তেরেসা মে’র চোখে তখন পানি
১০
ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে।
দলীয় প্রচণ্ড চাপের মুখে গতকাল পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় বারবার
কান্নায় কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসছিল তার। ঘোষণার শেষ পর্যায়ে কার্যত হাউমাউ করে
কেঁদে ফেলেন তেরেসা মে। তিনি বলেন, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব
পালন আমার জীবনের জন্য সবথেকে সম্মানের। ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে পরপর তিনবার
পার্লামেন্টে ভয়াবহভাবে পরাজিত হন তিনি। এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে অবস্থান
নেন নিজের দল কনজারভেটিভের বিপুল সংখ্যক পার্লামেন্ট সদস্য। সর্বশেষ তার
বিরুদ্ধে আরো একবার অনাস্থা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছিল ১৯২২ কমিটি। তবে তার
আগেই ব্যাকবেঞ্চার হিসেবে পরিচিত ১৯২২ কমিটির চেয়ার গ্রাহাম ব্রাডির সঙ্গে
বৈঠক শেষে গতকাল তিনি পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। বলেন, ৭ই জুন ক্ষমতাসীন
কনজারভেটিভ দলের প্রধানের পদ থেকে সরে যাবেন তিনি। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে নেবেন তেরেসা মে। তার এ ঘোষণার
পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। এ খবর দিয়েছে
অনলাইন বিবিসি।
গতকালের বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের গণভোটকে সম্মান জানাতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তার সময় সরকারের নানা অর্জনের কথা তুলে ধরেন তেরেসা মে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক ঘাটতি মোকাবিলা, বেকারত্ব কমানো ও মানসিক স্বাস্থ্যখাতে অর্থায়ন বৃদ্ধি। তবে ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে সফল না হওয়া তার জন্য ভীষণ অনুতাপের বলেও জানান বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। মে’র পদত্যাগের মধ্য দিয়ে কার্যত কঠিন হয়ে উঠলো ব্রেক্সিট।
তেরেসা মে বলেন, আমি বৃটেনের রাণীকে আমার সকল কথা বলেছি। যতদিন না পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী আসছেন ততদিন আমি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবো। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে সফল হতে হলে অবশ্যই ঐক্য গড়তে হবে যেটি আমি পারিনি। আর এই ঐক্য শুধুমাত্র তখনই সম্ভব যদি উভয় পক্ষই যথেষ্ট উদারতা দেখাতে প্রস্তুত থাকে।
এসময় তিনি স্যার নিকোলাস উইনটনের কথা তুলে ধরেন। নিকোলাস উইনটন একবার তেরেসা মে’কে বলেছিলেন, কখনো ভুলে যেও না যে আপস কোনো খারাপ শব্দ নয়। জীবন বেঁচে থাকে এই আপসের উপরেই। সেই ঘটনা বক্তব্যে তুলে আনেন তেরেসা মে। তিনি বলেন, স্যার নিকোলাস উইনটন সঠিক ছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি দলের প্রধান থেকে পদত্যাগ করবেন ৭ই জুন। এর ৭ দিনের মধ্যেই কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্ব নির্ধারণী প্রক্রিয়া শুরু হবে। বক্তব্য দেয়ার এক পর্যায়ে তেরেসা মে আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি অতি শিগগিরই পদত্যাগ করবো। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জীবনের সবথেকে বড় সম্মান। তিনি যুক্ত করেন, এমপিদের বোঝাতে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। দুঃখজনক হলো যে আমি ব্যর্থ হয়েছি। তাই বৃটেনের এই বিষয়টিকে (ব্রেক্সিটকে) এগিয়ে নিয়ে যেতে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী দরকার। বক্তব্য শেষ করার আগে তেরেসা মে বলেন, আমি বৃটেনের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী কিন্তু আমিই শেষ নই। আমি যা করেছি তার পিছনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। দেশের সেবা করার সুযোগ দেয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।
উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে আগাম নির্বাচন হতে পারে বৃটেনে। এমনটা মনে করেন হারমিস ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সিলভিয়া ডাল’অ্যানজেলো। তার মতে, পরবর্তী নেতৃত্বের অধীনে একটি ঝুঁকি থাকবে। তাহলো নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে পার্লামেন্টের প্রাতিষ্ঠানিক উত্তেজনা তীব্র হবে। তা রূপ নিতে পারে অকার্যকর রাজনৈতিক পটভূমিতে। তিনি বলেন, এতে পরবর্তী ধাপে যা হতে পারে তা হলো আগাম নির্বাচন। অন্য ঘটনাও ঘটতে পারে। আসতে পারে একটি দ্বিতীয় গণভোট এবং চুক্তিহীন ব্রেক্সিট সম্পাদনের মতো বিষয়।
বৃটিশ ও আন্তর্জাতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়া
