বালিশে ওলটপালট চাকরির বাজার! by সাজেদুল হক
শুরুটা
বাহুবলির নায়ক প্রভাসকে দিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়াতে তার অসংখ্য ছবি। কাঁধে
বালিশ। আসছেন বাংলাদেশের দিকে। এরপর একে একে যোগ দেন আরও অনেক সেলিব্রেটি।
সবারই টার্গেট বাংলাদেশে বালিশ ওঠানোর কাজ নেয়া। কিন্তু বাংলাদেশের
ছেলে-মেয়েরা কেন ছাড় দেবেন? তারাও বিসিএসের পড়া, বড় বড় চাকরি ছেড়ে দিয়ে
নেমে পড়তে চান বালিশ ওঠানোর কাজে।
স্যাটায়ার। কিন্তু কে না জানে এটা আসলে বাস্তবের চেয়েও বেশি কিছু। পরাবাস্তব। সিনেমাতেওতো বালিশ উঠিয়ে এতো টাকা আয় করা সম্ভব নয়। ঘটনাটি এরই মধ্যে সবারই জানা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য নির্মিত ভবনের জিনিসপত্র কেনা আর ওঠানোর খরচে হয়েছে অবিশ্বাস্য এ লুট। দেশ রূপান্তর পত্রিকা প্রথম বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। প্রায় প্রতিটি জিনিস কেনা আর ওঠানোর খরচে হয়েছে রীতিমতো রেকর্ড। একটি বালিশ কেনায় ব্যয় দেখানো হয়েছে ৫৯৫৭ টাকা। এটি বিশ্ব রেকর্ড কি-না কে জানে? তবে পরেরটি নিশ্চিতভাবেই বিশ্ব রেকর্ড। কারণ একটি বালিশ ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে এ ঘটনার তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করেছে।
ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। জনস্বার্থের নানা ইস্যু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে এনে এরই মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। জনস্বার্থে একাধিক রিটও করেছেন এখন পর্যন্ত। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইস্যুটিও তিনি নিয়ে গেছেন হাইকোর্টে। বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল এ নিয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি হয়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত দুর্নীতির ফিরিস্তি আদালতে তুলে ধরেন ব্যারিস্টার সুমন। অন্যদিকে, এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে জানান, এ নিয়ে মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ অবস্থায় রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। পরে আদালত শুনানি মুলতবি করে। একইসঙ্গে প্রতিবেদন দুটি দাখিলের নির্দেশ দেয়।
সে যাই হোক, দুর্নীতির বালিশ আখ্যান বাংলাদেশে বিপুল চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। এমনিতে সবকিছু এখন আমাদের গা সওয়া। কোন কিছুতেই কিছু যায় আসে না। নালিশ করতে করতে হয়তোবা আমরা ক্লান্তও। সেলফ সেন্সরশিপের যুগে সংবাদ মাধ্যমও নীরব। আমরা এখন খবর দেখিনা, খবর লিখিনা, খবর তৈরি করি না। আমরা এখন কেবল খবর হত্যা করি। জবাবদিহি শব্দটি উধাও হয়ে গেছে অভিধান থেকে। কখনো ছিল কি না এ নিয়েও অবশ্য কেউ প্রশ্ন তুললে তাকে দোষ দেয়া যাবে না। এমন অবস্থায় দুর্নীতির বালিশ আখ্যান আমাদের হতচকিত করেছে। কেউ কেউ রীতিমতো তাজ্জব বনে গেছেন। সংশয় আর শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। বলছেন, এক লাখ কোটি টাকার মূল প্রকল্পে জানি কী হচ্ছে! অনেকে আবার বলছেন, এটাই নাকি স্বাভাবিক। অন্য কিছু আশা করাটাই ভুল!
দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড ছিল আমাদের। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে আসে সে কলঙ্ক। পরেও আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এখন চ্যাম্পিয়ন না হলেও দুর্নীতি কমেছে সে কথা কেউ দাবি করেন না। আগেই বলেছি, জবাবদিহি এখন রীতিমতো নির্বাসিত। সংসদ অকার্যকর। সেখানে নানান কিসিমের বিরোধী দল। কাগজে-কলমে যারা বিরোধী দল তার সরকারি দলের সঙ্গে জোট বেঁধেই ভোটের লড়াই করেছে। যদিও সে লড়াই কেমন ছিল তা সবারই জানা। আরেকটি বিরোধী দল অনেক নাটকের পর সংসদে যোগ দিয়েছে। কতটা ইচ্ছায় কে জানে! একসময় সংসদীয় কমিটি গুলোতে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হতো। সেদিনও এখন আর নেই। কোনও দিন আসবে কি-না কে জানে?
বাংলাদেশ এখন রীতিমতো কূহেলিকায় আচ্ছন্ন। একদিকে উন্নয়ন, অগ্রগতি। বিশ্ব ব্যাংককে থোড়াই কেয়ার করে উঠছে পদ্মা সেতু। উর্ধ্বমুখী শহর। বড় বড় ইমরাত। জিডিপি বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনকরা দেশগুলোর তালিকায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। বিশ্ব ব্যাংক, এডিবিও এখন এটা স্বীকার করছে। এটি মুদ্রার একদিক। অন্যদিকের চিত্র ম্লান। ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে মারা যাচ্ছে আমাদের তরুণেরা। দুধ চোর এক বাবার কাহিনী কয়দিন আগেই ভাইরাল হয়েছে। এমন আরও কত কাহিনী যে পর্দার আড়ালে থেকে যাচ্ছে। ধনী-গরীবের বৈষম্য ইতিহাসের সর্বোচ্চ। এটি সরকারি রিপোর্টই। কোন কোন অর্থনীতিবিদ বলছেন, জাতীয় আয়ের ৯৫ ভাগ চলে যাচ্ছে ৫ ভাগ মানুষের হাতে। প্রতিবছরই তারা আরও ধনী হচ্ছেন।
এই যখন অবস্থা তখন বালিশ ওঠানোর কাজে যোগ দিতে তরুণদের আর্জিকে শুধু হাস্যরস হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। তরুণদের চাকরি নেই এটাতো এক নির্মম বাস্তবতা। বালিশ আখ্যানে ওই বাস্তবতা আমরা যেন ভুলে না যাই। একইসঙ্গে যেন না ভুলি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার ইস্যুটিও।
এক বছরেরও কিছু বেশি সময় আগে একটি সহযোগী দৈনিকে প্রকৌশলী মওদুদ রহমান লিখেছিলেন, ১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থ্রি মাইল আইল্যান্ড পারমাণবিক দুর্ঘটনার মাধ্যমে বেজেছিল সাবধান হয়ে যাওয়ার ঘণ্টা। কিন্তু সে সময়ে নীতিনির্ধারকেরা তা কানে তোলেননি। যার মূল্য গুনতে হয়েছে ১৯৮৬ সালের ২৬শে এপ্রিল ইউক্রেনে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণের ঘটনার মাধ্যমে। ৩২ বছর পেরিয়ে গেলেও চেরনোবিল শহর এখনো বসবাসের জন্য অনুপযুক্ত। বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম আর ক্যানসারে মৃত্যু এখনো সেখানে নিয়মিত ঘটনা। তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছড়িয়ে পড়া রাশিয়া, বেলারুশ আর ইউক্রেনের কয়েক লাখ হেক্টর জমি আজও ফলনের জন্য অনুপযুক্ত।
শেষ কথা: বাংলাদেশের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির বিস্তার ঘটেছে। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক এটাই বাস্তবতা। কিন্তু একটি বালিশ ভবনে তোলার খরচ প্রায় হাজার টাকায় পৌঁছে গেছে-দুর্নীতির এমন বিস্তার হয়তো কল্পনাতেও ছিল না। যে কারণে বালিশ কাহিনী সমাজকে এতোটা হতচকিত করেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শুধু তদন্ত আর বিচার নয়, ছয় হাজার টাকা দামের সেই বালিশগুলোকে সংরক্ষণ করা হোক। এগুলোতো নিশ্চিতভাবেই ইতিহাসের বড় উপকরণ।
