মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন দিলেন সিরিসেনা, সংবিধান সংশোধনের চেষ্টা
প্রেসিডেন্ট
মৈত্রিপালা সিরিসেনা বুধবার ঘোষণা দিয়েছেন যে, মারাত্মক মাদক অপরাধে জড়িত
চার ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন দিয়েছেন তিনি।
এর মাধ্যমে কয়েক দশক পরে মৃত্যুদণ্ডকে ফিরিয়ে আনলেন সিরিসেনা।
২৬ জুন বিশ্ব মাদক প্রতিরোধ দিবসের দিনটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
সিরিসেনা বলেন যে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিনক্ষণও ঠিক করা হয়ে গেছে। কিন্তু কাদেরকে ফাঁসি দেয়া হবে, তাদের নাম বা কোন সময়ে সেটা কার্যকর করা হবে, সেটা তিনি জানাননি। তবে তিনি এটাও বলেন যে, দোষি সাব্যস্ত ব্যক্তিদের এখনও আপিলের যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে এবং ইস্টার সানডেতে আইএস স্টাইলে সন্ত্রাসী হামলার পর সৃষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপগুলো যখন উদ্বেগ প্রকাশ করছে, সে সময়টাতেই এই ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট।
লংকান সরকারের মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বুধবার একটি প্রেস রিলিজ দিয়েছে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দফতর। এতে বলা হয়েছে যে, মাত্র ছয় মাস আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মৃত্যুদণ্ড বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিল শ্রীলংকা।
ব্রিটেন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, শ্রীলংকা এই নীতি থেকে সরে আসলে এটা দেশটির পর্যটন ও বিনিয়োগ পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলবে।
ইস্টার সানডে হামলার পর দ্বীপরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে শ্রীলংকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে অগ্রগতি অর্জন করেছে দেশ।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা মিডিয়াকে বলেছেন যে, ২১ এপ্রিলের বিস্ফোরণ বিষযে যে পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটি (পিএসসি) গঠিত হয়েছে, সেটা একটা ‘রাজনৈতিক নাটক’, যে নাটকটি মঞ্চস্থ করছে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি যাদের থেকে তিনি এখন বিচ্ছিন্ন।
সিরিসেনা বলেন যে, তিনি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তারা হামলার সাথে সম্পর্কহীন নিরপরাধ মুসলিমদের গ্রেফতারের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, “এটা পুরোপুরি অতিরঞ্জিত”। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পার্লামেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা যায় কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তিনি গণভোট দেয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে যে কথা শোনা গিয়েছিল, সেটা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন তিনি।
সিরিসেনা বলেন যে, দেশকে যদি ধারাবাহিক অস্থিতিশীলতা থেকে বাঁচাতে হয়, তাহলে সংবিধানের ১৯তম সংশোধনী – ২০১৫ সালে যেটা প্রণয়নে তার ভূমিকা ছিল – সেটাকে অবশ্যই অবিলম্বে বা ঠিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরপরই সংশোধন করতে হবে। উল্লেখ্য, মাস চারেকের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে শ্রীলংকায়।
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমস্ত রাজনৈতিক নেতাকে অবশ্যই একত্র হতে হবে এবং ১৯এ উপযুক্তভাবে সংশোধনের প্রস্তাবের ব্যাপারে সম্মত হতে হবে।
৮ জানুয়ারির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর সংবিধানের ১৯তম সংশোধনীর প্রস্তাব করেছিলেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা নিজেই। নির্বাহী প্রেসিডেন্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া আছে সংবিধানে, সেটা কমানোর জন্যই এই প্রচারণা চালিয়েছিলেন তিনি।
সিরিসেনার বিজয়ের একটা কারণ ছিল এই ধারণা যে, প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসা দেশের সংবিধানে দেয়া পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করে দেশকে একনায়কত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশে পারিবারিক শাসন নিয়ে আসার অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।
সিরিসেনা এখন বলছেন যে, ১৯এ’র কারণে এখন ‘ক্ষমতার দুটো কেন্দ্র তৈরি হয়েছে’ যেখানে আগে কেন্দ্র ছিল একটি। দুটো কেন্দ্রের একটি হলো প্রেসিডেন্ট যিনি ৬.২ মিলিয়ন মানুষের ভোটে সরাসরি নির্বাচিত হন। আর দ্বিতীয় কেন্দ্র হলো প্রধানমন্ত্রী, যিনি পার্লামেন্ট থেকে তার শক্তি সংগ্রহ করেন।
তিনি বলেন, ১৯এ-তে কাঠামোগত ত্রুটির কারণে এই দুই ক্ষমতার কেন্দ্রের মধ্যে সঙ্ঘাত হচ্ছে, যারা কেউই এই সঙ্ঘাতের দায় নিচ্ছে না।
সিরিসেনা এখন বলছেন যে, ১৯এ দেশের জনগণের স্বার্থে করা হয়নি, বরং এনজিওগুলোর স্বার্থে করা হয়েছে।
এনজিওগুলো ২০১৪ সালে সিরিসেনার নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপক সমর্থন দিয়েছিল। ২০১৫ সালের আগে প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসা যেভাবে এনজিওবিরোধী অবস্থানে চলে গিয়েছিলেন, বিগত চার বছরে সিরিসেনাও সেই অবস্থানে চলে গেছেন।
সিরিসেনা অভিযোগ করেন যে, ১৯এ তাড়াহুড়া করে করা হয়েছে। তিনি বলেন যে, সে কারণেই বহু কিছু বাদ পড়ে গেছে এবং অনেক ইস্যুকে বিশদভাবে বিবেচনা করা হয়নি।
