বোলারদের পরখ করে নিলেন মাশরাফি by ইশতিয়াক পারভেজ
ওয়েলসের
রাজধানী কার্ডিফ খুব শান্ত শহর। এখানে যত ভিড় বার ও নাইট ক্লাবে। এখানকার
আমুদে মানুষগুলো খেলার চেয়ে নাচ গানেই বেশি ব্যস্ত। কিন্তু গতকাল নিউপোর্ট
থেকে স্টেডিয়াম যাওয়ার পথে যানজট দেখে স্থানীয় ট্যাক্সি চালকরাও অবাক। ২০
মাইল পথ পারি দিয়ে স্টেডিয়াম যেতে যেখানে সাধারণত ২০ মিনিটও লাগে না, গতকাল
সেখানে পেরিয়ে যায় ঘণ্টা। অবাক হয়ে ড্রাইভার প্রথমে জানতে চাইলেন
স্টেডিয়ামে কোনো কনসার্ট কিনা! কারণ আগের দিন রাতেই পাশের মিলেনিয়াম
স্টেডিয়ামে কার্ডিফবাসীরা মত্ত ছিলেন ড্রামের তালে তালে। তাই বিকাল থেকে
ছিল রাস্তা বন্ধ। কিন্তু যখন জানলেন, বাংলাদেশ-ভারত প্রস্তুতি ম্যাচ,
ড্রাইভার আরো বেশি অবাক। প্রস্তুতি ম্যাচ! দুই দেশের সমর্থকদের দেখে তা
বোঝার উপায় কোথায়! তাদের উচ্ছ্বসিত চিৎকারে শান্ত কার্ডিফের নীরবতা ভেঙে
খান খান। শুধু কার্ডিফেরই নয় ইংল্যান্ডে প্রবাসীদের সঙ্গে দেশ থেকে উড়ে
গিয়ে যোগ দিয়েছেন টাইগার ক্রিকেটের ভক্তরা। অন্যদিকে মাঠে কিন্তু দুই
অধিনায়কই ছিলেন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মুডে। বিশেষ করে বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি
বিন মুর্তজা টসে জিতে বোলারদের পরীক্ষাটা আগেই নিয়ে নিলেন। একে একে বল তুলে
দিলেন ৯ জনের হাতে। অধিনায়ককে দারুণ শুরুও এনে দেন তারা। মাত্র ১০৪ রানেই
বিরাট কোহলির দলের নেই চার উইকেট। তবে লোকেশ রাহুল ও অভিজ্ঞ এমএস ধোনি মিলে
টাইগারদের জন্যও বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সেঞ্চুরিতে। ৭ উইকেটে শেষ
পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ পৌঁছে ৩৫৯ রানে।
ভারতের ব্যাটম্যানদের আটকানোর মিশনে সবচেয়ে সফল রুবেল হোসেন ও সাকিব আল হাসানের শিকার ২টি করে উইকেট। এরপর মোসাদ্দেক, সাইফউদ্দিন ও সাব্বিররা নিয়েছেন একটি করে উইকেট। ভারতের বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ ৪’শর আগে থামানো গেছে সেটি স্বস্তিও বলা যেতে পারে। কারণ ইংল্যান্ডের ব্যাটিং স্বর্গে এদিন ব্রিস্টলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা ব্যাটিং তান্ডব চালিয়ে গড়েছে ৪২৫ রানের রেকর্ড। গতকালও বৃষ্টিতে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ ভেসে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। সকালে টসের সময় আকাশ ঢাকা ছিল মেঘে। খেলা শুরু হওয়ার আগেই স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে হালকা বৃষ্টি শুরু হয় কার্ডিফে। ম্যাচ শুরুর পরপরই শুরু হয় বৃষ্টি তবে শেষ পর্যন্ত তা দুই দলের লড়াইয়ে বাঁধা হতে পারেনি। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে রানের খাতা খুলেছিলেন শিখর ধাওয়ান। এরপর থেকে ভুগছিলেন ব্যাটে-বলে এক করতে। টাইমিং করতে পারছিলেন না সেভাবে। রানের জন্য ছটফট করা বাঁহাতি এই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিলেন দলে পেস বোলিংয়ের মূল ভরসা মোস্তাফিজুর রহমান। ৯ বলে ১ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান তিনি। ৩ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৫/১। ক্রিজে রোহিত শর্মার সঙ্গী বিরাট কোহলি। এরপর দারুণ লাইন লেংথে বোলিং করে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে বেঁধে রেখেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোস্তাফিজ। তার ফলে ১০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ছিল ৩৪ রান এক উইকেট হারিয়ে। দলের ১০৪ রান এর মধ্যে ফিরে যান রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি। রুবেল হোসেন ও সাইফউদ্দিন ফেরান তাদের।
