরির কাজটি আমাদেরই করতে হবে। ব্যক্তিকেই করতে হবে। মানুষের হাতেই আসল ম্যাজিক। মানুষকেই সেই কাজটি করতে হবে।
No comments