২৮শে মে শপথ নিতে পারেন নরেন্দ্র মোদি by পরিতোষ পাল
জওহরলাল
নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর পর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরা
একমাত্র প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি। সপ্তদশ লোকসভা
নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর যিনি নিজেকে ফকির বলে অভিহিত করেছেন। দিল্লিতে
এখন নতুন সরকার গঠনের ব্যস্ততা। তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিসভার শেষ
বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন বৈঠকের পরেই
মন্ত্রিসভার নেতা হিসেবে সব মন্ত্রী এবং তার নিজের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি
রামনাথ কোবিন্দকে পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতিকে
ষোড়শ লোকসভা ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করেছেন।
আজ শনিবার বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে মোদিকে নেতা নির্বাচন করা হবে। এর পরেই তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন। রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণের দিনক্ষণ জানতে চাইবেন। জানা গেছে, প্রোটেম স্পিকার নির্বাচিত হতে চলেছেন বেরিলি থেকে নির্বাচিত প্রবীণ সাংসদ সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ার। তিনিই নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। অন্যদিকে, স্পিকার নির্বাচন নিয়েও জল্পনা চলছে। কারণ এবার সুমিত্রা মহাজনকে বিজেপি টিকিট দেয়নি। ফলে সপ্তদশ লোকসভার স্পিকার নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮শে মে মঙ্গলবার সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয় বার শপথ নিতে চলেছেন তিনি। ২০১৪ সালে বিজয়ী হয়ে অবশ্য মোদি ২৬শে মে শপথ নিয়েছিলেন। তবে সরকারিভাবে ২৮শে মে শপথ গ্রহণের কথা জানানো হয়নি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ দিল্লির কুরসিতে ফেরার পরেই সরকারের শপথ গ্রহণের দিন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালে মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত ছিলেন। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, শ্রীলঙ্কার সেই সময়কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, বাংলাদেশের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি ধর্মেন্দ্র, অনুপম খের, সালমান খান, বিবেক ওবেরয়ের মতো বলিউডের সেলিব্রেটিরাও ছিলেন। তবে এবার তেমন কোনো পরিকল্পনা এখনো পর্যন্ত নেয়া হয়নি বলে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে মন্ত্রিসভা গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে। বিপুল সাফল্যের পর মন্ত্রিসভা কি ঢেলে সাজবে, নাকি পুরনোদের উপরেই মোদি আস্থা রাখবেন, তা নিয়ে বিজেপির অভ্যন্তরে এবং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে জোর আলোচনা চলছে। স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকগুলো কাদের দেয়া হবে তা নিয়েও প্রবল গুঞ্জন চলছে দিল্লির অলিন্দে। ভারতের সুরক্ষা সংক্রান্ত কোর কমিটির সদস্য হন এই চার মন্ত্রকের মন্ত্রীরা। এবারের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের থাকার সম্ভাবনা কম বলেই জানা গেছে। তবে সুষমা যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে মন্ত্রক চালিয়েছেন তাতে তাকে রেখে দেয়াও হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এবার অবশ্য তিনি নির্বাচনে দাঁড়াননি। কিডনি পরিবর্তন হয়েছে তার কিছুদিন আগেই। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও অসুস্থ। কিডনি সংক্রান্ত অসুখে ভুগছেন। বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। জেটলির অবর্তমানে অর্থ মন্ত্রক সামলেছেন পীযূষ গোয়েল। বাজেটও পেশ করেছেন তিনি। তাছাড়া পেশায় তিনি একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। তাই পীযূষ গোয়েলকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং প্রথমবার নির্বাচনে নেমে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন। তাই তিনি এবার মন্ত্রী হচ্ছেন। তবে জানা গেছে, রাজনাথ সিংকে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকে সরিয়ে অমিত শাহকে করা হতে পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে নির্মলা সীতারমনই থাকবেন নাকি রাজনাথ সিংকে ফের এই মন্ত্রকে নিয়ে আসা হবে তা নিয়েও চর্চা চলছে। আমেথিতে রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করার পুরস্কার হিসেবে স্মৃতি ইরানিকে বস্ত্র মন্ত্রক থেকে সরিয়ে ভালো কোনো মন্ত্রকে দেয়া হতে পারে।
তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবার কতজনকে মন্ত্রী করা হবে তা নিয়ে জোর কৌতূহল তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক সাফল্যের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এ রাজ্যের উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব থাকার সম্ভাবনা প্রবল। গতবার ২টি আসনে জয়ী বাবুল সুপ্রিয় এবং এসএস আলুওয়ালিয়া মন্ত্রী ছিলেন। এবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মত বিজয়ী মন্ত্রিত্বের দাবিদার হতে পারেন। মন্ত্রী বাড়তে পারে আসাম থেকেও। তবে কোন রাজ্য থেকে কতজনকে মন্ত্রী করা হবে তা নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
আজ শনিবার বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে মোদিকে নেতা নির্বাচন করা হবে। এর পরেই তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন। রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণের দিনক্ষণ জানতে চাইবেন। জানা গেছে, প্রোটেম স্পিকার নির্বাচিত হতে চলেছেন বেরিলি থেকে নির্বাচিত প্রবীণ সাংসদ সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ার। তিনিই নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। অন্যদিকে, স্পিকার নির্বাচন নিয়েও জল্পনা চলছে। কারণ এবার সুমিত্রা মহাজনকে বিজেপি টিকিট দেয়নি। ফলে সপ্তদশ লোকসভার স্পিকার নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮শে মে মঙ্গলবার সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয় বার শপথ নিতে চলেছেন তিনি। ২০১৪ সালে বিজয়ী হয়ে অবশ্য মোদি ২৬শে মে শপথ নিয়েছিলেন। তবে সরকারিভাবে ২৮শে মে শপথ গ্রহণের কথা জানানো হয়নি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ দিল্লির কুরসিতে ফেরার পরেই সরকারের শপথ গ্রহণের দিন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালে মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত ছিলেন। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, শ্রীলঙ্কার সেই সময়কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, বাংলাদেশের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি ধর্মেন্দ্র, অনুপম খের, সালমান খান, বিবেক ওবেরয়ের মতো বলিউডের সেলিব্রেটিরাও ছিলেন। তবে এবার তেমন কোনো পরিকল্পনা এখনো পর্যন্ত নেয়া হয়নি বলে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে মন্ত্রিসভা গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে। বিপুল সাফল্যের পর মন্ত্রিসভা কি ঢেলে সাজবে, নাকি পুরনোদের উপরেই মোদি আস্থা রাখবেন, তা নিয়ে বিজেপির অভ্যন্তরে এবং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে জোর আলোচনা চলছে। স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকগুলো কাদের দেয়া হবে তা নিয়েও প্রবল গুঞ্জন চলছে দিল্লির অলিন্দে। ভারতের সুরক্ষা সংক্রান্ত কোর কমিটির সদস্য হন এই চার মন্ত্রকের মন্ত্রীরা। এবারের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের থাকার সম্ভাবনা কম বলেই জানা গেছে। তবে সুষমা যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে মন্ত্রক চালিয়েছেন তাতে তাকে রেখে দেয়াও হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এবার অবশ্য তিনি নির্বাচনে দাঁড়াননি। কিডনি পরিবর্তন হয়েছে তার কিছুদিন আগেই। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও অসুস্থ। কিডনি সংক্রান্ত অসুখে ভুগছেন। বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। জেটলির অবর্তমানে অর্থ মন্ত্রক সামলেছেন পীযূষ গোয়েল। বাজেটও পেশ করেছেন তিনি। তাছাড়া পেশায় তিনি একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। তাই পীযূষ গোয়েলকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং প্রথমবার নির্বাচনে নেমে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন। তাই তিনি এবার মন্ত্রী হচ্ছেন। তবে জানা গেছে, রাজনাথ সিংকে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকে সরিয়ে অমিত শাহকে করা হতে পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে নির্মলা সীতারমনই থাকবেন নাকি রাজনাথ সিংকে ফের এই মন্ত্রকে নিয়ে আসা হবে তা নিয়েও চর্চা চলছে। আমেথিতে রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করার পুরস্কার হিসেবে স্মৃতি ইরানিকে বস্ত্র মন্ত্রক থেকে সরিয়ে ভালো কোনো মন্ত্রকে দেয়া হতে পারে।
তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবার কতজনকে মন্ত্রী করা হবে তা নিয়ে জোর কৌতূহল তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক সাফল্যের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এ রাজ্যের উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব থাকার সম্ভাবনা প্রবল। গতবার ২টি আসনে জয়ী বাবুল সুপ্রিয় এবং এসএস আলুওয়ালিয়া মন্ত্রী ছিলেন। এবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মত বিজয়ী মন্ত্রিত্বের দাবিদার হতে পারেন। মন্ত্রী বাড়তে পারে আসাম থেকেও। তবে কোন রাজ্য থেকে কতজনকে মন্ত্রী করা হবে তা নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
No comments