কী মর্মান্তিক! চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুনে প্রাণ গেল ৮ জনের by ইব্রাহিম খলিল
চট্টগ্রামে
বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই পরিবারের ৮
নারী-পুরুষ ও শিশুর। এরমধ্যে একজনের লাশ এখনো শনাক্ত হয়নি। পুড়ে ছাই হয়ে
গেছে দুই শতাধিক ঘর ও দোকানপাট। নিখোঁজ রয়েছেন আরেকজন।
তাদের মৃত্যুর কাল হলো ‘দরজায় লাগানো তালা’। চোরের ভয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে ঘুমাতেন বস্তিবাসীরা। আগুনের ধোঁয়ায় দিশাহারা হয়ে চাবি না পেয়ে তালা খুলতে পারেনি তারা। ভাঙতেও পারেনি।
শেষে জ্বলন্ত আগুনে পুড়ে মরলো তারা।
এরমধ্যে মা-দুই বোন ও এক ভাইসহ ৪ জনকে হারিয়ে নির্বাক ১০ বছরের শিশু নারগিস। নারগিস বলে, রাতে আমরা একসঙ্গেই ঘুমিয়ে ছিলাম। এরপর আগুন..., ঘর থেকে কীভাবে বের হলাম কিছুই মনে পড়ছে না।
আগুনে জীবন্ত পুড়ে নিহতরা হলেন-নারগিসের মা রহিমা আক্তার (৫০), বোন নাজমা (১৪), ভাই জাকির হোসেন (৯) এবং আরেক বোন নাসরিন (৪)।
নারগিসদের পাশেই থাকেন সাত্তার কলোনির বাসিন্দা সালমা আক্তার (৬০)। তিনি বলেন, কলোনিতে রাতে চোরের উৎপাত বেশি। সেজন্য আমরা দরজার ভেতর থেকে তালা লাগিয়ে ঘুমাই। প্রথমে খালের পাশে বস্তিঘরে আগুন লাগে। আমি আগুন দেখার পর চিৎকার করতে থাকি। তালা খুলতে গিয়ে দেখি চাবি পাচ্ছি না। তখন দা দিয়ে তালা ভেঙে ফেলি। তারপর বেরিয়ে আসি।
আর পাশের রহিমাদের ঘরেও তালা ছিল। তারা তালা ভাঙতে না পারায় বেরুতে পারেনি। সবাই পুড়ে মরেছে। নারগিসের সৎভাই মো. রফিক এসে পেছনের দরজা ভেঙে ফেলায় নারগিস কোনোমতে প্রাণে বেঁচেছেন।
সালমা আক্তার জানান, বস্তির প্রবেশমুখের প্রথম বসতি সাত্তার কলোনিতে একটি মুদির দোকান করতেন স্থানীয় সুরুজ আলীর স্ত্রী রহিমা। দোকান সংলগ্ন সেমিপাকা ঘরে চার সন্তান নিয়ে থাকতেন রহিমা। সুরুজ আলী আরেক স্ত্রী নিয়ে কাছেই আরেকটি কলোনিতে থাকেন। সৎভাই রফিক সৎমায়ের পাশাপাশি থাকতেন। আগুন লাগার পর ঘুম থেকে উঠে আসে রফিক।
রফিক বলেন, গভীর রাতে যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখি আগুন আমার খুব কাছাকাছি। নিরাপত্তার জন্য ঘরের ভেতর থেকে তালাবদ্ধ ছিল। অন্ধকারে চাবি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে বাইরে থেকে লোকজন লাথি মেরে দরজা ভেঙে দিলে আমি, আমার স্ত্রী আর নার্গিস ঘর থেকে বের হয়ে প্রাণে বাঁচি। অন্য ঘরে আমার সৎ মা রহিমা বেগম, দুই বোন ও এক ভাই আগুনে জীবন্ত পুড়ে মারা যায়। পাশাপাশি তাদের ঘরের প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আগুনে সাত্তারের কলোনির আরো এক পরিবারের দুজন মারা গেছেন। এরা হলেন-আয়শা আক্তার (৩৭) ও তার ভাগ্নে সোহাগ (১৮)। এ ছাড়া আয়শার ১১ বছর বয়সী মেয়ে ঋতু আক্তারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান আয়শার ভাই স্থানীয় তেলের দোকানের কর্মচারী মনির হোসেন।
মনির হোসেন জানান, চোরের ভয়ে তাদের ঘরের দরজায়ও ভেতর থেকে তালা লাগানো ছিল। আগুনের কুণ্ডলীর ধোঁয়ায় দিশাহারা হয়ে চাবি খুঁজে না পেয়ে তালা খুলতে পারেনি তারা। ভাঙার চেষ্টা করেও ভাঙতে পারেনি। ফলে আগুনে জীবন্ত পুড়ে মারা গেছে বোন ও সোহাগ।
