আশিকের মৃত্যুর রহস্য খুঁজছে পুলিশ
বাদী আল আমিন ও নিহত আশিক (ডানে) |
রাজধানী
ভাটারায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আশিক-ই-এলাহীর মৃত্যু কীভাবে
হয়েছিল, তা তদন্ত করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার এক তরুণীকে
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। ওই তরুণী বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
ঢাকার আদালত সূত্র বলছে, মঙ্গলবার (২৮ মে) ওই তরুণীর পক্ষে আদালতে জামিন চাওয়া হয়। তবে আদালত এ আবেদন নাকোচ করে দেন। ২১ মে ভাটারার কুড়িলে আশিকের মৃত্যু হয়।
গ্রেপ্তার তরুণী আশিকের সহপাঠী। ওই তরুণীর দাবি, তাঁর বাসাতেই আশিক ফাঁস দিয়েছিলেন। কুড়িলের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন ওই তরুণী। ঘটনার দিন রাতে আশিক তাঁর বাসায় গিয়েছিলেন বলে তরুণীর ভাষ্য।
আশিক ও ওই তরুণী আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। আশিকের গ্রামের বাড়ি ভোলায়। আশিকও কুড়িলের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আশিকের ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল আমিন ২৩ মে ভাটারা থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন। এতে আশিকের ওই সহপাঠীকে আসামি করা হয়। মামলার দিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। আদালত সেদিন তরুণীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অবশ্য তরুণীর আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেছেন, তাঁদের মক্কেলকে হয়রানির জন্য এ মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আশিকের ভাই আল আমিন বলেন, একই সঙ্গে পড়ালেখার সুবাদে তাঁর ভাই ও আসামির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২১ মে ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে অপরিচিত মুঠোফোন থেকে তাঁর (আল আমিন) নম্বরে কল আসে। ওই নম্বর থেকে তখন তিনবার কল এলেও ঘুমে থাকার কারণে তিনি ধরতে পারেননি। ঘুম থেকে ওঠার পর সকাল ৭টা ১৩ মিনিটে তিনি ওই নম্বরে কল দেন। তখন অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘ভাইয়া, আমি...বলতেছি। আপনার ছোট ভাই আমার বাসায় আসে। আমার সঙ্গে সামান্য কথা–কাটাকাটি হয়। তখন আমি বাসার বাইরের বারান্দায় চলে যাই। এর কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে এসে দেখতে পাই, আমার বাসার জানালার গ্রিলের সঙ্গে আশিক কোমরের বেল্ট পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়েছে। আশিককে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আশিকের মৃত্যু, রহস্যের নানা দিক
ভাটারা থানা-পুলিশ বলছে, ওই তরুণী তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে পাশাপাশি কক্ষে ভাড়ায় বসবাস করতেন। ঘটনার দিন রাতে আশিক ওই তরুণীর কক্ষে যান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন কাউসার প্রথম আলোকে বলেন, আশিকের সঙ্গে...(তরুণী) সম্পর্ক ছিল, তা জানা গেছে। আশিক সেদিন রাতে তাঁর (তরুণী) ফ্ল্যাটে যান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। তবে আশিক কীভাবে মারা গেছেন, তা ময়নাতদন্ত হাতে না পাওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো কিছুই বলা যাচ্ছে না।
আশিকের ভাই আল আমিন মঙ্গলবার (২৮ মে) প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁর ভাই আত্মহত্যা করতে পারেন না। কোমরের বেল্ট দিয়ে ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি লম্বা তাঁর ভাই আত্মহত্যা করেননি। কাউকে হয়রানি করার জন্য তিনি মামলা করেননি। তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য তিনি এবং তাঁর পরিবার জানতে চায়।
ভাটারা থানা-পুলিশ আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, আশিকের ভাই বাদী আল আমিন সেদিন কুর্মিটোলা হাসপাতালে যান। আশিকের মরদেহ দেখতে পান হাসপাতালের ট্রলির ওপর। বাদী জানতে পারেন, আশিকের ফাঁস দেওয়া বেল্টটি কেউ দেখার আগে....(তরুণী) নিজে কেটে নিচে রাখেন। আসামি আশিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তা কাউসার জানান, ঢাকার একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ের কথা চলছিল বলে জানা গেছে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, আশিকের মৃত্যু কীভাবে হয়েছিল, সেই রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত জব্দ করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আশপাশের সাক্ষীদের। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়া যায়নি; হাতে পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে, আশিকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী।