মে’র পদত্যাগের ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন, স্কটিশ কনজার্ভেটিভ নেতা রুথ ডেভিডসন, সাবেক বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনসহ অনেকে।
মে’র পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে সম্মানের সঙ্গে দেখছেন মারকেল। মারকেলের মুখপাত্র বলেছেন, জার্মান চ্যান্সেলর মিসেস মে’র সঙ্গে সব সময়ই আস্থার সঙ্গে, চমৎকারভাবে কাজ করেছেন। তিনি যতদিন পদে থাকেন তার সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবেন মারকেল।
বৃটেনে নতুন করে উদ্ভূত এ পরিস্থিতির দিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে ইউরোপীয় কাউন্সিল। তারা এ নিয়ে আগামী মঙ্গলবার বৈঠক করবে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র।
মে’র পদত্যাগের ঘোষণায় সমর্থন জানিয়ে ব্যক্তিগত বার্তা পাঠিয়েছেন ম্যাক্রন। তবে জানিয়েছেন, ফ্রান্স দ্রুততার সঙ্গে ব্রেক্সিট সম্পাদনা চায়।
ডেভিডসন বলেন, তেরেসা মে নারী ও মেয়েদের জন্য মডেল হয়ে থাকবেন। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। প্রাণোচ্ছলতায় কাজ করেছেন। তিনি পুরোপুরি মর্যাদা ধরে রেখে কাজ করেছেন। ওদিকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী পদে সম্ভাব্য প্রার্থী বরিস জনসনকে একজন ভণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেন।
এদিকে, মে’র পদত্যাগের পর বৃটেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রাখছে ইইউ। আজ শনিবার এ বিষয়ে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাদের।
মে’র পদত্যাগের পরপরই তার প্রশংসায় মুখিয়ে ওঠেন বৃটিশ নেতারা। এমনকি তার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন এমন অনেকেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রশংসা করেছেন। এর মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন।
দেশের সেবা করায় মে’কে ধন্যবাদ জানিয়ে বৃটিশ রাজনীতিবিদদের মে’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে একজোট হয়ে ব্রেক্সিট সমপন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন জনসন।
জনসন ছাড়া আরো এক সাবেক মন্ত্রীও মে’র প্রশংসা করেছেন। সাবেক ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক রা’ব বলেন, মে সবসময়ই উচ্চ মর্যাদাবোধসমপন্ন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমী ও কর্তব্যনিষ্ঠ কনজারভেটিভ।
এছাড়া, সমপ্রতি পদত্যাগ করা হাউজ অব কমন্সের নেত্রী অ্যান্ড্রিয়া লিডসম বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের ভাষণে দেশের প্রতি মে’র পূর্ণ অঙ্গীকার ও দায়িত্ব ফুটে উঠেছে। তিনি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, তার সবটুকু দিয়ে।
বৃটিশ পরিবেশমন্ত্রী মাইক্যাল গোভ এক টুইটে লিখেছেন, আমাদের সম্মান ও কৃতজ্ঞতার দাবিদার হওয়া একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিহরণ জাগানো একটি বক্তৃতা। তেরেসা মে, আপনাকে ধন্যবাদ।
গতকালের বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের গণভোটকে সম্মান জানাতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তার সময় সরকারের নানা অর্জনের কথা তুলে ধরেন তেরেসা মে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক ঘাটতি মোকাবিলা, বেকারত্ব কমানো ও মানসিক স্বাস্থ্যখাতে অর্থায়ন বৃদ্ধি। তবে ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে সফল না হওয়া তার জন্য ভীষণ অনুতাপের বলেও জানান বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। মে’র পদত্যাগের মধ্য দিয়ে কার্যত কঠিন হয়ে উঠলো ব্রেক্সিট।
তেরেসা মে বলেন, আমি বৃটেনের রাণীকে আমার সকল কথা বলেছি। যতদিন না পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী আসছেন ততদিন আমি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবো। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে সফল হতে হলে অবশ্যই ঐক্য গড়তে হবে যেটি আমি পারিনি। আর এই ঐক্য শুধুমাত্র তখনই সম্ভব যদি উভয় পক্ষই যথেষ্ট উদারতা দেখাতে প্রস্তুত থাকে।