মনির হোসেন আরো জানান, সোহাগ চা-দোকানে কাজ করতো। খালার বাসায় থাকতো সে। বোন আয়শার স্বামীও মারা গেছেন।
আগুনে পুড়ে মারা গেছেন একই কলোনির বাসিন্দা চটের বস্তার দোকানের কর্মচারী সামশু মিয়ার স্ত্রী হাসিনা আক্তার (৩৭)ও। এ ছাড়া উদ্ধার হওয়া ৮ মরদেহের মধ্যে একজনের পরিচয় মেলেনি।
নগরীর বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে এক শিশুর মৃতদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এই শিশু নিহত আয়শা আক্তারের নিখোঁজ মেয়ে ঋতুর কিনা তা নিশ্চিত হতে তার ডিএনএ টেস্ট করা হবে।
ওসি বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায়ই পুড়ে তারা মারা গেছে। চোরের ভয়ে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে ঘুমানোর বিষয়টি আগে থেকে আমার জানা ছিল না।
এদিকে পুড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় আগুনকে না যত দায়ী করছেন বস্তিবাসীরা তারা চেয়ে বেশি দায়ী করছেন চোরের ভয়ে দরজায় লাগানো তালাকে। আর দোষ দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। বস্তিবাসীর মতে, চোরদের বিরুদ্ধে আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়া হলে দরজায় তালা লাগিয়ে তাদের ঘুমাতে হতো না।
এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাত্তার কলোনির বাসিন্দা মধ্যবয়সী রুমা আক্তার। তিনি বলেন, চোরের ভয়ে কলোনির সবাই দরজার ভেতরে তালা দিয়ে ঘুমায়। ৭ বছর বয়স থেকে আমি এই এলাকায় আছি। কে চোর, কে ডাকাত, কে ছিনতাইকারী সব আমি চিনি। পুলিশও এদের চিনে। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরে না।
চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, ভোররাত ৩টা ৩২ মিনিটের দিকে তারা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পান। ফায়ার সার্ভিসের চন্দনপুরা, লামারবাজার, নন্দনকানন ও আগ্রাবাদ স্টেশনের ১০টি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভোর সোয়া ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মাত্র ৪৫ মিনিটের আগুনে দুই শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। মারা গেছে ৮ জন। সব লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
জসিম উদ্দিন বলেন, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম এসেছে। পুলিশের টিমও ছিল। পুলিশ রাস্তায় বেষ্টনী দিয়ে সাধারণ লোকজনের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। এতে আগুন নেভাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। বস্তি সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি মার্কেট, দোকানপাট ও পোশাক কারখানা রয়েছে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় সেগুলো রক্ষা পেয়েছে।
এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে রোববার ভোরেই ঘটনাস্থলে আসেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। আগুনে পুুড়ে মৃতদের স্বজনদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন ও আহতদের খোঁজখবর নেন। নিহতদের প্রত্যেকের দাফনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো আমরা জানি না। এটা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট কিংবা রান্নার চুলা থেকে হতে পারে। অথবা অন্য কোনো উৎস থেকেও হতে পারে। আমরা এটা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি করেছি। তারা তদন্ত করে দেখবে।
