ঔষধি ফলদ বনজ ও বনসাই- বাহারি গাছ ঝুলছে টবে জাতীয় বৃক্ষ ও পরিবেশমেলা by বশিরুল ইসলাম
জমে উঠেছে জাতীয় বৃক্ষ ও পরিবেশমেলা-২০১৩।
প্রতিদিন বাড়ছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। দেশী-বিদেশী কয়েক লাখ গাছের
ঠাঁই হয়েছে মেলায়। কোনটা ঔষধি, কোনটা ফলদ আবার কোনটা বনজ।
এছাড়া, মেলায় রয়েছে ঘরসজ্জার বাহারি ক্যাকটাস, ফুল ও অর্নামেন্টাল গাছ।
এবারের মেলার বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও রং-বেরঙের বনসাই দর্শনার্থীদের নজর
কেড়েছে। তবে মেলায় সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে নানা জাতের আমের গাছ। পাকা
লাল-হলুদ বাহারি রং আর ঢঙের আমগুলো ঝুলছে টবের গাছে গাছে। ‘গাছ লাগিয়ে ভরব
দেশ তৈরি করব সুখের পরিবেশ’ এই সেøাগান সামনে নিয়ে গত ৫ জুন শেরেবাংলা কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাণিজ্যমেলার মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেলা
উদ্বোধন করেন। মেলা চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত।
বৃক্ষমেলায় চারদিকে কেবলই সবুজের সমারোহ। চোখ জুড়িয়ে যায়। প্রতিদিন হাজারো বৃক্ষপ্রেমী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় করছেন মেলায়। ঘুরেফিরে কিনে নিচ্ছেন পছন্দের গাছ। শুক্রবার মেলা প্রাঙ্গণে ছিল ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা যায়, বরিশাল নার্সারিতে প্রচুর ক্রেতা ও দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছে সবচেয়ে দামী আমলকীর চারাকে ঘিরে। ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে এ চারাটি নিয়ে দরকষাকষি হচ্ছে। আবার কিছু দর্শনার্থী দাঁড়িয়ে এ চারাটি অবলোকন করছে। বরিশাল নার্সারির মালিক মোঃ ইব্রাহিম খলিল জানান, এ চারাটির দাম ৯০ হাজার টাকায় উঠেছে। তিনি আরও জানান, থাইল্যান্ডের একটি প্রজাতি এ আমলকীর চারাটি। একে টবে অথবা বাগানে লাগানো যাবে। তিনি জানান, চারাটি ১ লাখ টাকা হলেই বিক্রি করবেন। ৯ ও ১০ নম্বর স্টলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নার্সারি স্থাপন করা হয়েছে। কৃষি বনায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফরহাদ হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই স্টল পরিচালনা হচ্ছে। তিনি জানান, তাঁর স্টলে ২শ’র বেশি প্রজাতির ফুল ও ফলের চারা রয়েছে। এখানে আরও রয়েছে আম্রপালি জাতের আমের চারা, যার মূল্য প্রায় বিশ হাজার টাকা। তাছাড়া রয়েছে থাইল্যান্ডের জামরুল, পেয়ারা, লিচু, বাতাবি লেবুুু, জাম্বুরা, জাম, কামরাঙ্গা, কুল ও আমলকীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ। মেলায় কথা হলো রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আগত সরকারী চাকরিজীবী সালমা বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি কিনেছেন পেয়ারা, কাগজি লেবু ও আমের চারা এবং সঙ্গে কিছু ফুলের চারাও। