যেভাবে নাসায় ডাক পেলেন পাঁচ তরুণ by আরাফ আহমদ
একের
পর এক সম্মাননা অর্জন করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের তকমা লাগালো শাবিপ্রবি’র
একদল শিক্ষার্থীর ললাটে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা
(নাসা) কর্তৃক আয়োজিত ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮’ এতে ‘বেস্ট ডেটা
ইউটিলাইজেশন’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাবিপ্রবি থেকে
অংশগ্রহণকারী দল ‘সাস্ট অলিক’।
বিশ্বে প্রথম হওয়ায় নাসা’র সদর দপ্তরে যাওয়ার ডাক পেয়েছে ‘সাস্ট অলিক’ এর সদস্যবৃন্দ। শনিবার দুপুরে ‘সাস্ট অলিক’র প্রথম স্থান অধিকার এবং নাসায় যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ‘সাস্ট অলিকের’ মেন্টর ও শাবিপ্রবি’র কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে মেইলের মাধ্যমে প্রথম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নাসা। সাস্ট অলিকের সদস্যবৃন্দ হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস এম রাফি আদনান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাজী মাইনুল ইসলাম ও আবু সাবিক মেহেদী ও একই বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান।
বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী জানান, ‘নাসায় প্রদত্ত তথ্য থেকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এপ্লিকেশন ‘লুনার ভিআর’ তেরি করে বেস্ট ডেটা ইউটিলাইজেশন ক্যাটাগরিতে বিশ্বে সেরা হয় তারা। বাংলাদেশি হিসেবে এটিই নাসা’য় প্রথম কোনো অর্জন।
এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে চাঁদের পরিবেশ, তাপমাত্রা, বিভিন্ন জায়গার অবস্থা, চাঁদে যা আছে যেসব এর আগে কেউ কখনো দেখেনি, চাঁদ থেকে সূর্যের ছবি কেমন হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো দেখা যাবে।
তিনি জানান, অলিকের সদস্যদের কেউই সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী নয়। শুধুমাত্র নিজেদের আগ্রহের কারণে তারা আজ এ পর্যন্ত যেতে পেরেছে যা প্রশংসার দাবিদার। তাদের মধ্যে কাজী মাইনুল ইসলাম ও আবু সাবিক মেহেদী ‘সেকেন্ড মেজর’ হিসেবে সিএসই বিভাগের পড়াশোনা করছে।
তিনি বলেন, কবে যাওয়া হবে তা এখনো জানানো হয়নি, তবে খুব শিগগিরই জানানো হবে। নাসা’য় যাওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। কারণ যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে নাসার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা করা হবে না। যাওয়ায় আসায় বিশাল একটি পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন যা শিক্ষার্থীদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সরকার এবং যেকোন প্রতিষ্ঠানকে স্পন্সর হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সাস্ট অলিকের সদস্য কাজী মাইনুল ইসলাম ও আবু সাবিক মেহেদী বলেন, বাংলাদেশি এবং শাবিপ্রবি’র প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম নাসাতে আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকার প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি।
এদিকে শাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীরা বিশ্বসেরা হওয়ায় এবং নাসা’র দপ্তরে আমন্ত্রণ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেধার স্বাক্ষর রাখছে এবং অনেক সম্মান বয়ে নিয়ে আসছে। তারা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় সারা বাংলাদেশের গর্ব। তাদের যেকোনো ধরনের সহায়তা লাগলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে। সাম্প্রতিককালে পর্তুগাল একটি টিম আন্তর্জাতিক একটি প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে। আমরা তাদের আর্থিক এবং অন্যান্য সহায়তা করেছি। ভবিষ্যতেও আমরা এ ধরনের প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করবো।