এসময় তিনি স্যার নিকোলাস উইনটনের কথা তুলে ধরেন। নিকোলাস উইনটন একবার তেরেসা মে’কে বলেছিলেন, কখনো ভুলে যেও না যে আপস কোনো খারাপ শব্দ নয়। জীবন বেঁচে থাকে এই আপসের উপরেই। সেই ঘটনা বক্তব্যে তুলে আনেন তেরেসা মে। তিনি বলেন, স্যার নিকোলাস উইনটন সঠিক ছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি দলের প্রধান থেকে পদত্যাগ করবেন ৭ই জুন। এর ৭ দিনের মধ্যেই কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্ব নির্ধারণী প্রক্রিয়া শুরু হবে। বক্তব্য দেয়ার এক পর্যায়ে তেরেসা মে আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি অতি শিগগিরই পদত্যাগ করবো। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জীবনের সবথেকে বড় সম্মান। তিনি যুক্ত করেন, এমপিদের বোঝাতে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। দুঃখজনক হলো যে আমি ব্যর্থ হয়েছি। তাই বৃটেনের এই বিষয়টিকে (ব্রেক্সিটকে) এগিয়ে নিয়ে যেতে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী দরকার। বক্তব্য শেষ করার আগে তেরেসা মে বলেন, আমি বৃটেনের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী কিন্তু আমিই শেষ নই। আমি যা করেছি তার পিছনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। দেশের সেবা করার সুযোগ দেয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।
উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে আগাম নির্বাচন হতে পারে বৃটেনে। এমনটা মনে করেন হারমিস ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সিলভিয়া ডাল’অ্যানজেলো। তার মতে, পরবর্তী নেতৃত্বের অধীনে একটি ঝুঁকি থাকবে। তাহলো নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে পার্লামেন্টের প্রাতিষ্ঠানিক উত্তেজনা তীব্র হবে। তা রূপ নিতে পারে অকার্যকর রাজনৈতিক পটভূমিতে। তিনি বলেন, এতে পরবর্তী ধাপে যা হতে পারে তা হলো আগাম নির্বাচন। অন্য ঘটনাও ঘটতে পারে। আসতে পারে একটি দ্বিতীয় গণভোট এবং চুক্তিহীন ব্রেক্সিট সম্পাদনের মতো বিষয়।
বৃটিশ ও আন্তর্জাতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়া
মে’র পদত্যাগের ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন, স্কটিশ কনজার্ভেটিভ নেতা রুথ ডেভিডসন, সাবেক বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনসহ অনেকে।
মে’র পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে সম্মানের সঙ্গে দেখছেন মারকেল। মারকেলের মুখপাত্র বলেছেন, জার্মান চ্যান্সেলর মিসেস মে’র সঙ্গে সব সময়ই আস্থার সঙ্গে, চমৎকারভাবে কাজ করেছেন। তিনি যতদিন পদে থাকেন তার সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবেন মারকেল।
বৃটেনে নতুন করে উদ্ভূত এ পরিস্থিতির দিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে ইউরোপীয় কাউন্সিল। তারা এ নিয়ে আগামী মঙ্গলবার বৈঠক করবে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র।
মে’র পদত্যাগের ঘোষণায় সমর্থন জানিয়ে ব্যক্তিগত বার্তা পাঠিয়েছেন ম্যাক্রন। তবে জানিয়েছেন, ফ্রান্স দ্রুততার সঙ্গে ব্রেক্সিট সম্পাদনা চায়।
ডেভিডসন বলেন, তেরেসা মে নারী ও মেয়েদের জন্য মডেল হয়ে থাকবেন। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। প্রাণোচ্ছলতায় কাজ করেছেন। তিনি পুরোপুরি মর্যাদা ধরে রেখে কাজ করেছেন। ওদিকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী পদে সম্ভাব্য প্রার্থী বরিস জনসনকে একজন ভণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেন।
এদিকে, মে’র পদত্যাগের পর বৃটেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রাখছে ইইউ। আজ শনিবার এ বিষয়ে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাদের।
মে’র পদত্যাগের পরপরই তার প্রশংসায় মুখিয়ে ওঠেন বৃটিশ নেতারা। এমনকি তার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন এমন অনেকেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রশংসা করেছেন। এর মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন।
দেশের সেবা করায় মে’কে ধন্যবাদ জানিয়ে বৃটিশ রাজনীতিবিদদের মে’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে একজোট হয়ে ব্রেক্সিট সমপন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন জনসন।
জনসন ছাড়া আরো এক সাবেক মন্ত্রীও মে’র প্রশংসা করেছেন। সাবেক ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক রা’ব বলেন, মে সবসময়ই উচ্চ মর্যাদাবোধসমপন্ন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমী ও কর্তব্যনিষ্ঠ কনজারভেটিভ।
এছাড়া, সমপ্রতি পদত্যাগ করা হাউজ অব কমন্সের নেত্রী অ্যান্ড্রিয়া লিডসম বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের ভাষণে দেশের প্রতি মে’র পূর্ণ অঙ্গীকার ও দায়িত্ব ফুটে উঠেছে। তিনি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, তার সবটুকু দিয়ে।
বৃটিশ পরিবেশমন্ত্রী মাইক্যাল গোভ এক টুইটে লিখেছেন, আমাদের সম্মান ও কৃতজ্ঞতার দাবিদার হওয়া একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিহরণ জাগানো একটি বক্তৃতা। তেরেসা মে, আপনাকে ধন্যবাদ।
No comments