পাটকলশ্রমিকদের জন্য ১৬৯ কোটি টাকা, যাবে ব্যাংক হিসাবে
পাটকলের
শ্রমিকদের জন্য জরুরি বিবেচনায় ১৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
২৭ মে সোমবার এ বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে এই অর্থ শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে চেকের
মাধ্যমে দিতে হবে বলেও শর্ত আরোপ করে দেওয়া হয়েছে।
অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আপত্কালীন জরুরি বিবেচনা এবং আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শ্রমিকদের বকেয়াসহ মজুরি ও উৎসব ভাতা পরিশোধের জন্যই এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বকেয়া বেতন, মজুরি ও উৎসব ভাতার দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পাটকলশ্রমিকেরা আন্দোলন করে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ এই বরাদ্দ এল।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (পাট) প্রদীপ কুমার সাহা স্বাক্ষরিত বরাদ্দের চিঠিতে ছয় দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বরাদ্দ দেওয়া অর্থ বিজেএমসির কারখানাগুলোর জন্য যে খাতে দেওয়া হয়েছে, এর বাইরে অন্য কোনো খাতে দেওয়া যাবে না। আর সুনির্দিষ্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে তা দিতে হবে।
চিঠির শর্ত অনুযায়ী, বরাদ্দ দেওয়া অর্থ ব্যয়ের সাত দিনের মধ্যে মিলভিত্তিক শ্রমিকদের তালিকাসহ বিস্তারিত বিবরণী অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে। বরাদ্দ দেওয়া অর্থ ব্যয়ে সরকারি বিধিবিধান মানার জন্যও বলা হয়েছে। আর এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে বলেও সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। আর এ জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বিজেএমসি ও অর্থ বিভাগের মধ্যে স্বাক্ষর করা শর্তগুলো মেনে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যে অর্থ বরাদ্দ হলো, তা ‘পরিচালন ঋণ’ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়। আগামী ২০ বছরে ৫ শতাংশ সুদে প্রতি ছয় মাসের কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আর এ জন্য অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসিকে একটি ঋণ চুক্তি করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
চিঠিতে শেষে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, বরাদ্দ দেওয়া অর্থ কেবল শ্রমিকদের বকেয়াসহ মজুরি এবং উৎসব ভাতা হিসেবে পরিশোধ করতে হবে।
লোকসানি প্রতিষ্ঠান বিজেএমসির (বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন) ওপর আস্থার অভাবেই এই প্রতিষ্ঠানের কাছে শ্রমিকদের বেতন ও ভাতা দিতে ভরসা পায়নি সরকার। আর সে জন্য শ্রমিকদের মজুরির টাকা বিজেএমসির কাছে দেওয়া হবে না, সরকারি কোষাগার থেকে সরাসরি শ্রমিকদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হবে বলে কিছুদিন আগে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাটকলশ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য কয়েক দিন আগে বিজেএমসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তালিকা অবশ্যই যথাযথ সময়ের মধ্যে দিতে হবে, যাতে ঈদের আগেই শ্রমিকেরা তাঁদের বকেয়া মজুরি হাতে পান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আপত্কালীন জরুরি বিবেচনা এবং আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শ্রমিকদের বকেয়াসহ মজুরি ও উৎসব ভাতা পরিশোধের জন্যই এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বকেয়া বেতন, মজুরি ও উৎসব ভাতার দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পাটকলশ্রমিকেরা আন্দোলন করে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ এই বরাদ্দ এল।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (পাট) প্রদীপ কুমার সাহা স্বাক্ষরিত বরাদ্দের চিঠিতে ছয় দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বরাদ্দ দেওয়া অর্থ বিজেএমসির কারখানাগুলোর জন্য যে খাতে দেওয়া হয়েছে, এর বাইরে অন্য কোনো খাতে দেওয়া যাবে না। আর সুনির্দিষ্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে তা দিতে হবে।
চিঠির শর্ত অনুযায়ী, বরাদ্দ দেওয়া অর্থ ব্যয়ের সাত দিনের মধ্যে মিলভিত্তিক শ্রমিকদের তালিকাসহ বিস্তারিত বিবরণী অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে। বরাদ্দ দেওয়া অর্থ ব্যয়ে সরকারি বিধিবিধান মানার জন্যও বলা হয়েছে। আর এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে বলেও সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। আর এ জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বিজেএমসি ও অর্থ বিভাগের মধ্যে স্বাক্ষর করা শর্তগুলো মেনে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যে অর্থ বরাদ্দ হলো, তা ‘পরিচালন ঋণ’ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়। আগামী ২০ বছরে ৫ শতাংশ সুদে প্রতি ছয় মাসের কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আর এ জন্য অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসিকে একটি ঋণ চুক্তি করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
চিঠিতে শেষে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, বরাদ্দ দেওয়া অর্থ কেবল শ্রমিকদের বকেয়াসহ মজুরি এবং উৎসব ভাতা হিসেবে পরিশোধ করতে হবে।
লোকসানি প্রতিষ্ঠান বিজেএমসির (বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন) ওপর আস্থার অভাবেই এই প্রতিষ্ঠানের কাছে শ্রমিকদের বেতন ও ভাতা দিতে ভরসা পায়নি সরকার। আর সে জন্য শ্রমিকদের মজুরির টাকা বিজেএমসির কাছে দেওয়া হবে না, সরকারি কোষাগার থেকে সরাসরি শ্রমিকদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হবে বলে কিছুদিন আগে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাটকলশ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য কয়েক দিন আগে বিজেএমসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তালিকা অবশ্যই যথাযথ সময়ের মধ্যে দিতে হবে, যাতে ঈদের আগেই শ্রমিকেরা তাঁদের বকেয়া মজুরি হাতে পান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
No comments