প্রসঙ্গত, গতবছরের শেষের দিকে নাসা কর্তৃক আয়োজিত ‘স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮ এ ‘সাস্ট অলিক’ অংশগ্রহণ করেছিল। সেখানে বিশ্বের ৭৯টি দেশের বাছাইকৃত ২৭২৯টি টিমকে পেছনে ফেলে শীর্ষ চারে অবস্থান করে নিয়েছিল ‘সাস্ট অলিক’।
বিশ্বে প্রথম হওয়ায় নাসা’র সদর দপ্তরে যাওয়ার ডাক পেয়েছে ‘সাস্ট অলিক’ এর সদস্যবৃন্দ। শনিবার দুপুরে ‘সাস্ট অলিক’র প্রথম স্থান অধিকার এবং নাসায় যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ‘সাস্ট অলিকের’ মেন্টর ও শাবিপ্রবি’র কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে মেইলের মাধ্যমে প্রথম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নাসা। সাস্ট অলিকের সদস্যবৃন্দ হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস এম রাফি আদনান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাজী মাইনুল ইসলাম ও আবু সাবিক মেহেদী ও একই বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান।
বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী জানান, ‘নাসায় প্রদত্ত তথ্য থেকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এপ্লিকেশন ‘লুনার ভিআর’ তেরি করে বেস্ট ডেটা ইউটিলাইজেশন ক্যাটাগরিতে বিশ্বে সেরা হয় তারা। বাংলাদেশি হিসেবে এটিই নাসা’য় প্রথম কোনো অর্জন।
এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে চাঁদের পরিবেশ, তাপমাত্রা, বিভিন্ন জায়গার অবস্থা, চাঁদে যা আছে যেসব এর আগে কেউ কখনো দেখেনি, চাঁদ থেকে সূর্যের ছবি কেমন হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো দেখা যাবে।
তিনি জানান, অলিকের সদস্যদের কেউই সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী নয়। শুধুমাত্র নিজেদের আগ্রহের কারণে তারা আজ এ পর্যন্ত যেতে পেরেছে যা প্রশংসার দাবিদার। তাদের মধ্যে কাজী মাইনুল ইসলাম ও আবু সাবিক মেহেদী ‘সেকেন্ড মেজর’ হিসেবে সিএসই বিভাগের পড়াশোনা করছে।
তিনি বলেন, কবে যাওয়া হবে তা এখনো জানানো হয়নি, তবে খুব শিগগিরই জানানো হবে। নাসা’য় যাওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। কারণ যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে নাসার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা করা হবে না। যাওয়ায় আসায় বিশাল একটি পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন যা শিক্ষার্থীদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সরকার এবং যেকোন প্রতিষ্ঠানকে স্পন্সর হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সাস্ট অলিকের সদস্য কাজী মাইনুল ইসলাম ও আবু সাবিক মেহেদী বলেন, বাংলাদেশি এবং শাবিপ্রবি’র প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম নাসাতে আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকার প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি।
এদিকে শাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীরা বিশ্বসেরা হওয়ায় এবং নাসা’র দপ্তরে আমন্ত্রণ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেধার স্বাক্ষর রাখছে এবং অনেক সম্মান বয়ে নিয়ে আসছে। তারা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় সারা বাংলাদেশের গর্ব। তাদের যেকোনো ধরনের সহায়তা লাগলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে। সাম্প্রতিককালে পর্তুগাল একটি টিম আন্তর্জাতিক একটি প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে। আমরা তাদের আর্থিক এবং অন্যান্য সহায়তা করেছি। ভবিষ্যতেও আমরা এ ধরনের প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করবো।
প্রসঙ্গত, গতবছরের শেষের দিকে নাসা কর্তৃক আয়োজিত ‘স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮ এ ‘সাস্ট অলিক’ অংশগ্রহণ করেছিল। সেখানে বিশ্বের ৭৯টি দেশের বাছাইকৃত ২৭২৯টি টিমকে পেছনে ফেলে শীর্ষ চারে অবস্থান করে নিয়েছিল ‘সাস্ট অলিক’।
No comments