স্যাটায়ার। কিন্তু কে না জানে এটা আসলে বাস্তবের চেয়েও বেশি কিছু। পরাবাস্তব। সিনেমাতেওতো বালিশ উঠিয়ে এতো টাকা আয় করা সম্ভব নয়। ঘটনাটি এরই মধ্যে সবারই জানা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য নির্মিত ভবনের জিনিসপত্র কেনা আর ওঠানোর খরচে হয়েছে অবিশ্বাস্য এ লুট। দেশ রূপান্তর পত্রিকা প্রথম বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। প্রায় প্রতিটি জিনিস কেনা আর ওঠানোর খরচে হয়েছে রীতিমতো রেকর্ড। একটি বালিশ কেনায় ব্যয় দেখানো হয়েছে ৫৯৫৭ টাকা। এটি বিশ্ব রেকর্ড কি-না কে জানে? তবে পরেরটি নিশ্চিতভাবেই বিশ্ব রেকর্ড। কারণ একটি বালিশ ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে এ ঘটনার তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করেছে।
ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। জনস্বার্থের নানা ইস্যু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে এনে এরই মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। জনস্বার্থে একাধিক রিটও করেছেন এখন পর্যন্ত। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইস্যুটিও তিনি নিয়ে গেছেন হাইকোর্টে। বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল এ নিয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি হয়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত দুর্নীতির ফিরিস্তি আদালতে তুলে ধরেন ব্যারিস্টার সুমন। অন্যদিকে, এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে জানান, এ নিয়ে মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ অবস্থায় রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। পরে আদালত শুনানি মুলতবি করে। একইসঙ্গে প্রতিবেদন দুটি দাখিলের নির্দেশ দেয়।
সে যাই হোক, দুর্নীতির বালিশ আখ্যান বাংলাদেশে বিপুল চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। এমনিতে সবকিছু এখন আমাদের গা সওয়া। কোন কিছুতেই কিছু যায় আসে না। নালিশ করতে করতে হয়তোবা আমরা ক্লান্তও। সেলফ সেন্সরশিপের যুগে সংবাদ মাধ্যমও নীরব। আমরা এখন খবর দেখিনা, খবর লিখিনা, খবর তৈরি করি না। আমরা এখন কেবল খবর হত্যা করি। জবাবদিহি শব্দটি উধাও হয়ে গেছে অভিধান থেকে। কখনো ছিল কি না এ নিয়েও অবশ্য কেউ প্রশ্ন তুললে তাকে দোষ দেয়া যাবে না। এমন অবস্থায় দুর্নীতির বালিশ আখ্যান আমাদের হতচকিত করেছে। কেউ কেউ রীতিমতো তাজ্জব বনে গেছেন। সংশয় আর শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। বলছেন, এক লাখ কোটি টাকার মূল প্রকল্পে জানি কী হচ্ছে! অনেকে আবার বলছেন, এটাই নাকি স্বাভাবিক। অন্য কিছু আশা করাটাই ভুল!
দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড ছিল আমাদের। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে আসে সে কলঙ্ক। পরেও আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এখন চ্যাম্পিয়ন না হলেও দুর্নীতি কমেছে সে কথা কেউ দাবি করেন না। আগেই বলেছি, জবাবদিহি এখন রীতিমতো নির্বাসিত। সংসদ অকার্যকর। সেখানে নানান কিসিমের বিরোধী দল। কাগজে-কলমে যারা বিরোধী দল তার সরকারি দলের সঙ্গে জোট বেঁধেই ভোটের লড়াই করেছে। যদিও সে লড়াই কেমন ছিল তা সবারই জানা। আরেকটি বিরোধী দল অনেক নাটকের পর সংসদে যোগ দিয়েছে। কতটা ইচ্ছায় কে জানে! একসময় সংসদীয় কমিটি গুলোতে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হতো। সেদিনও এখন আর নেই। কোনও দিন আসবে কি-না কে জানে?