তাদের মৃত্যুর কাল হলো ‘দরজায় লাগানো তালা’। চোরের ভয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে ঘুমাতেন বস্তিবাসীরা। আগুনের ধোঁয়ায় দিশাহারা হয়ে চাবি না পেয়ে তালা খুলতে পারেনি তারা। ভাঙতেও পারেনি।
শেষে জ্বলন্ত আগুনে পুড়ে মরলো তারা।
এরমধ্যে মা-দুই বোন ও এক ভাইসহ ৪ জনকে হারিয়ে নির্বাক ১০ বছরের শিশু নারগিস। নারগিস বলে, রাতে আমরা একসঙ্গেই ঘুমিয়ে ছিলাম। এরপর আগুন..., ঘর থেকে কীভাবে বের হলাম কিছুই মনে পড়ছে না।
আগুনে জীবন্ত পুড়ে নিহতরা হলেন-নারগিসের মা রহিমা আক্তার (৫০), বোন নাজমা (১৪), ভাই জাকির হোসেন (৯) এবং আরেক বোন নাসরিন (৪)।
নারগিসদের পাশেই থাকেন সাত্তার কলোনির বাসিন্দা সালমা আক্তার (৬০)। তিনি বলেন, কলোনিতে রাতে চোরের উৎপাত বেশি। সেজন্য আমরা দরজার ভেতর থেকে তালা লাগিয়ে ঘুমাই। প্রথমে খালের পাশে বস্তিঘরে আগুন লাগে। আমি আগুন দেখার পর চিৎকার করতে থাকি। তালা খুলতে গিয়ে দেখি চাবি পাচ্ছি না। তখন দা দিয়ে তালা ভেঙে ফেলি। তারপর বেরিয়ে আসি।
আর পাশের রহিমাদের ঘরেও তালা ছিল। তারা তালা ভাঙতে না পারায় বেরুতে পারেনি। সবাই পুড়ে মরেছে। নারগিসের সৎভাই মো. রফিক এসে পেছনের দরজা ভেঙে ফেলায় নারগিস কোনোমতে প্রাণে বেঁচেছেন।
সালমা আক্তার জানান, বস্তির প্রবেশমুখের প্রথম বসতি সাত্তার কলোনিতে একটি মুদির দোকান করতেন স্থানীয় সুরুজ আলীর স্ত্রী রহিমা। দোকান সংলগ্ন সেমিপাকা ঘরে চার সন্তান নিয়ে থাকতেন রহিমা। সুরুজ আলী আরেক স্ত্রী নিয়ে কাছেই আরেকটি কলোনিতে থাকেন। সৎভাই রফিক সৎমায়ের পাশাপাশি থাকতেন। আগুন লাগার পর ঘুম থেকে উঠে আসে রফিক।
রফিক বলেন, গভীর রাতে যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখি আগুন আমার খুব কাছাকাছি। নিরাপত্তার জন্য ঘরের ভেতর থেকে তালাবদ্ধ ছিল। অন্ধকারে চাবি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে বাইরে থেকে লোকজন লাথি মেরে দরজা ভেঙে দিলে আমি, আমার স্ত্রী আর নার্গিস ঘর থেকে বের হয়ে প্রাণে বাঁচি। অন্য ঘরে আমার সৎ মা রহিমা বেগম, দুই বোন ও এক ভাই আগুনে জীবন্ত পুড়ে মারা যায়। পাশাপাশি তাদের ঘরের প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আগুনে সাত্তারের কলোনির আরো এক পরিবারের দুজন মারা গেছেন। এরা হলেন-আয়শা আক্তার (৩৭) ও তার ভাগ্নে সোহাগ (১৮)। এ ছাড়া আয়শার ১১ বছর বয়সী মেয়ে ঋতু আক্তারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান আয়শার ভাই স্থানীয় তেলের দোকানের কর্মচারী মনির হোসেন।
মনির হোসেন জানান, চোরের ভয়ে তাদের ঘরের দরজায়ও ভেতর থেকে তালা লাগানো ছিল। আগুনের কুণ্ডলীর ধোঁয়ায় দিশাহারা হয়ে চাবি খুঁজে না পেয়ে তালা খুলতে পারেনি তারা। ভাঙার চেষ্টা করেও ভাঙতে পারেনি। ফলে আগুনে জীবন্ত পুড়ে মারা গেছে বোন ও সোহাগ।
মনির হোসেন আরো জানান, সোহাগ চা-দোকানে কাজ করতো। খালার বাসায় থাকতো সে। বোন আয়শার স্বামীও মারা গেছেন।
আগুনে পুড়ে মারা গেছেন একই কলোনির বাসিন্দা চটের বস্তার দোকানের কর্মচারী সামশু মিয়ার স্ত্রী হাসিনা আক্তার (৩৭)ও। এ ছাড়া উদ্ধার হওয়া ৮ মরদেহের মধ্যে একজনের পরিচয় মেলেনি।
