মোদির শপথে প্রতিবেশীদের আমন্ত্রণ, বাদ পাকিস্তান
পাকিস্তানকে
বাদ রেখে নিকট প্রতিবেশীর সংজ্ঞাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে ভারত। দ্বিতীয়
দফায় নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠান
বৃহস্পতিবার। এ শপথে সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিমসটেকভুক্ত দেশগুলো-
বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল এবং ভুটানের
নেতাদের। পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কিরগিজস্তান ও মৌরিতিয়াসের
নেতাদের। তবে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানকে এ শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ
জানানো হয় নি। এর মধ্য দিয়ে দেশটিকে একটি দৃঢ় বার্তা দেয়া হচ্ছে যে, ভারত
ইসলামাবাদের সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নয়। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন
টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এবার ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষে বিবৃতি দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তা নিয়ে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। মোদি নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে অভিনন্দন জানান ইমরান। ফোন করেন। দু’নেতার মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। কিন্তু দৃশ্যত পুলওয়ামা হামলা ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ মোদির মানসপটে কঠিন এক দাগ কেটে আছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত দীর্ঘদিন সন্ত্রাসে মদত দেয়ার অভিযোগ করে আসছে। সম্ভবত এসব কারণে ইমরান খান বা পাকিস্তানমুক্ত শপথ অনুষ্ঠান করতে চাইছেন মোদি। অবশ্য এর আগে প্রথম দফার শপথ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের তখনকার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন মোদি। তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দু’নেতার মধ্যে, কার্যত দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের একটি ইঙ্গিত ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। দু’নেতা মধ্যে পারিবারিক সৌজন্যতাও প্রকাশ পেয়েছিল পরবর্তীতে।
এবারের আমন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সরকারের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট পলিসির’ আওতায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, ২০১৯ সালে এসে পাকিস্তানের বিষয়ে নাটকীয়ভাবে পাল্টে গেছে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানানো সত্ত্বেও ভারত তার অবস্থানে অটল আছে। তা হলো সন্ত্রাস ও আলোচনা একসাথে চলতে পারে না।
২০১৪ সালে মোদি ও নওয়াজ শরীফের মধ্যে সম্পর্কটি ব্যক্তিগত পর্যায়ে শুরু হলেও, ভারতের দাবি, পাকিস্তান থেকে বার বার সন্ত্রাসী হামলার জন্য দ্বিপক্ষীয় সব কর্মকা- অচল হয়ে পড়ে। ভারতের দাবি অনুযায়ী, এ বছর পাকিস্তানি থেকে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এ ইস্যুতে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের নীতিনির্ধারকরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, এ বছর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বর্তমান চেয়ার কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট এবং এ বছর প্রবাসী ভারতীয় দিবসের প্রধান অতিথি মৌরিতিয়াসের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ আমন্ত্রণপত্রগুলোতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্ত্রণালয়ের প্রোটকল বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা নগেশ সিং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আমন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে তাদেরকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্টরা। কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সুরোনবাই জীবিকভ এই শপথ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে মোদিকে আমন্ত্রণ জানাবেন এসসিও’র মধ্য জুনের সম্মেলনে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, বাংলাদেশ থেকে যোগ দেবেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। দ্বিতীয়বারের মতো মোদির শপথ অনুষ্ঠান মিস করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালে তার পরিবর্তে উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। মঙ্গলবার থেকে চারটি দেশে সফরে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তার এ সফরে তিনি জাপান থেকে ফিনল্যান্ড পর্যন্ত দেশগুলোতে যাবেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করে তবেই তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি অথবা প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট- কে উপস্থিত হবেন তা নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে থাইল্যান্ড একজন বিশেষ দূতকে পাঠাবে। তিনি হতে পারেন কৃষি অথবা পরিবহন বিষয়ক মন্ত্রী। শপথ অনুষ্ঠানের দিনে প্রধানমন্ত্রিত্বের নির্বাচনী ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেনারেল প্রায়ুত চান ওচা। শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিও। ভুটান পাঠাবে তার নতুন প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংকে।