বাংলাদেশ এখন রীতিমতো কূহেলিকায় আচ্ছন্ন। একদিকে উন্নয়ন, অগ্রগতি। বিশ্ব ব্যাংককে থোড়াই কেয়ার করে উঠছে পদ্মা সেতু। উর্ধ্বমুখী শহর। বড় বড় ইমরাত। জিডিপি বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনকরা দেশগুলোর তালিকায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। বিশ্ব ব্যাংক, এডিবিও এখন এটা স্বীকার করছে। এটি মুদ্রার একদিক। অন্যদিকের চিত্র ম্লান। ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে মারা যাচ্ছে আমাদের তরুণেরা। দুধ চোর এক বাবার কাহিনী কয়দিন আগেই ভাইরাল হয়েছে। এমন আরও কত কাহিনী যে পর্দার আড়ালে থেকে যাচ্ছে। ধনী-গরীবের বৈষম্য ইতিহাসের সর্বোচ্চ। এটি সরকারি রিপোর্টই। কোন কোন অর্থনীতিবিদ বলছেন, জাতীয় আয়ের ৯৫ ভাগ চলে যাচ্ছে ৫ ভাগ মানুষের হাতে। প্রতিবছরই তারা আরও ধনী হচ্ছেন।
এই যখন অবস্থা তখন বালিশ ওঠানোর কাজে যোগ দিতে তরুণদের আর্জিকে শুধু হাস্যরস হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। তরুণদের চাকরি নেই এটাতো এক নির্মম বাস্তবতা। বালিশ আখ্যানে ওই বাস্তবতা আমরা যেন ভুলে না যাই। একইসঙ্গে যেন না ভুলি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার ইস্যুটিও।
এক বছরেরও কিছু বেশি সময় আগে একটি সহযোগী দৈনিকে প্রকৌশলী মওদুদ রহমান লিখেছিলেন, ১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থ্রি মাইল আইল্যান্ড পারমাণবিক দুর্ঘটনার মাধ্যমে বেজেছিল সাবধান হয়ে যাওয়ার ঘণ্টা। কিন্তু সে সময়ে নীতিনির্ধারকেরা তা কানে তোলেননি। যার মূল্য গুনতে হয়েছে ১৯৮৬ সালের ২৬শে এপ্রিল ইউক্রেনে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণের ঘটনার মাধ্যমে। ৩২ বছর পেরিয়ে গেলেও চেরনোবিল শহর এখনো বসবাসের জন্য অনুপযুক্ত। বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম আর ক্যানসারে মৃত্যু এখনো সেখানে নিয়মিত ঘটনা। তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছড়িয়ে পড়া রাশিয়া, বেলারুশ আর ইউক্রেনের কয়েক লাখ হেক্টর জমি আজও ফলনের জন্য অনুপযুক্ত।
শেষ কথা: বাংলাদেশের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির বিস্তার ঘটেছে। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক এটাই বাস্তবতা। কিন্তু একটি বালিশ ভবনে তোলার খরচ প্রায় হাজার টাকায় পৌঁছে গেছে-দুর্নীতির এমন বিস্তার হয়তো কল্পনাতেও ছিল না। যে কারণে বালিশ কাহিনী সমাজকে এতোটা হতচকিত করেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শুধু তদন্ত আর বিচার নয়, ছয় হাজার টাকা দামের সেই বালিশগুলোকে সংরক্ষণ করা হোক। এগুলোতো নিশ্চিতভাবেই ইতিহাসের বড় উপকরণ।
No comments