পাঁচতলার ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলা হয় নবজাতককে
২৭
মে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা। রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকার সড়কে পড়ে ছিল
রক্তাক্ত এক নবজাতক। মৃত কন্যা নবজাতকটির বয়স ছিল মাত্র এক দিন। রাস্তায়
নবজাতকটিকে পড়ে থাকতে দেখে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। এদের মধ্যে কেউ একজন
রূপনগর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে সেখানে আসেন রূপনগর থানার উপপরিদর্শক
(এসআই) পরিমল চন্দ্র সরকারসহ পুলিশের চার সদস্য।
পরিমল চন্দ্র সোমবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে পাশের একটি ছয় তলা ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটে যান তিনি। বাসিন্দাদের কাছে জানতে চান, ভবনে অন্তঃসত্ত্বা কোনো নারী ছিলেন কি না। একপর্যায়ে জানতে পারেন, পাঁচ তলার একটি ফ্ল্যাটের একজন নারী অন্তঃসত্ত্বা। পরে ওই ফ্ল্যাটে যান। অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু ওই বাসা থেকে নবজাতক ফেলে দিয়ে হত্যা করার কথা তাঁরা অস্বীকার করেন। তখন ওই ফ্ল্যাটে অনুসন্ধান চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে ফ্ল্যাটের শৌচাগারে রক্ত দেখতে পান। ওই রক্ত কীসের, জানতে চাইলে পুরো ঘটনা খুলে বলেন ওই দম্পতি। অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী জানান, রাস্তায় পাওয়া ওই নবজাতকের মা তাঁর মেয়ে। সে অবিবাহিত।
এই ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে রূপনগর থানায় গত শনিবার মামলা করেন। মামলায় ওই কিশোরী, তাঁর মা, সৎ বাবা এবং কিশোরীর সৎ বাবার চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন পলাশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেন। বিল্লাল বর্তমানে বিদেশে।
মামলার এজাহারে এসআই পরিমল চন্দ্র বলেন, গত শনিবার ভোরে কিশোরীর প্রসব বেদনা ওঠে। পরে কিশোরী তাদের বাসার বাথরুমে যান। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাঁর সন্তান জন্ম হয়। তখন ওই কিশোরী নবজাতকটিকে পাঁচ তলা ভবনের বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে নিচে ফেলে দেন।
মামলার পর রূপনগর থানা-পুলিশ ওই কিশোরী এবং তাঁর সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করে রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে পাঠায়। আদালতের আদেশে দুজনই এখন কারাগারে আছেন।
পাঁচতলা থেকে ফেলে দিয়ে নবজাতক হত্যার ঘটনাটি তদন্ত করছেন রূপনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান। ঢাকার আদালতকে আসাদুজ্জামান এক প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছেন, বিদেশে অবস্থান করা আসামি বিল্লাহ হোসেন পলাশের (৩৩) সঙ্গে ওই কিশোরীর অনৈতিক সম্পর্ক হয়। ফলে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়। সামাজিক অবস্থা ও লোকলজ্জার ভয়ে পরস্পর যোগসাজশে নবজাতককে পাঁচতলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার রাতে পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি বিল্লালকে মুঠোফোনে খুদেবার্তা দিয়ে জানিয়েছিল ওই কিশোরী।
পরিমল চন্দ্র সোমবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে পাশের একটি ছয় তলা ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটে যান তিনি। বাসিন্দাদের কাছে জানতে চান, ভবনে অন্তঃসত্ত্বা কোনো নারী ছিলেন কি না। একপর্যায়ে জানতে পারেন, পাঁচ তলার একটি ফ্ল্যাটের একজন নারী অন্তঃসত্ত্বা। পরে ওই ফ্ল্যাটে যান। অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু ওই বাসা থেকে নবজাতক ফেলে দিয়ে হত্যা করার কথা তাঁরা অস্বীকার করেন। তখন ওই ফ্ল্যাটে অনুসন্ধান চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে ফ্ল্যাটের শৌচাগারে রক্ত দেখতে পান। ওই রক্ত কীসের, জানতে চাইলে পুরো ঘটনা খুলে বলেন ওই দম্পতি। অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী জানান, রাস্তায় পাওয়া ওই নবজাতকের মা তাঁর মেয়ে। সে অবিবাহিত।
এই ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে রূপনগর থানায় গত শনিবার মামলা করেন। মামলায় ওই কিশোরী, তাঁর মা, সৎ বাবা এবং কিশোরীর সৎ বাবার চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন পলাশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেন। বিল্লাল বর্তমানে বিদেশে।
মামলার এজাহারে এসআই পরিমল চন্দ্র বলেন, গত শনিবার ভোরে কিশোরীর প্রসব বেদনা ওঠে। পরে কিশোরী তাদের বাসার বাথরুমে যান। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাঁর সন্তান জন্ম হয়। তখন ওই কিশোরী নবজাতকটিকে পাঁচ তলা ভবনের বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে নিচে ফেলে দেন।
মামলার পর রূপনগর থানা-পুলিশ ওই কিশোরী এবং তাঁর সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করে রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে পাঠায়। আদালতের আদেশে দুজনই এখন কারাগারে আছেন।
পাঁচতলা থেকে ফেলে দিয়ে নবজাতক হত্যার ঘটনাটি তদন্ত করছেন রূপনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান। ঢাকার আদালতকে আসাদুজ্জামান এক প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছেন, বিদেশে অবস্থান করা আসামি বিল্লাহ হোসেন পলাশের (৩৩) সঙ্গে ওই কিশোরীর অনৈতিক সম্পর্ক হয়। ফলে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়। সামাজিক অবস্থা ও লোকলজ্জার ভয়ে পরস্পর যোগসাজশে নবজাতককে পাঁচতলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার রাতে পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি বিল্লালকে মুঠোফোনে খুদেবার্তা দিয়ে জানিয়েছিল ওই কিশোরী।
No comments