খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার
সরকার
খালেদা জিয়াকে কারাগারের মধ্যেই কি মেরে ফেলতে চায় বলে প্রশ্ন রেখেছেন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ
কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার কি বিনা চিকিৎসায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়াকে কারাগারের ভিতরেই মেরে ফেলতে চায়? তাকে হত্যা করতে চায়? এতো
দূর্বলতা কেনো তাদের? এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির এমপিদের শপথ
নেয়ার সঙ্গে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো বিষয় নেই। আমরা কি কখনো
বলেছি তার মুক্তির সঙ্গে শপথের সম্পর্ক আছে। বরং আমরা বলেছি, রাজনৈতিক ও
বর্তমান পরিস্থিতি, গণতন্ত্র এবং আমাদের দলের স্বার্থে আমরা সংসদে গিয়েছি।
আমরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও মুক্তির বিষয়ের সঙ্গে এটাকে কখনো জড়াইনি।
সুতরাং সংসদে যাওয়ার সঙ্গে দেশনেত্রীর মুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই।
প্যারোলে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, তার যে জামিনটা প্রাপ্য সেটাই আমরা চাই। যে মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে সেই মামলায় তো তিনি জামিনযোগ্য। তিনি জামিন পেতে পারেন। সবাই পেয়েছে। কিন্তু আজকে খালেদা জিয়ার ব্যাপারে কেনো এমন সিদ্ধান্ত! তিনি বলেন, আমরা বারবার সরকারকে বলেছি- দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে আমরা বলেছিলাম তিনি এখানে আসতে চাচ্ছেন না। তিনি বাইরে থেকে চিকিৎসা করাতে চান। কিন্তু বাইরে তাকে চিকিৎসা নিতে দেয়া হয়নি। কেনো দেয়া হচ্ছে না? মির্জা আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে সরকার আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। এটা আইনের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিরোধী। আর বেগম জিয়ার সঙ্গে যে আচারণ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অমানবিক, মানবাধিকার ও সংবিধান লঙ্ঘন করা হচ্ছে এতে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তো মুক্তিযোদ্ধা বটেই। কারণ তার স্বামী স্বাধীনতার ঘোষণা করার অপরাধে যদি তাকে জেলে থাকতে হয়, তাহলে কি তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন? খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মির্জা আলমগীর বলেন, তিনি ডায়াবেটিসে ভুগচ্ছেন। যেটাকে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বলা হয়। আর ইনস্যুলিন নেয়ার পরও তার ডায়াবেটিস কমছে না। এই অবস্থায় একজন বয়স্ক মহিলার কারাগারে কি পরিণতি হতে পারে, তা আমরা সবাই জানি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আগে হাতের বাম কাঁধের ব্যথায় ভুগছিলেন। এখন সেটা ডান কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। যার ফলে তার হাতগুলো তিনি নাড়াতে পারছেন না। পা সোজা থাকলে তিনি বাঁকা করতে পারছেন না। তিনি কোন সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না। এছাড়া তার পেশীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে বা অকেজো হয়ে যাচ্ছে। সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা জন্য তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে তার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করবার জন্য খালেদা জিয়াকে বেআইনীভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। তার সুচিকিৎসায় সরকার অসহযোগিতা করছে। তারা জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। তাই জনগণের নেত্রীকে কারাগারে রেখে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। খালেদা জিয়া যেন জামিন না পান সেজন্য সরকার নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে। যে মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে সেই মামলায় তিনি জামিনযোগ্য। জামিন পেতে তার আইনগত প্রাপ্যতা রয়েছে। কিন্তু সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে জামিন আদালতের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী ও এম এ কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজয় অর্জন করায় নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে চিঠি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচন ভালো হয়েছে। জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে সক্ষম হরেছেন। যেটা বাংলাদেশে পারেনি। আমরা আশা করি, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে দেশ ও জনগণের মধ্যে। এছাড়া দুই দেশের স্বার্থ ও মানুষের সম্মানের ভিত্তিতে সম্পর্ক হবে।
প্যারোলে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, তার যে জামিনটা প্রাপ্য সেটাই আমরা চাই। যে মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে সেই মামলায় তো তিনি জামিনযোগ্য। তিনি জামিন পেতে পারেন। সবাই পেয়েছে। কিন্তু আজকে খালেদা জিয়ার ব্যাপারে কেনো এমন সিদ্ধান্ত! তিনি বলেন, আমরা বারবার সরকারকে বলেছি- দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে আমরা বলেছিলাম তিনি এখানে আসতে চাচ্ছেন না। তিনি বাইরে থেকে চিকিৎসা করাতে চান। কিন্তু বাইরে তাকে চিকিৎসা নিতে দেয়া হয়নি। কেনো দেয়া হচ্ছে না? মির্জা আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে সরকার আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। এটা আইনের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিরোধী। আর বেগম জিয়ার সঙ্গে যে আচারণ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অমানবিক, মানবাধিকার ও সংবিধান লঙ্ঘন করা হচ্ছে এতে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তো মুক্তিযোদ্ধা বটেই। কারণ তার স্বামী স্বাধীনতার ঘোষণা করার অপরাধে যদি তাকে জেলে থাকতে হয়, তাহলে কি তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন? খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মির্জা আলমগীর বলেন, তিনি ডায়াবেটিসে ভুগচ্ছেন। যেটাকে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বলা হয়। আর ইনস্যুলিন নেয়ার পরও তার ডায়াবেটিস কমছে না। এই অবস্থায় একজন বয়স্ক মহিলার কারাগারে কি পরিণতি হতে পারে, তা আমরা সবাই জানি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আগে হাতের বাম কাঁধের ব্যথায় ভুগছিলেন। এখন সেটা ডান কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। যার ফলে তার হাতগুলো তিনি নাড়াতে পারছেন না। পা সোজা থাকলে তিনি বাঁকা করতে পারছেন না। তিনি কোন সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না। এছাড়া তার পেশীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে বা অকেজো হয়ে যাচ্ছে। সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা জন্য তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে তার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করবার জন্য খালেদা জিয়াকে বেআইনীভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। তার সুচিকিৎসায় সরকার অসহযোগিতা করছে। তারা জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। তাই জনগণের নেত্রীকে কারাগারে রেখে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। খালেদা জিয়া যেন জামিন না পান সেজন্য সরকার নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে। যে মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে সেই মামলায় তিনি জামিনযোগ্য। জামিন পেতে তার আইনগত প্রাপ্যতা রয়েছে। কিন্তু সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে জামিন আদালতের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী ও এম এ কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজয় অর্জন করায় নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে চিঠি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচন ভালো হয়েছে। জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে সক্ষম হরেছেন। যেটা বাংলাদেশে পারেনি। আমরা আশা করি, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে দেশ ও জনগণের মধ্যে। এছাড়া দুই দেশের স্বার্থ ও মানুষের সম্মানের ভিত্তিতে সম্পর্ক হবে।
No comments