কিসের ঐক্যফ্রন্ট? -আসিফ নজরুলের প্রশ্ন
বিএনপি
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের লজ্জা থাকা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, এতো
বড় একটা জঘন্য নির্বাচন গেল, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ যার সাক্ষী। অথচ
আমরা নির্বাচনের দিন বেলা ১১টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে
শুনলাম নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। উনার লজ্জা হওয়া উচিৎ। আমরা বাংলাদেশের
প্রত্যেকটা মানুষ নির্বাচনের দুই তিন দিন আগে থেকে জানি কি হচ্ছে।
আর উনি জানেন না নির্বাচনে কি হচ্ছে? শনিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি আগেরকার দিনে দেশে কোনো হত্যাকা- হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়া হতো। যখন একটা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হতো, যেমন মাগুরা মার্কা নির্বাচন। তখন পুরো সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হতো। আমরা দেখতাম পত্রিকায় এরশাদের দুর্নীতি সম্পর্কে যা ইচ্ছা তাই লেখা যেতো।
তারেক রহমান ও কোকো সম্পর্কে যা ইচ্ছা তাই লেখা যেতো। প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে রাজপথে বিরোধী দলের আন্দোলন হতো। এখন কি কেউ খেয়াল করে দেখেছেন এতো হত্যাকা- হয়, এতো গুম হয়। তারপরও কেউ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করতে পারে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিকারী এই কথাটি বলার ক্ষমতা কারো নেই। এই কথাটা বলার পরিবেশ এখন নেই। শুধু একটা আসনে নয়, পুরো দেশের নির্বাচন আগের রাতে গুম হয়ে যায়। মানুষের কথা বলার সাহস থাকেনা। আমি ৫/৬ বছর আগে একটা লেখা লিখেছিলাম ‘গুম হয়ে যাচ্ছে গণতন্ত্র’। তখন কেউ কেউ হেসেছিলেন। এখন আমার মনে হয় গুম হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গুম হয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রের সত্ত্বা যেটা, বৈশিষ্ট যেটা এই রাষ্ট্রের চেতনা যেটা এর সমস্ত কিছু যদি লুন্ঠিত হয়ে যায়। তাহলে তো আর রাষ্ট্র থাকে না। আমরা সেই রকম একটা জায়গায় চলে গেছি। এই রকম একটা জায়গা থেকে ঐক্যফ্রন্টকে আরো অনেক শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। অনেক বিস্তৃত ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা আপনাদের সমালোচনা করিনা, কিন্তু কিছু কিছু বিষয় আমাদের খুবই কষ্ট দেয়। এই রকম একটা জঘন্যতম নির্বাচন হল। আপনারা পরেরদিন একটা হরতালও ডাকতে পারলেন না। আজ পর্যন্ত একটা কর্মসূচি দিতে পারলেন না। আশ্চর্য লাগে এটা একটা পলিটিক্স?