তবে সেখান থেকে লোকেশ রাহুল ও ধোনি দলের হাল ধরেন। দু’জনই সেঞ্চুরি হাঁকান। তবে দু’জনই আউট হয়েছেন। লোকেশকে ফিরিয়েছেন সাব্বির রহমান তার পার্টটাইম লেগ স্পিনে। আর ধোনির উইকেট নেন আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের আগে ইনজুরিতে পড়া সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক মাশরাফি এ দিন দলের প্রায় সব বোলারকে পরীক্ষা করে দেখেছেন। এর মধ্যে ৮ ওভার বল করে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ৪৩ রান খরচ করে ১ উইকেট। অধিনায়ক নিজে বল হাতে কোনো উইকেট না পেলেও ৬ ওভারে রান খরচ করেছেন মাত্র ২৩ রান। ৮ ওভারে সবচেয়ে বেশি ৬৮ রান খরচ করা রুবেল হোসেনের শিকার ২ উইকেট। আর সহঅধিনায়ক সাকিব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। দারুণ বল করেছেন তরুণ পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। ৬ ওভারে ২৭ রান খরচ করে তার শিকার ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। পেসারদের মধ্যে তিন ওভারে ৪৭ রান করে খরচ করে ব্যর্থ ছিলেন আবু জায়েদ রাহী। স্পিনারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোসাদ্দেক হোসেনের সফলতা নেই। শুধু মাত্র সাব্বির ৫ ওভারে ৩০ রাখ খরচ করে নেন এক উইকেট।
ভারতের ব্যাটম্যানদের আটকানোর মিশনে সবচেয়ে সফল রুবেল হোসেন ও সাকিব আল হাসানের শিকার ২টি করে উইকেট। এরপর মোসাদ্দেক, সাইফউদ্দিন ও সাব্বিররা নিয়েছেন একটি করে উইকেট। ভারতের বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ ৪’শর আগে থামানো গেছে সেটি স্বস্তিও বলা যেতে পারে। কারণ ইংল্যান্ডের ব্যাটিং স্বর্গে এদিন ব্রিস্টলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা ব্যাটিং তান্ডব চালিয়ে গড়েছে ৪২৫ রানের রেকর্ড। গতকালও বৃষ্টিতে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ ভেসে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। সকালে টসের সময় আকাশ ঢাকা ছিল মেঘে। খেলা শুরু হওয়ার আগেই স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে হালকা বৃষ্টি শুরু হয় কার্ডিফে। ম্যাচ শুরুর পরপরই শুরু হয় বৃষ্টি তবে শেষ পর্যন্ত তা দুই দলের লড়াইয়ে বাঁধা হতে পারেনি। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে রানের খাতা খুলেছিলেন শিখর ধাওয়ান। এরপর থেকে ভুগছিলেন ব্যাটে-বলে এক করতে। টাইমিং করতে পারছিলেন না সেভাবে। রানের জন্য ছটফট করা বাঁহাতি এই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিলেন দলে পেস বোলিংয়ের মূল ভরসা মোস্তাফিজুর রহমান। ৯ বলে ১ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান তিনি। ৩ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৫/১। ক্রিজে রোহিত শর্মার সঙ্গী বিরাট কোহলি। এরপর দারুণ লাইন লেংথে বোলিং করে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে বেঁধে রেখেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোস্তাফিজ। তার ফলে ১০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ছিল ৩৪ রান এক উইকেট হারিয়ে। দলের ১০৪ রান এর মধ্যে ফিরে যান রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি। রুবেল হোসেন ও সাইফউদ্দিন ফেরান তাদের।
তবে সেখান থেকে লোকেশ রাহুল ও ধোনি দলের হাল ধরেন। দু’জনই সেঞ্চুরি হাঁকান। তবে দু’জনই আউট হয়েছেন। লোকেশকে ফিরিয়েছেন সাব্বির রহমান তার পার্টটাইম লেগ স্পিনে। আর ধোনির উইকেট নেন আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের আগে ইনজুরিতে পড়া সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক মাশরাফি এ দিন দলের প্রায় সব বোলারকে পরীক্ষা করে দেখেছেন। এর মধ্যে ৮ ওভার বল করে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ৪৩ রান খরচ করে ১ উইকেট। অধিনায়ক নিজে বল হাতে কোনো উইকেট না পেলেও ৬ ওভারে রান খরচ করেছেন মাত্র ২৩ রান। ৮ ওভারে সবচেয়ে বেশি ৬৮ রান খরচ করা রুবেল হোসেনের শিকার ২ উইকেট। আর সহঅধিনায়ক সাকিব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। দারুণ বল করেছেন তরুণ পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। ৬ ওভারে ২৭ রান খরচ করে তার শিকার ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। পেসারদের মধ্যে তিন ওভারে ৪৭ রান করে খরচ করে ব্যর্থ ছিলেন আবু জায়েদ রাহী। স্পিনারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোসাদ্দেক হোসেনের সফলতা নেই। শুধু মাত্র সাব্বির ৫ ওভারে ৩০ রাখ খরচ করে নেন এক উইকেট।
No comments