নেহরু ও ইন্দিরার পর পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদি
ভারতে
জওয়াহের লাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর পর পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে
দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়া একমাত্র প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আখ্যায়িত
হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক নিরঙ্কুশ জয়লাভ
করেছেন তিনি। এ নিয়ে টানা দুইবার একক দল হিসেবে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা
পেয়েছে তার নেতৃত্বাধীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোট গণনার প্রাথমিক ফল অনুসারে, ৫৪২ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে একক দল হিসেবে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এগিয়ে ছিল কমপক্ষে সাড়ে তিন শত আসনে। যেখানে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দাবি করতে প্রয়োজন মাত্র ২৭২ আসন। এদিকে, নেহরু-গান্ধী বংশের তরুণ উত্তরাধিকার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস এগিয়ে ছিল মাত্র ৫৩ আসনে। যদিও তার প্রো-প্রো-পিতামহ নেহরু ১৯৫১-৫২ সালে তার প্রথম লোকসভা নির্বাচনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। এমনকি পরবর্তীতে ১৯৫৭ সাল ও ১৯৬২ সালেও পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচিত হন নেহরু। ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতে প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যে কারণে ওই বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করে ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দেশজুড়ে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল।
নেহরুর আমলে কংগ্রেস ছিল অপ্রতিরোধ্য এক শক্তি। তবে তখনই ভারতীয় জনসংঘ, কিষান মজদুর প্রজা পার্টি, স্কেডিউল্ড ক্যাস্ট ফেডারেশন ও সোশ্যালিস্ট পার্টির মতো দলগুলো ধীরে ধীরে সংগঠিত হয়ে উঠছিল। তারপরও তৎকালীন ৪৮৯ আসনের মধ্যে ৩৬৪ আসন জিতেছিল কংগ্রেস। মোট ভোটের ৪৫ শতাংশ একাই দখলে নিয়েছিল দলটি। এরপর ১৯৫৭ সালে পুনঃনির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন নেহরু। ভারত তখন কঠিন অবস্থা পার করছিল। হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৫ পাস হওয়ার পর দলের ভেতর ও বাইরে ডানপন্থিদের মোকাবিলা করছিলেন নেহরু। ভাষা নিয়েও তখন নানা বিতর্ক চলছিল দেশজুড়ে। ১৯৫৩ সালে স্টেটস রি-অর্গানাইজেশন কমিটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর, বেশিরভাগ রাষ্ট্রই ভাষাগত মিল বিবেচনা করে গঠন করা হয়। এর মধ্যে খাবার সংকটেও ভুগছিল ভারত। সবমিলিয়ে বেশ সংকটময় অবস্থায় ছিলেন নেহরু। তবে এসবের মধ্যেও ১৯৫৭ সালের লোকসভা নির্বাচনে দর্শনীয় জয়লাভ করেন তিনি। এমনকি আগের চেয়ে আরো ভালোভাবে জয় পান তিনি। ওই নির্বাচনে কংগ্রেস জিতেছিল ৩৭১ আসনে। পেয়েছিল মোট ভোটের ৪৭.৭৮ শতাংশ। নেহরু শেষবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ১৯৬২ সালে। ৪৯৪ আসনের মধ্যে তার দল জেতে ৩৬১ আসন। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত শাসন করা কংগ্রেসের দেয়ালে ফাটল দেখা দেয় ১৯৬৭ সালের নির্বাচনে। ওই সালে প্রথমবারের মতো দলটি বিধানসভা নির্বাচনে ছয়টি প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ হারায়। এর মধ্যে তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গে সেটাই ছিল কংগ্রেসের প্রথম হার। কিন্তু সেটা ছিল নেহরুর মেয়ে ও রাহুলের দাদী ইন্দিরা গান্ধীর প্রথম লোকসভা নির্বাচন। সে নির্বাচনে ৫২০ আসনের মধ্যে ২৮৩ আসনে জয়লাভ করে তার দল।
১৯৬৯ সালে ইন্দিরা কংগ্রেসের পুরনো শাখা বাতিল করে দেন। শাখাটির নাম ছিল কংগ্রেস (ও)। ওই শাখার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মোরারজি দেসাই। সে সময়েই ইন্দিরা গান্ধী ‘গারিবি হটাও’ স্লোগান চালু করেন। দেশজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় তার এই স্লোগান। ফলস্বরূপ ১৯৭১ সালে ৩৫২ আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরেন তিনি। অন্যদিকে, ২০১০ সালের দিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেসময় গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় বিজেপি। ভারতজুড়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণায় নামেন তিনি। জয়ীও হন বিপুল ভোটে। ২৮২ আসনে জয় পায় বিজেপি। আর পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচনে তিনি আরো বড় চমক সৃষ্টি করছেন। তার ধারে কাছেও নেই কোনো দল। ভোট গণনার দু’চার দিন আগে বিরোধী দলগুলোর প্রধানরা ও দলের মুখরা নেতারা নানা অভিযোগ উত্থাপন করতে থাকেন। তারা নেতাকর্মীদের ‘গুজবে’ কান না দেয়ার আহ্বান জানান। স্ট্রংরুম পাহারা বসান। কিন্তু কোনো কিছুতেই মোদিকে আটকানো যায় নি। এক অসাধারণ বিস্ময় সৃষ্টি করে রেকর্ড গড়লেন তিনি।
অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোট গণনার প্রাথমিক ফল অনুসারে, ৫৪২ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে একক দল হিসেবে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এগিয়ে ছিল কমপক্ষে সাড়ে তিন শত আসনে। যেখানে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দাবি করতে প্রয়োজন মাত্র ২৭২ আসন। এদিকে, নেহরু-গান্ধী বংশের তরুণ উত্তরাধিকার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস এগিয়ে ছিল মাত্র ৫৩ আসনে। যদিও তার প্রো-প্রো-পিতামহ নেহরু ১৯৫১-৫২ সালে তার প্রথম লোকসভা নির্বাচনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। এমনকি পরবর্তীতে ১৯৫৭ সাল ও ১৯৬২ সালেও পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচিত হন নেহরু। ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতে প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যে কারণে ওই বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করে ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দেশজুড়ে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল।
নেহরুর আমলে কংগ্রেস ছিল অপ্রতিরোধ্য এক শক্তি। তবে তখনই ভারতীয় জনসংঘ, কিষান মজদুর প্রজা পার্টি, স্কেডিউল্ড ক্যাস্ট ফেডারেশন ও সোশ্যালিস্ট পার্টির মতো দলগুলো ধীরে ধীরে সংগঠিত হয়ে উঠছিল। তারপরও তৎকালীন ৪৮৯ আসনের মধ্যে ৩৬৪ আসন জিতেছিল কংগ্রেস। মোট ভোটের ৪৫ শতাংশ একাই দখলে নিয়েছিল দলটি। এরপর ১৯৫৭ সালে পুনঃনির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন নেহরু। ভারত তখন কঠিন অবস্থা পার করছিল। হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৫ পাস হওয়ার পর দলের ভেতর ও বাইরে ডানপন্থিদের মোকাবিলা করছিলেন নেহরু। ভাষা নিয়েও তখন নানা বিতর্ক চলছিল দেশজুড়ে। ১৯৫৩ সালে স্টেটস রি-অর্গানাইজেশন কমিটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর, বেশিরভাগ রাষ্ট্রই ভাষাগত মিল বিবেচনা করে গঠন করা হয়। এর মধ্যে খাবার সংকটেও ভুগছিল ভারত। সবমিলিয়ে বেশ সংকটময় অবস্থায় ছিলেন নেহরু। তবে এসবের মধ্যেও ১৯৫৭ সালের লোকসভা নির্বাচনে দর্শনীয় জয়লাভ করেন তিনি। এমনকি আগের চেয়ে আরো ভালোভাবে জয় পান তিনি। ওই নির্বাচনে কংগ্রেস জিতেছিল ৩৭১ আসনে। পেয়েছিল মোট ভোটের ৪৭.৭৮ শতাংশ। নেহরু শেষবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ১৯৬২ সালে। ৪৯৪ আসনের মধ্যে তার দল জেতে ৩৬১ আসন। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত শাসন করা কংগ্রেসের দেয়ালে ফাটল দেখা দেয় ১৯৬৭ সালের নির্বাচনে। ওই সালে প্রথমবারের মতো দলটি বিধানসভা নির্বাচনে ছয়টি প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ হারায়। এর মধ্যে তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গে সেটাই ছিল কংগ্রেসের প্রথম হার। কিন্তু সেটা ছিল নেহরুর মেয়ে ও রাহুলের দাদী ইন্দিরা গান্ধীর প্রথম লোকসভা নির্বাচন। সে নির্বাচনে ৫২০ আসনের মধ্যে ২৮৩ আসনে জয়লাভ করে তার দল।
১৯৬৯ সালে ইন্দিরা কংগ্রেসের পুরনো শাখা বাতিল করে দেন। শাখাটির নাম ছিল কংগ্রেস (ও)। ওই শাখার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মোরারজি দেসাই। সে সময়েই ইন্দিরা গান্ধী ‘গারিবি হটাও’ স্লোগান চালু করেন। দেশজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় তার এই স্লোগান। ফলস্বরূপ ১৯৭১ সালে ৩৫২ আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরেন তিনি। অন্যদিকে, ২০১০ সালের দিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেসময় গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় বিজেপি। ভারতজুড়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণায় নামেন তিনি। জয়ীও হন বিপুল ভোটে। ২৮২ আসনে জয় পায় বিজেপি। আর পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচনে তিনি আরো বড় চমক সৃষ্টি করছেন। তার ধারে কাছেও নেই কোনো দল। ভোট গণনার দু’চার দিন আগে বিরোধী দলগুলোর প্রধানরা ও দলের মুখরা নেতারা নানা অভিযোগ উত্থাপন করতে থাকেন। তারা নেতাকর্মীদের ‘গুজবে’ কান না দেয়ার আহ্বান জানান। স্ট্রংরুম পাহারা বসান। কিন্তু কোনো কিছুতেই মোদিকে আটকানো যায় নি। এক অসাধারণ বিস্ময় সৃষ্টি করে রেকর্ড গড়লেন তিনি।
No comments