ইউরোতে পরিশোধ করলেও এস-৪০০ চুক্তির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা শেষ হবে না: সাবেক ভারতীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা
ভারত
ও রাশিয়া যদিও প্রতিরক্ষা চুক্তির অর্থ পরিশোধের জন্য ইউরোকে বেছে নেয়ার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবু কাউন্টারিং আমেরিকান অ্যাডভার্সারিজ থ্রু
স্যাঙ্কশান্স অ্যাক্টের (সিএএটিএসএ) অধীনে ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে
পারে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা
অমিত কাউশিশ এ কথা বলেছেন।
কাউশিশ অবশ্য এটাও বলেছেন যে, এটা ভালো যে দুই শেষ মূল্য পরিশোধের জন্য একটা মেকানিজমের ব্যাপারে একমত হয়েছে, যেটা প্রতিরক্ষা চুক্তি বাস্তবায়নেই শুধু সাহায্য করবে না, বরং চলমান চুক্তিগুলোর ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বাধাও এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভব হবে”।
কাউশিশ জোর দিয়ে বলেন, “তবে এটার কারণে সিএএটিএসএ’র অধীনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে বাধ্যবাধকতা যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে, সেটার আশঙ্কা কমবে না বা দূর হবে না”।
ভারতের প্রতিরক্ষা অডিট অফিসে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন কাউশিম। তিনি বলেন, ভারত যেহেতু রাশিয়ার সাথে তাদের ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি থেকে পিছু হটবে বলে মনে হচ্ছে না, সেখানে এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিষেধাজ্ঞার মাত্রা কমিয়ে আনবে না কি অন্য কোন বিকল্প পথে তারা সেটা আরোপ করবে।
কাউশিশ আরও সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সম্প্রতি যে বিবৃতি দিয়েছে, এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের সাথে বৈঠকের পরও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে যে কথা বলেছেন, তাতে আমার মনে হচ্ছে এই বিষয়টি এখানেই শেষ হয়ে যায়নি”।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠকের ব্যাপারে জাপানের ওসাকাতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব গোখলে আবারও এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে ভারতের অবস্থানের উপর জোর দিয়ে বলেছেন যে, তাদের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের সাথে বসে জয়শঙ্কর বলেছেন যে, চুক্তির ব্যাপারে নয়াদিল্লী তাদের জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে।
একই সাথে, রাশিয়ার ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি-টেকনিক্যাল কোঅপারেশান বুধবার বলেছে যে, আমাদের অংশীদারের সাথে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের পরেই ভারতকে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ মিসাইল সিস্টেম সরবরাহ করা শুরু হবে”। তারা আরও জানিয়েছে যে, এ ব্যাপারে মূল্য পরিশোধের বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।
ভারত ও রাশিয়া ২০১৮ সালে এস-৪০০ সিস্টেম সরবরাহের জন্য ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। ট্রাম্প প্রশাসন হুমকি দিয়ে বলেছে যে, ভারত যদি এই সিস্টেম কেনে, তাহলে সিএএটিএসএ’র অধীনে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
কাউশিশ অবশ্য এটাও বলেছেন যে, এটা ভালো যে দুই শেষ মূল্য পরিশোধের জন্য একটা মেকানিজমের ব্যাপারে একমত হয়েছে, যেটা প্রতিরক্ষা চুক্তি বাস্তবায়নেই শুধু সাহায্য করবে না, বরং চলমান চুক্তিগুলোর ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বাধাও এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভব হবে”।
কাউশিশ জোর দিয়ে বলেন, “তবে এটার কারণে সিএএটিএসএ’র অধীনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে বাধ্যবাধকতা যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে, সেটার আশঙ্কা কমবে না বা দূর হবে না”।
ভারতের প্রতিরক্ষা অডিট অফিসে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন কাউশিম। তিনি বলেন, ভারত যেহেতু রাশিয়ার সাথে তাদের ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি থেকে পিছু হটবে বলে মনে হচ্ছে না, সেখানে এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিষেধাজ্ঞার মাত্রা কমিয়ে আনবে না কি অন্য কোন বিকল্প পথে তারা সেটা আরোপ করবে।
কাউশিশ আরও সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সম্প্রতি যে বিবৃতি দিয়েছে, এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের সাথে বৈঠকের পরও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে যে কথা বলেছেন, তাতে আমার মনে হচ্ছে এই বিষয়টি এখানেই শেষ হয়ে যায়নি”।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠকের ব্যাপারে জাপানের ওসাকাতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব গোখলে আবারও এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে ভারতের অবস্থানের উপর জোর দিয়ে বলেছেন যে, তাদের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের সাথে বসে জয়শঙ্কর বলেছেন যে, চুক্তির ব্যাপারে নয়াদিল্লী তাদের জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে।
একই সাথে, রাশিয়ার ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি-টেকনিক্যাল কোঅপারেশান বুধবার বলেছে যে, আমাদের অংশীদারের সাথে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের পরেই ভারতকে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ মিসাইল সিস্টেম সরবরাহ করা শুরু হবে”। তারা আরও জানিয়েছে যে, এ ব্যাপারে মূল্য পরিশোধের বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।
ভারত ও রাশিয়া ২০১৮ সালে এস-৪০০ সিস্টেম সরবরাহের জন্য ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। ট্রাম্প প্রশাসন হুমকি দিয়ে বলেছে যে, ভারত যদি এই সিস্টেম কেনে, তাহলে সিএএটিএসএ’র অধীনে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
No comments