মালদ্বীপ যেহেতু বিমসটেকভুক্ত দেশ নয় তাই তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি। তা সত্ত্বেও আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে নতুন দফায় নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে তিনি ওই মালদ্বীপে এবং পরে শ্রীলঙ্কায় পা রাখবেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, শপথ অনুষ্ঠান হবে সাদাসিধে এবং ২০১৪ সালের মতো। অতিথিরা অনুষ্ঠানে যাবেন। তারপর সেখানে কিছু সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীপরিষদ শপথ নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গ্রুপে ছবি তুলবেন বিদেশী নেতারা। তবে এদিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সূচি রাখা হয় নি। গ্রুপ ছবি তোলার পর নেতাদেরকে রাষ্ট্রপতি ভবনে অভ্যর্থনা জানানো হবে। পরের দিন মোদির সঙ্গে বিদেশী নেতারা সাক্ষাত করতে পারবেন। তার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন।
এবার ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষে বিবৃতি দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তা নিয়ে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। মোদি নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে অভিনন্দন জানান ইমরান। ফোন করেন। দু’নেতার মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। কিন্তু দৃশ্যত পুলওয়ামা হামলা ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ মোদির মানসপটে কঠিন এক দাগ কেটে আছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত দীর্ঘদিন সন্ত্রাসে মদত দেয়ার অভিযোগ করে আসছে। সম্ভবত এসব কারণে ইমরান খান বা পাকিস্তানমুক্ত শপথ অনুষ্ঠান করতে চাইছেন মোদি। অবশ্য এর আগে প্রথম দফার শপথ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের তখনকার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন মোদি। তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দু’নেতার মধ্যে, কার্যত দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের একটি ইঙ্গিত ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। দু’নেতা মধ্যে পারিবারিক সৌজন্যতাও প্রকাশ পেয়েছিল পরবর্তীতে।
এবারের আমন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সরকারের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট পলিসির’ আওতায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, ২০১৯ সালে এসে পাকিস্তানের বিষয়ে নাটকীয়ভাবে পাল্টে গেছে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানানো সত্ত্বেও ভারত তার অবস্থানে অটল আছে। তা হলো সন্ত্রাস ও আলোচনা একসাথে চলতে পারে না।
২০১৪ সালে মোদি ও নওয়াজ শরীফের মধ্যে সম্পর্কটি ব্যক্তিগত পর্যায়ে শুরু হলেও, ভারতের দাবি, পাকিস্তান থেকে বার বার সন্ত্রাসী হামলার জন্য দ্বিপক্ষীয় সব কর্মকা- অচল হয়ে পড়ে। ভারতের দাবি অনুযায়ী, এ বছর পাকিস্তানি থেকে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এ ইস্যুতে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের নীতিনির্ধারকরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, এ বছর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বর্তমান চেয়ার কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট এবং এ বছর প্রবাসী ভারতীয় দিবসের প্রধান অতিথি মৌরিতিয়াসের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ আমন্ত্রণপত্রগুলোতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্ত্রণালয়ের প্রোটকল বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা নগেশ সিং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আমন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে তাদেরকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্টরা। কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সুরোনবাই জীবিকভ এই শপথ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে মোদিকে আমন্ত্রণ জানাবেন এসসিও’র মধ্য জুনের সম্মেলনে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, বাংলাদেশ থেকে যোগ দেবেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। দ্বিতীয়বারের মতো মোদির শপথ অনুষ্ঠান মিস করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালে তার পরিবর্তে উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। মঙ্গলবার থেকে চারটি দেশে সফরে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তার এ সফরে তিনি জাপান থেকে ফিনল্যান্ড পর্যন্ত দেশগুলোতে যাবেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করে তবেই তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি অথবা প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট- কে উপস্থিত হবেন তা নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে থাইল্যান্ড একজন বিশেষ দূতকে পাঠাবে। তিনি হতে পারেন কৃষি অথবা পরিবহন বিষয়ক মন্ত্রী। শপথ অনুষ্ঠানের দিনে প্রধানমন্ত্রিত্বের নির্বাচনী ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেনারেল প্রায়ুত চান ওচা। শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিও। ভুটান পাঠাবে তার নতুন প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংকে।
মালদ্বীপ যেহেতু বিমসটেকভুক্ত দেশ নয় তাই তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি। তা সত্ত্বেও আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে নতুন দফায় নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে তিনি ওই মালদ্বীপে এবং পরে শ্রীলঙ্কায় পা রাখবেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, শপথ অনুষ্ঠান হবে সাদাসিধে এবং ২০১৪ সালের মতো। অতিথিরা অনুষ্ঠানে যাবেন। তারপর সেখানে কিছু সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীপরিষদ শপথ নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গ্রুপে ছবি তুলবেন বিদেশী নেতারা। তবে এদিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সূচি রাখা হয় নি। গ্রুপ ছবি তোলার পর নেতাদেরকে রাষ্ট্রপতি ভবনে অভ্যর্থনা জানানো হবে। পরের দিন মোদির সঙ্গে বিদেশী নেতারা সাক্ষাত করতে পারবেন। তার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন।
No comments