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টল থেকে তিনি এই চারাগুলো কিনেছেন। পেয়ারা চারা ১৫০ টাকা, কাগজি লেবু ৫০ টাকায়, আমগাছের চারা ৫৫০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। তিনি পড়াশোনো করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে। তাঁর অনেক বন্ধু আছে কৃষিবিদ, সেজন্য ভাল ফলন পাওয়া আশায় তিনি এই স্টল থেকে এই চারাগুলো কিনেছেন। মেলায় অংশগ্রহণ করা স্কয়ার এগ্রো ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড প্রসেসিং লিমিটেড কোম্পানি সূত্র জানায়, তারা টিস্যু কালচার প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়োটেক কলার চারা ও স্ট্রবেরির চারা আবিষ্কার করেন, যা অন্যান্য কলার চারা ও স্ট্রবেরির চারার চেয়ে অধিক উৎপাদনশীল। এগুলো টবে চাষের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাঠেও চাষ করা যাবে।
বৃক্ষমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেল, মেলায় মোট ১১০টি স্টল অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে সরকারী স্টল আছে ১৯টি। বেসরকারী তিনটি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ৭৬টি ও বনজ মধু, বাঁশ-বেতের তৈরি আসবাবপত্র, মাটি ও সিরামিকের জিনিসপত্র নিয়ে ১২টি স্টল। এবার বৃক্ষমেলার পাশাপাশি পরিবেশ মেলাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মেলার সহকারী পরিচালক মুনিরুজ্জামান বলেন, দেশীয় পণ্য প্রদর্শনীর লক্ষ্যেই পরিবেশ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় পরিবেশ সহায়ক নার্সারি ও ব্র্যাক নার্সারিতে এবারই প্রথম ডায়াবেটিস রোগ নিরাময়ের জন্য সহায়ক আলফা আলফা ও স্ক্যাভিয়া চারা পাওয়া যাচ্ছে।
জুরাইন থেকে আগত মোসাঃ শাকিলা ইসলাম জানান, তিনি কয়েকটি ফুল, ফল ও সবজির চারা কিনেছেন। যেখানে হাইড্রোপনিক পদ্ধতির মাধ্যমে অল্প জায়গায় মাটি ব্যতীত শুধু পানি ও এগ্রো তরল খাদ্য উপাদান মিশিয়ে ফুল, ফল ও সবজি উৎপাদন করা সম্ভব। এজন্য তিনি চাষ প্রণালীর কয়েকটি বইও কিনেছেন।
বৃক্ষকে বামন করে রাখার নামই বনসাই। বনসাই মূলত সমাজের এলিটদের শখের হলেও বর্তমানে সব শ্রেণীর মানুষের শখের বস্তুতে পরিণত হয়েছে। বনসাই করার জন্য এক অথবা দুই বছর বয়সের চারার প্রধান মূল কেটে দিতে হয়। তারপর চারাটির শাখা মূল গজানোর জন্য মাটির থালা বা প্লেটের ওপর মাটিসহ ছায়ায় রাখতে হয়। সপ্তাহখানেক পর লোহার তার পেঁচিয়ে ইচ্ছামতো আকার-আকৃতি দিতে হয়। সেই সঙ্গে গজিয়ে ওঠা শাখা-প্রশাখা কেটে দিতে হবে। যেন গাছটির উচ্চতা বাড়তে না পারে। গাছটির গোড়ায় নিয়মিত পানি ও সুষম সার দিতে হবে। চীন ও জাপানে সর্বপ্রথম এলিটদের ঘরের শ্রীবৃদ্ধির জন্য বনসাই চর্চার প্রচলন হয়। বনসাইয়ের প্রতি মেলায় দর্শনার্থীদের বিশেষ আগ্রহের কারণে বরিশাল, সুমি ও বনলতা নার্সারির প্রায় সব স্টলে বনসাই স্থান পেয়েছে। স্টলে গিয়ে দেখা গেছে, সবচেয়ে দামী বনসাই। ৩০ বছরের পাকুড় গাছকে আটকে রাখা হয়েছে দুই ফুট উচ্চতার মধ্যে। দাম ধরা হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে বলে স্টল মালিক জানান। এছাড়া কামরাঙ্গা, কমলা, মিষ্টি তেঁতুল ও বটসহ বিভিন্ন গাছের নানা বয়সী ও আকৃতির বনসাই বিক্রি হচ্ছে। মেসার্স পল্লীশ্রী নার্সারি স্টলের কর্মচারী মোস্তফা জানান, তাঁর নার্সারিতে ২০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দামের বনসাই রয়েছে, যা নৌকা, পাখি, উড়োজাহাজ, সাপ আকৃতির। জুরাইন থেকে আগত মাহমুদা আক্তার বলেন, আমার সংগ্রহে পাকুড় ও বটের বনসাই রয়েছে। আজ মেলা থেকে মিষ্টি তেঁতুলের বনসাঁই কিনলাম ৬ হাজার টাকা দিয়ে। অন্যদিকে সুমি নার্সারিতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ২৫ জাতের বনসাই। ওই স্টলে চায়নিজ বট, জেসিনা, জরা নারিকা ও বটের বনসাই।
