দুই নেতার টানাটানি দ্বিখণ্ডিত ভারত? by সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
গ্রাফিতিটা
ভারতের মুম্বাইয়ের রাজপথের পাশে কোনো এক দেয়ালে আঁকা। কে এঁকেছেন, জানা
নেই। তা না থাকুক, এই ভোট মৌসুমে নজরকাড়া হতে সময় নেয়নি। দেখেই বোঝা
যাচ্ছে, শিল্পীমনে পল্লবিত বটের শাখা-প্রশাখার মতো প্রভাব ফেলেছেন বিখ্যাত
চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়। দেয়ালচিত্রটা দেখলে হীরক রাজার দেশের সেই
অমোঘ লাইন, ‘দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান’ মনে পড়তে বাধ্য।
কিন্তু কোনো রাজা নন। রাজার মূর্তিও নয়। এই দেয়ালচিত্রে খান খান নয়, দ্বিখণ্ডিত হচ্ছে ভারত। করছেন যাঁরা, তাঁদের একজন ‘নাগরিক’ পোশাকে সজ্জিত কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। অন্যজনের পরনে সামরিক উর্দি। তিনি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রীর পরনে কেন সামরিক পোশাক? এই প্রশ্নটা উঠতেই পারে। জবাব হলো, ভারতের এবারের ভোট শেষবেলায় এসে পুরোপুরি নিরাপত্তানির্ভর হয়ে উঠেছে। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনা হত্যার পর যেদিন বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ঘটানো হলো, প্রচারের অভিমুখ উন্নয়ন ও বিকাশের রাস্তা ছেড়ে সেই দিন থেকেই ধাবিত দেশের নিরাপত্তার দিকে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকে সরাসরি ভোট চাওয়া শুরু হলো সেনানীদের নামে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তো দেশের সেনাবাহিনীকে ‘মোদির সেনা’ বলেও উল্লেখ করেছেন। শিল্পী হয়তো এ কারণেই মোদিকে সেনাদের পোশাকে মুড়েছেন।
আর নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অনেক নেতার সম্মিলিত মুখের কোলাজ। বিরোধী মহল ভোটের এই মাঝপথেও নিশ্চিত নয়, সরকার গড়ার মতো অবস্থায় এলে কে নেবেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। এমন অবস্থায় শিল্পী মোদির বিরুদ্ধে রাহুলকে দাঁড় করিয়ে সম্ভবত এটাই বোঝাতে চেয়েছেন, মোদির বিজেপির মোকাবিলায় সর্বভারতীয় স্তরে যদি কোনো দল থাকে, তা হলো রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস।
কিন্তু কেন দ্বিখণ্ডিত হতে চলেছে ভারত? দড়ি-টানাটানিতে ভারত কেন উত্তর-দক্ষিণে ভাগাভাগি হচ্ছে, অনেকটা সেই কালনেমির লঙ্কাভাগের মতো, তা বোধগম্য নয়। তবে কি শিল্পীমনের আভাস এমন যে এই দুই নেতার হাতে পড়ে দেশ ও জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে?
ভারতের ভোটে দেয়াল লিখন ও দেয়ালচিত্র চিরকালই বাঙ্ময় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে দেশের পূর্বাঞ্চলে। ছবির সঙ্গে ছড়া থাকে। ব্যাখ্যাও থাকে স্পষ্ট। এই গ্রাফিতি সেই অর্থে অস্পষ্ট। মোদির মুখোমুখি রাহুলকে রাখার অর্থ সম্ভবত এটাই, শেষ বিচারে এবারের ভোট হতে চলেছে মোদি বনাম রাহুলের। মোদি যদি শাসকের মুখ হয়ে থাকেন, তাহলে বিরোধীদের মুখ রাহুল।
কিন্তু কোনো রাজা নন। রাজার মূর্তিও নয়। এই দেয়ালচিত্রে খান খান নয়, দ্বিখণ্ডিত হচ্ছে ভারত। করছেন যাঁরা, তাঁদের একজন ‘নাগরিক’ পোশাকে সজ্জিত কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। অন্যজনের পরনে সামরিক উর্দি। তিনি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রীর পরনে কেন সামরিক পোশাক? এই প্রশ্নটা উঠতেই পারে। জবাব হলো, ভারতের এবারের ভোট শেষবেলায় এসে পুরোপুরি নিরাপত্তানির্ভর হয়ে উঠেছে। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনা হত্যার পর যেদিন বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ঘটানো হলো, প্রচারের অভিমুখ উন্নয়ন ও বিকাশের রাস্তা ছেড়ে সেই দিন থেকেই ধাবিত দেশের নিরাপত্তার দিকে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকে সরাসরি ভোট চাওয়া শুরু হলো সেনানীদের নামে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তো দেশের সেনাবাহিনীকে ‘মোদির সেনা’ বলেও উল্লেখ করেছেন। শিল্পী হয়তো এ কারণেই মোদিকে সেনাদের পোশাকে মুড়েছেন।
আর নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অনেক নেতার সম্মিলিত মুখের কোলাজ। বিরোধী মহল ভোটের এই মাঝপথেও নিশ্চিত নয়, সরকার গড়ার মতো অবস্থায় এলে কে নেবেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। এমন অবস্থায় শিল্পী মোদির বিরুদ্ধে রাহুলকে দাঁড় করিয়ে সম্ভবত এটাই বোঝাতে চেয়েছেন, মোদির বিজেপির মোকাবিলায় সর্বভারতীয় স্তরে যদি কোনো দল থাকে, তা হলো রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস।
কিন্তু কেন দ্বিখণ্ডিত হতে চলেছে ভারত? দড়ি-টানাটানিতে ভারত কেন উত্তর-দক্ষিণে ভাগাভাগি হচ্ছে, অনেকটা সেই কালনেমির লঙ্কাভাগের মতো, তা বোধগম্য নয়। তবে কি শিল্পীমনের আভাস এমন যে এই দুই নেতার হাতে পড়ে দেশ ও জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে?
ভারতের ভোটে দেয়াল লিখন ও দেয়ালচিত্র চিরকালই বাঙ্ময় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে দেশের পূর্বাঞ্চলে। ছবির সঙ্গে ছড়া থাকে। ব্যাখ্যাও থাকে স্পষ্ট। এই গ্রাফিতি সেই অর্থে অস্পষ্ট। মোদির মুখোমুখি রাহুলকে রাখার অর্থ সম্ভবত এটাই, শেষ বিচারে এবারের ভোট হতে চলেছে মোদি বনাম রাহুলের। মোদি যদি শাসকের মুখ হয়ে থাকেন, তাহলে বিরোধীদের মুখ রাহুল।
ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন উপলক্ষে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতিই যেন ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে দেয়ালে আঁকা এই গ্রাফিতিতে। ভারতের মানচিত্রের একদিকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (বাঁয়ে), অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দড়ি ধরে টানছেন। গতকাল মুম্বাইয়ে। ছবি: এএফপি |
No comments