আমি সারাজীবন রাজনীতির উপর কাভার স্টোরি করেছি। এতো বড় একটা জঘন্য নির্বাচন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ যার সাক্ষী। এটার প্রতিবাদ যদি না করতে পারে তাহলে কিসের ঐক্যফ্রন্ট। সরি, আমি আজ এভাবে কথা বলছি। আমরা নির্বাচনের দিন বেলা ১১টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে শুনলাম নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। উনার লজ্জা হওয়া উচিৎ। আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ নির্বাচনের দুই তিন দিন আগে থেকে জানি কি হচ্ছে। আর উনি জানেন না নির্বাচনে কি হচ্ছে? উনি এখানে থাকলে ভালো হতো। উনি আসলে বলবেন আমি বলেছি লজ্জা হওয়া উচিৎ। এই রকম যদি বিরোধী দল হয় তাহলে বাংলাদেশে ভোটাধিকার আমরা কখনো ফিরে পাব না। সরকারের অনেক দোষ আছে। তাদের যতো দোষ থাকবে বিরোধী ঐক্যকে ততো স্মার্ট, ততো শক্ত এবং ততো ব্যাপক হতে হবে। বিরোধী দল যদি তাদের দায়িত্ব পালন করতে না পারে তাহলে আপনাদের কাছে আশা করার কিছু নেই।
আর উনি জানেন না নির্বাচনে কি হচ্ছে? শনিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি আগেরকার দিনে দেশে কোনো হত্যাকা- হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়া হতো। যখন একটা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হতো, যেমন মাগুরা মার্কা নির্বাচন। তখন পুরো সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হতো। আমরা দেখতাম পত্রিকায় এরশাদের দুর্নীতি সম্পর্কে যা ইচ্ছা তাই লেখা যেতো।
তারেক রহমান ও কোকো সম্পর্কে যা ইচ্ছা তাই লেখা যেতো। প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে রাজপথে বিরোধী দলের আন্দোলন হতো। এখন কি কেউ খেয়াল করে দেখেছেন এতো হত্যাকা- হয়, এতো গুম হয়। তারপরও কেউ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করতে পারে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিকারী এই কথাটি বলার ক্ষমতা কারো নেই। এই কথাটা বলার পরিবেশ এখন নেই। শুধু একটা আসনে নয়, পুরো দেশের নির্বাচন আগের রাতে গুম হয়ে যায়। মানুষের কথা বলার সাহস থাকেনা। আমি ৫/৬ বছর আগে একটা লেখা লিখেছিলাম ‘গুম হয়ে যাচ্ছে গণতন্ত্র’। তখন কেউ কেউ হেসেছিলেন। এখন আমার মনে হয় গুম হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গুম হয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রের সত্ত্বা যেটা, বৈশিষ্ট যেটা এই রাষ্ট্রের চেতনা যেটা এর সমস্ত কিছু যদি লুন্ঠিত হয়ে যায়। তাহলে তো আর রাষ্ট্র থাকে না। আমরা সেই রকম একটা জায়গায় চলে গেছি। এই রকম একটা জায়গা থেকে ঐক্যফ্রন্টকে আরো অনেক শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। অনেক বিস্তৃত ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা আপনাদের সমালোচনা করিনা, কিন্তু কিছু কিছু বিষয় আমাদের খুবই কষ্ট দেয়। এই রকম একটা জঘন্যতম নির্বাচন হল। আপনারা পরেরদিন একটা হরতালও ডাকতে পারলেন না। আজ পর্যন্ত একটা কর্মসূচি দিতে পারলেন না। আশ্চর্য লাগে এটা একটা পলিটিক্স?
আমি সারাজীবন রাজনীতির উপর কাভার স্টোরি করেছি। এতো বড় একটা জঘন্য নির্বাচন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ যার সাক্ষী। এটার প্রতিবাদ যদি না করতে পারে তাহলে কিসের ঐক্যফ্রন্ট। সরি, আমি আজ এভাবে কথা বলছি। আমরা নির্বাচনের দিন বেলা ১১টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে শুনলাম নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। উনার লজ্জা হওয়া উচিৎ। আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ নির্বাচনের দুই তিন দিন আগে থেকে জানি কি হচ্ছে। আর উনি জানেন না নির্বাচনে কি হচ্ছে? উনি এখানে থাকলে ভালো হতো। উনি আসলে বলবেন আমি বলেছি লজ্জা হওয়া উচিৎ। এই রকম যদি বিরোধী দল হয় তাহলে বাংলাদেশে ভোটাধিকার আমরা কখনো ফিরে পাব না। সরকারের অনেক দোষ আছে। তাদের যতো দোষ থাকবে বিরোধী ঐক্যকে ততো স্মার্ট, ততো শক্ত এবং ততো ব্যাপক হতে হবে। বিরোধী দল যদি তাদের দায়িত্ব পালন করতে না পারে তাহলে আপনাদের কাছে আশা করার কিছু নেই।
No comments