সিরিসেনা অবশ্য এটা স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি ১৮তম সংশোধনী ফিরিয়ে আনতে চান না, যেটাকে বদলে ১৯এ নিয়ে আসা হয়েছিল। কারণ ১৮এ-তে প্রেসিডেন্টকে অতিমাত্রায় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
২৬ জুন বিশ্ব মাদক প্রতিরোধ দিবসের দিনটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
সিরিসেনা বলেন যে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিনক্ষণও ঠিক করা হয়ে গেছে। কিন্তু কাদেরকে ফাঁসি দেয়া হবে, তাদের নাম বা কোন সময়ে সেটা কার্যকর করা হবে, সেটা তিনি জানাননি। তবে তিনি এটাও বলেন যে, দোষি সাব্যস্ত ব্যক্তিদের এখনও আপিলের যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে এবং ইস্টার সানডেতে আইএস স্টাইলে সন্ত্রাসী হামলার পর সৃষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপগুলো যখন উদ্বেগ প্রকাশ করছে, সে সময়টাতেই এই ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট।
লংকান সরকারের মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বুধবার একটি প্রেস রিলিজ দিয়েছে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দফতর। এতে বলা হয়েছে যে, মাত্র ছয় মাস আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মৃত্যুদণ্ড বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিল শ্রীলংকা।
ব্রিটেন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, শ্রীলংকা এই নীতি থেকে সরে আসলে এটা দেশটির পর্যটন ও বিনিয়োগ পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলবে।
ইস্টার সানডে হামলার পর দ্বীপরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে শ্রীলংকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে অগ্রগতি অর্জন করেছে দেশ।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা মিডিয়াকে বলেছেন যে, ২১ এপ্রিলের বিস্ফোরণ বিষযে যে পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটি (পিএসসি) গঠিত হয়েছে, সেটা একটা ‘রাজনৈতিক নাটক’, যে নাটকটি মঞ্চস্থ করছে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি যাদের থেকে তিনি এখন বিচ্ছিন্ন।
সিরিসেনা বলেন যে, তিনি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তারা হামলার সাথে সম্পর্কহীন নিরপরাধ মুসলিমদের গ্রেফতারের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, “এটা পুরোপুরি অতিরঞ্জিত”। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পার্লামেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা যায় কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তিনি গণভোট দেয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে যে কথা শোনা গিয়েছিল, সেটা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন তিনি।
সিরিসেনা বলেন যে, দেশকে যদি ধারাবাহিক অস্থিতিশীলতা থেকে বাঁচাতে হয়, তাহলে সংবিধানের ১৯তম সংশোধনী – ২০১৫ সালে যেটা প্রণয়নে তার ভূমিকা ছিল – সেটাকে অবশ্যই অবিলম্বে বা ঠিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরপরই সংশোধন করতে হবে। উল্লেখ্য, মাস চারেকের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে শ্রীলংকায়।
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমস্ত রাজনৈতিক নেতাকে অবশ্যই একত্র হতে হবে এবং ১৯এ উপযুক্তভাবে সংশোধনের প্রস্তাবের ব্যাপারে সম্মত হতে হবে।
৮ জানুয়ারির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর সংবিধানের ১৯তম সংশোধনীর প্রস্তাব করেছিলেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা নিজেই। নির্বাহী প্রেসিডেন্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া আছে সংবিধানে, সেটা কমানোর জন্যই এই প্রচারণা চালিয়েছিলেন তিনি।
সিরিসেনার বিজয়ের একটা কারণ ছিল এই ধারণা যে, প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসা দেশের সংবিধানে দেয়া পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করে দেশকে একনায়কত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশে পারিবারিক শাসন নিয়ে আসার অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।
সিরিসেনা এখন বলছেন যে, ১৯এ’র কারণে এখন ‘ক্ষমতার দুটো কেন্দ্র তৈরি হয়েছে’ যেখানে আগে কেন্দ্র ছিল একটি। দুটো কেন্দ্রের একটি হলো প্রেসিডেন্ট যিনি ৬.২ মিলিয়ন মানুষের ভোটে সরাসরি নির্বাচিত হন। আর দ্বিতীয় কেন্দ্র হলো প্রধানমন্ত্রী, যিনি পার্লামেন্ট থেকে তার শক্তি সংগ্রহ করেন।
তিনি বলেন, ১৯এ-তে কাঠামোগত ত্রুটির কারণে এই দুই ক্ষমতার কেন্দ্রের মধ্যে সঙ্ঘাত হচ্ছে, যারা কেউই এই সঙ্ঘাতের দায় নিচ্ছে না।
সিরিসেনা এখন বলছেন যে, ১৯এ দেশের জনগণের স্বার্থে করা হয়নি, বরং এনজিওগুলোর স্বার্থে করা হয়েছে।
এনজিওগুলো ২০১৪ সালে সিরিসেনার নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপক সমর্থন দিয়েছিল। ২০১৫ সালের আগে প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসা যেভাবে এনজিওবিরোধী অবস্থানে চলে গিয়েছিলেন, বিগত চার বছরে সিরিসেনাও সেই অবস্থানে চলে গেছেন।
সিরিসেনা অভিযোগ করেন যে, ১৯এ তাড়াহুড়া করে করা হয়েছে। তিনি বলেন যে, সে কারণেই বহু কিছু বাদ পড়ে গেছে এবং অনেক ইস্যুকে বিশদভাবে বিবেচনা করা হয়নি।
সিরিসেনা অবশ্য এটা স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি ১৮তম সংশোধনী ফিরিয়ে আনতে চান না, যেটাকে বদলে ১৯এ নিয়ে আসা হয়েছিল। কারণ ১৮এ-তে প্রেসিডেন্টকে অতিমাত্রায় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
No comments