ওসি আরও বলেন, আশিক ও তরুণীর মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। মুঠোফোনের তথ্য বিশ্লেষণেও দেখা গেছে, দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। তরুণীর বান্ধবীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ঢাকার আদালত সূত্র বলছে, মঙ্গলবার (২৮ মে) ওই তরুণীর পক্ষে আদালতে জামিন চাওয়া হয়। তবে আদালত এ আবেদন নাকোচ করে দেন। ২১ মে ভাটারার কুড়িলে আশিকের মৃত্যু হয়।
গ্রেপ্তার তরুণী আশিকের সহপাঠী। ওই তরুণীর দাবি, তাঁর বাসাতেই আশিক ফাঁস দিয়েছিলেন। কুড়িলের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন ওই তরুণী। ঘটনার দিন রাতে আশিক তাঁর বাসায় গিয়েছিলেন বলে তরুণীর ভাষ্য।
আশিক ও ওই তরুণী আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। আশিকের গ্রামের বাড়ি ভোলায়। আশিকও কুড়িলের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আশিকের ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল আমিন ২৩ মে ভাটারা থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন। এতে আশিকের ওই সহপাঠীকে আসামি করা হয়। মামলার দিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। আদালত সেদিন তরুণীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অবশ্য তরুণীর আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেছেন, তাঁদের মক্কেলকে হয়রানির জন্য এ মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আশিকের ভাই আল আমিন বলেন, একই সঙ্গে পড়ালেখার সুবাদে তাঁর ভাই ও আসামির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২১ মে ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে অপরিচিত মুঠোফোন থেকে তাঁর (আল আমিন) নম্বরে কল আসে। ওই নম্বর থেকে তখন তিনবার কল এলেও ঘুমে থাকার কারণে তিনি ধরতে পারেননি। ঘুম থেকে ওঠার পর সকাল ৭টা ১৩ মিনিটে তিনি ওই নম্বরে কল দেন। তখন অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘ভাইয়া, আমি...বলতেছি। আপনার ছোট ভাই আমার বাসায় আসে। আমার সঙ্গে সামান্য কথা–কাটাকাটি হয়। তখন আমি বাসার বাইরের বারান্দায় চলে যাই। এর কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে এসে দেখতে পাই, আমার বাসার জানালার গ্রিলের সঙ্গে আশিক কোমরের বেল্ট পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়েছে। আশিককে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আশিকের মৃত্যু, রহস্যের নানা দিক
ভাটারা থানা-পুলিশ বলছে, ওই তরুণী তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে পাশাপাশি কক্ষে ভাড়ায় বসবাস করতেন। ঘটনার দিন রাতে আশিক ওই তরুণীর কক্ষে যান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন কাউসার প্রথম আলোকে বলেন, আশিকের সঙ্গে...(তরুণী) সম্পর্ক ছিল, তা জানা গেছে। আশিক সেদিন রাতে তাঁর (তরুণী) ফ্ল্যাটে যান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। তবে আশিক কীভাবে মারা গেছেন, তা ময়নাতদন্ত হাতে না পাওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো কিছুই বলা যাচ্ছে না।
আশিকের ভাই আল আমিন মঙ্গলবার (২৮ মে) প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁর ভাই আত্মহত্যা করতে পারেন না। কোমরের বেল্ট দিয়ে ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি লম্বা তাঁর ভাই আত্মহত্যা করেননি। কাউকে হয়রানি করার জন্য তিনি মামলা করেননি। তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য তিনি এবং তাঁর পরিবার জানতে চায়।
ভাটারা থানা-পুলিশ আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, আশিকের ভাই বাদী আল আমিন সেদিন কুর্মিটোলা হাসপাতালে যান। আশিকের মরদেহ দেখতে পান হাসপাতালের ট্রলির ওপর। বাদী জানতে পারেন, আশিকের ফাঁস দেওয়া বেল্টটি কেউ দেখার আগে....(তরুণী) নিজে কেটে নিচে রাখেন। আসামি আশিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তা কাউসার জানান, ঢাকার একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ের কথা চলছিল বলে জানা গেছে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, আশিকের মৃত্যু কীভাবে হয়েছিল, সেই রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত জব্দ করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আশপাশের সাক্ষীদের। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়া যায়নি; হাতে পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে, আশিকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী।
ওসি আরও বলেন, আশিক ও তরুণীর মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। মুঠোফোনের তথ্য বিশ্লেষণেও দেখা গেছে, দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। তরুণীর বান্ধবীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
No comments