নগরীর বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে এক শিশুর মৃতদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এই শিশু নিহত আয়শা আক্তারের নিখোঁজ মেয়ে ঋতুর কিনা তা নিশ্চিত হতে তার ডিএনএ টেস্ট করা হবে।
ওসি বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায়ই পুড়ে তারা মারা গেছে। চোরের ভয়ে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে ঘুমানোর বিষয়টি আগে থেকে আমার জানা ছিল না।
এদিকে পুড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় আগুনকে না যত দায়ী করছেন বস্তিবাসীরা তারা চেয়ে বেশি দায়ী করছেন চোরের ভয়ে দরজায় লাগানো তালাকে। আর দোষ দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। বস্তিবাসীর মতে, চোরদের বিরুদ্ধে আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়া হলে দরজায় তালা লাগিয়ে তাদের ঘুমাতে হতো না।
এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাত্তার কলোনির বাসিন্দা মধ্যবয়সী রুমা আক্তার। তিনি বলেন, চোরের ভয়ে কলোনির সবাই দরজার ভেতরে তালা দিয়ে ঘুমায়। ৭ বছর বয়স থেকে আমি এই এলাকায় আছি। কে চোর, কে ডাকাত, কে ছিনতাইকারী সব আমি চিনি। পুলিশও এদের চিনে। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরে না।
চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, ভোররাত ৩টা ৩২ মিনিটের দিকে তারা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পান। ফায়ার সার্ভিসের চন্দনপুরা, লামারবাজার, নন্দনকানন ও আগ্রাবাদ স্টেশনের ১০টি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভোর সোয়া ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মাত্র ৪৫ মিনিটের আগুনে দুই শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। মারা গেছে ৮ জন। সব লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
জসিম উদ্দিন বলেন, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম এসেছে। পুলিশের টিমও ছিল। পুলিশ রাস্তায় বেষ্টনী দিয়ে সাধারণ লোকজনের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। এতে আগুন নেভাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। বস্তি সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি মার্কেট, দোকানপাট ও পোশাক কারখানা রয়েছে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় সেগুলো রক্ষা পেয়েছে।
এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে রোববার ভোরেই ঘটনাস্থলে আসেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। আগুনে পুুড়ে মৃতদের স্বজনদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন ও আহতদের খোঁজখবর নেন। নিহতদের প্রত্যেকের দাফনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো আমরা জানি না। এটা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট কিংবা রান্নার চুলা থেকে হতে পারে। অথবা অন্য কোনো উৎস থেকেও হতে পারে। আমরা এটা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি করেছি। তারা তদন্ত করে দেখবে।
No comments