মোহাম্মদপুর থেকে আসা প্রিপারেটরি স্কুলের শিক্ষার্থী নওশীন আক্তার দিপীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেলায় এসে তার খুব ভাল লাগছে, কেননা বই-পুস্তকে এতদিন যেসব ফুল ও ফলের নাম পড়েছে আজ সে নিজের চোখে তা দেখছে। জারবেরা, গ্লাডিওলাস, অর্কিড, ঝুমকোলতার, ক্রিসেনথেমামের মতো ফুলের চারা দেখে মুগ্ধ নওশীন।
বৃক্ষমেলায় চারদিকে কেবলই সবুজের সমারোহ। চোখ জুড়িয়ে যায়। প্রতিদিন হাজারো বৃক্ষপ্রেমী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় করছেন মেলায়। ঘুরেফিরে কিনে নিচ্ছেন পছন্দের গাছ। শুক্রবার মেলা প্রাঙ্গণে ছিল ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা যায়, বরিশাল নার্সারিতে প্রচুর ক্রেতা ও দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছে সবচেয়ে দামী আমলকীর চারাকে ঘিরে। ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে এ চারাটি নিয়ে দরকষাকষি হচ্ছে। আবার কিছু দর্শনার্থী দাঁড়িয়ে এ চারাটি অবলোকন করছে। বরিশাল নার্সারির মালিক মোঃ ইব্রাহিম খলিল জানান, এ চারাটির দাম ৯০ হাজার টাকায় উঠেছে। তিনি আরও জানান, থাইল্যান্ডের একটি প্রজাতি এ আমলকীর চারাটি। একে টবে অথবা বাগানে লাগানো যাবে। তিনি জানান, চারাটি ১ লাখ টাকা হলেই বিক্রি করবেন। ৯ ও ১০ নম্বর স্টলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নার্সারি স্থাপন করা হয়েছে। কৃষি বনায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফরহাদ হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই স্টল পরিচালনা হচ্ছে। তিনি জানান, তাঁর স্টলে ২শ’র বেশি প্রজাতির ফুল ও ফলের চারা রয়েছে। এখানে আরও রয়েছে আম্রপালি জাতের আমের চারা, যার মূল্য প্রায় বিশ হাজার টাকা। তাছাড়া রয়েছে থাইল্যান্ডের জামরুল, পেয়ারা, লিচু, বাতাবি লেবুুু, জাম্বুরা, জাম, কামরাঙ্গা, কুল ও আমলকীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ। মেলায় কথা হলো রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আগত সরকারী চাকরিজীবী সালমা বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি কিনেছেন পেয়ারা, কাগজি লেবু ও আমের চারা এবং সঙ্গে কিছু ফুলের চারাও। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টল থেকে তিনি এই চারাগুলো কিনেছেন। পেয়ারা চারা ১৫০ টাকা, কাগজি লেবু ৫০ টাকায়, আমগাছের চারা ৫৫০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। তিনি পড়াশোনো করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে। তাঁর অনেক বন্ধু আছে কৃষিবিদ, সেজন্য ভাল ফলন পাওয়া আশায় তিনি এই স্টল থেকে এই চারাগুলো কিনেছেন। মেলায় অংশগ্রহণ করা স্কয়ার এগ্রো ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড প্রসেসিং লিমিটেড কোম্পানি সূত্র জানায়, তারা টিস্যু কালচার প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়োটেক কলার চারা ও স্ট্রবেরির চারা আবিষ্কার করেন, যা অন্যান্য কলার চারা ও স্ট্রবেরির চারার চেয়ে অধিক উৎপাদনশীল। এগুলো টবে চাষের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাঠেও চাষ করা যাবে।
