‘যুদ্ধবিরতি’তে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-চীন, হুয়াওয়ে ইস্যুতে ট্রাম্পের ছাড়
বাণিজ্য
যুদ্ধ আপাতত স্থগিত রেখে ফের আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও
চীন। বেশ অনেকদিন ধরে এক ধরণের অচলাবস্থা চলছিল দুই দেশের বাণিজ্য
সম্পর্কে। চীনা পণ্য আমদানির ওপর মার্কিন প্রশাসনের উচ্চ শুল্ক আরোপের পর
থেকেই উত্তেজনা শুরু। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এক ধরণের লড়াইয়ে
লিপ্ত হওয়ার পর বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও কিছুটা মন্দা দেখা গেছে। জাপানে চলমান
বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি২০-এর বার্ষিক সম্মেলনে মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আলোচনার ব্যাপারে
একমত হন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
শুধু তাই নয়। এই বাণিজ্য যুদ্ধের অন্যতম শিকার চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ের কাছে প্রযুক্তি বিক্রির ক্ষেত্রে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেও রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই ঐকমত্যের পূর্বে অবশ্য ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে আরও বাণিজ্য অবরোধ আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। তবে ওসাকায় চলমান জি২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ট্রাম্প নিশ্চিত করেন যে, ৩০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা পণ্য আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক তিনি আরোপ করবেন না। তিনি আরও বলেছেন, আপাতত বেইজিং-এর সঙ্গে দরকষাকষি চালিয়ে যাবে তার প্রশাসন।
বৈঠকের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, চীনের হুয়াওয়ের কাছে ফের প্রযুক্তি পণ্য বিক্রি করতে পারবে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো। ট্রাম্প বলছেন, এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সুবিধাজনক। তবে হুয়াওয়ে ইস্যুতে দৃশ্যত চীনের চাওয়াই পূরণ করেছেন তিনি। বিবিসির এশিয়া বিজনেস করেসপন্ডেন্ট কারিশমা ভাসওয়ানি বলেছেন, এটি এখনও স্পষ্ট নয় যে, ট্রাম্প কি হুয়াওয়ের ওপর অবরোধ সম্পূর্ণ বাতিল করছেন কিনা। যদি সত্যিই তিনি তা করে থাকেন, তাহলে বলতে হবে যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরণের ছাড় দিয়েছে। কয়েকদিন আগেও কিনা হুয়াওয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হুমকি বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে দুই পক্ষ আলোচনার বিষয়ে একমত হওয়ায় বাজার ও মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত যে শুল্ক আরোপের কথা বলেছিল, তা কার্যকর হলে মার্কিন ক্রেতাদের বিভিন্ন পণ্য ক্রয়ের পেছনে অতিরিক্ত ১২ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হতো।
চীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহও ভুগছে। বিশেষ করে, চীনের বিনিয়োগ পরিকল্পনা, ব্যবসায়িক আস্থা ও রপ্তানিখাতে প্রভাব ফেলেছে মার্কিন শুল্ক। তবে আপাতত স্থগিত হওয়া মানে এই নয় যে যুদ্ধ শেষ। এখনও কয়েকশ’ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপ করা আছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করতে নানা বিষয়েই দুই পক্ষকে ঐক্যমত্য পৌঁছতে হবে।
ওয়াশিংটন যেসব দাবি করেছে, তা পূরণ করতে হলে গত ৪ দশক ধরে চীনা অর্থনীতির যেমন প্রবৃদ্ধি হয়েছে তা মৌলিকভাবে পরিবর্তন করতে হবে। ওয়াশিংটনের দাবি, চীনা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভর্তুকি দেওয়া যাবে না, স্থানীয় বাজার বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও খুলতে হবে এবং সবচেয়ে বড় কথা এই অঙ্গীকার পূরণ না করলে চীনই দায়বদ্ধ থাকবে। কিন্তু বেইজিং বলছে, নীতিগত বিষয়ে মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করা হবে না। সুতরাং, এই চওড়া মতপার্থক্য কীভাবে দুই পক্ষ কমিয়ে আনে তার ওপরই নির্ভর করবে এই স্থগিতাদেশ কয়দিন টিকবে।
শুধু তাই নয়। এই বাণিজ্য যুদ্ধের অন্যতম শিকার চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ের কাছে প্রযুক্তি বিক্রির ক্ষেত্রে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেও রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই ঐকমত্যের পূর্বে অবশ্য ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে আরও বাণিজ্য অবরোধ আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। তবে ওসাকায় চলমান জি২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ট্রাম্প নিশ্চিত করেন যে, ৩০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা পণ্য আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক তিনি আরোপ করবেন না। তিনি আরও বলেছেন, আপাতত বেইজিং-এর সঙ্গে দরকষাকষি চালিয়ে যাবে তার প্রশাসন।
বৈঠকের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, চীনের হুয়াওয়ের কাছে ফের প্রযুক্তি পণ্য বিক্রি করতে পারবে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো। ট্রাম্প বলছেন, এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সুবিধাজনক। তবে হুয়াওয়ে ইস্যুতে দৃশ্যত চীনের চাওয়াই পূরণ করেছেন তিনি। বিবিসির এশিয়া বিজনেস করেসপন্ডেন্ট কারিশমা ভাসওয়ানি বলেছেন, এটি এখনও স্পষ্ট নয় যে, ট্রাম্প কি হুয়াওয়ের ওপর অবরোধ সম্পূর্ণ বাতিল করছেন কিনা। যদি সত্যিই তিনি তা করে থাকেন, তাহলে বলতে হবে যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরণের ছাড় দিয়েছে। কয়েকদিন আগেও কিনা হুয়াওয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হুমকি বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে দুই পক্ষ আলোচনার বিষয়ে একমত হওয়ায় বাজার ও মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত যে শুল্ক আরোপের কথা বলেছিল, তা কার্যকর হলে মার্কিন ক্রেতাদের বিভিন্ন পণ্য ক্রয়ের পেছনে অতিরিক্ত ১২ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হতো।
চীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহও ভুগছে। বিশেষ করে, চীনের বিনিয়োগ পরিকল্পনা, ব্যবসায়িক আস্থা ও রপ্তানিখাতে প্রভাব ফেলেছে মার্কিন শুল্ক। তবে আপাতত স্থগিত হওয়া মানে এই নয় যে যুদ্ধ শেষ। এখনও কয়েকশ’ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপ করা আছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করতে নানা বিষয়েই দুই পক্ষকে ঐক্যমত্য পৌঁছতে হবে।
ওয়াশিংটন যেসব দাবি করেছে, তা পূরণ করতে হলে গত ৪ দশক ধরে চীনা অর্থনীতির যেমন প্রবৃদ্ধি হয়েছে তা মৌলিকভাবে পরিবর্তন করতে হবে। ওয়াশিংটনের দাবি, চীনা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভর্তুকি দেওয়া যাবে না, স্থানীয় বাজার বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও খুলতে হবে এবং সবচেয়ে বড় কথা এই অঙ্গীকার পূরণ না করলে চীনই দায়বদ্ধ থাকবে। কিন্তু বেইজিং বলছে, নীতিগত বিষয়ে মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করা হবে না। সুতরাং, এই চওড়া মতপার্থক্য কীভাবে দুই পক্ষ কমিয়ে আনে তার ওপরই নির্ভর করবে এই স্থগিতাদেশ কয়দিন টিকবে।
No comments