বৃক্ষমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেল, মেলায় মোট ১১০টি স্টল অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে সরকারী স্টল আছে ১৯টি। বেসরকারী তিনটি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ৭৬টি ও বনজ মধু, বাঁশ-বেতের তৈরি আসবাবপত্র, মাটি ও সিরামিকের জিনিসপত্র নিয়ে ১২টি স্টল। এবার বৃক্ষমেলার পাশাপাশি পরিবেশ মেলাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মেলার সহকারী পরিচালক মুনিরুজ্জামান বলেন, দেশীয় পণ্য প্রদর্শনীর লক্ষ্যেই পরিবেশ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় পরিবেশ সহায়ক নার্সারি ও ব্র্যাক নার্সারিতে এবারই প্রথম ডায়াবেটিস রোগ নিরাময়ের জন্য সহায়ক আলফা আলফা ও স্ক্যাভিয়া চারা পাওয়া যাচ্ছে।
জুরাইন থেকে আগত মোসাঃ শাকিলা ইসলাম জানান, তিনি কয়েকটি ফুল, ফল ও সবজির চারা কিনেছেন। যেখানে হাইড্রোপনিক পদ্ধতির মাধ্যমে অল্প জায়গায় মাটি ব্যতীত শুধু পানি ও এগ্রো তরল খাদ্য উপাদান মিশিয়ে ফুল, ফল ও সবজি উৎপাদন করা সম্ভব। এজন্য তিনি চাষ প্রণালীর কয়েকটি বইও কিনেছেন।
বৃক্ষকে বামন করে রাখার নামই বনসাই। বনসাই মূলত সমাজের এলিটদের শখের হলেও বর্তমানে সব শ্রেণীর মানুষের শখের বস্তুতে পরিণত হয়েছে। বনসাই করার জন্য এক অথবা দুই বছর বয়সের চারার প্রধান মূল কেটে দিতে হয়। তারপর চারাটির শাখা মূল গজানোর জন্য মাটির থালা বা প্লেটের ওপর মাটিসহ ছায়ায় রাখতে হয়। সপ্তাহখানেক পর লোহার তার পেঁচিয়ে ইচ্ছামতো আকার-আকৃতি দিতে হয়। সেই সঙ্গে গজিয়ে ওঠা শাখা-প্রশাখা কেটে দিতে হবে। যেন গাছটির উচ্চতা বাড়তে না পারে। গাছটির গোড়ায় নিয়মিত পানি ও সুষম সার দিতে হবে। চীন ও জাপানে সর্বপ্রথম এলিটদের ঘরের শ্রীবৃদ্ধির জন্য বনসাই চর্চার প্রচলন হয়। বনসাইয়ের প্রতি মেলায় দর্শনার্থীদের বিশেষ আগ্রহের কারণে বরিশাল, সুমি ও বনলতা নার্সারির প্রায় সব স্টলে বনসাই স্থান পেয়েছে। স্টলে গিয়ে দেখা গেছে, সবচেয়ে দামী বনসাই। ৩০ বছরের পাকুড় গাছকে আটকে রাখা হয়েছে দুই ফুট উচ্চতার মধ্যে। দাম ধরা হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে বলে স্টল মালিক জানান। এছাড়া কামরাঙ্গা, কমলা, মিষ্টি তেঁতুল ও বটসহ বিভিন্ন গাছের নানা বয়সী ও আকৃতির বনসাই বিক্রি হচ্ছে। মেসার্স পল্লীশ্রী নার্সারি স্টলের কর্মচারী মোস্তফা জানান, তাঁর নার্সারিতে ২০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দামের বনসাই রয়েছে, যা নৌকা, পাখি, উড়োজাহাজ, সাপ আকৃতির। জুরাইন থেকে আগত মাহমুদা আক্তার বলেন, আমার সংগ্রহে পাকুড় ও বটের বনসাই রয়েছে। আজ মেলা থেকে মিষ্টি তেঁতুলের বনসাঁই কিনলাম ৬ হাজার টাকা দিয়ে। অন্যদিকে সুমি নার্সারিতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ২৫ জাতের বনসাই। ওই স্টলে চায়নিজ বট, জেসিনা, জরা নারিকা ও বটের বনসাই।
মোহাম্মদপুর থেকে আসা প্রিপারেটরি স্কুলের শিক্ষার্থী নওশীন আক্তার দিপীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেলায় এসে তার খুব ভাল লাগছে, কেননা বই-পুস্তকে এতদিন যেসব ফুল ও ফলের নাম পড়েছে আজ সে নিজের চোখে তা দেখছে। জারবেরা, গ্লাডিওলাস, অর্কিড, ঝুমকোলতার, ক্রিসেনথেমামের মতো ফুলের চারা দেখে মুগ্ধ নওশীন।
No comments