ছুটির দিনে জমজমাট প্রচার, প্রার্থীরা ব্যস্ত গণসংযোগে- জিসিসি নির্বাচন ॥ আজমতের পক্ষে জাহাঙ্গীর নামবেন আজ
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (জিসিসি)
নির্বাচনে শুক্রবার ছুটির দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা
গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। প্রার্থীরা দিনভর হাটবাজার, দোকানপাট ও
মার্কেটে গণসংযোগ করেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার
শুরু হওয়ার পর প্রথম শুক্রবার প্রায় সব প্রার্থীই নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন
মসজিদে এলাকাবাসীর সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেন। এ সময় তারা স্থানীয়
ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে ভোট ও দোয়া চান। নির্বাচনী এলাকায় পুরোদমে
প্রার্থীদের মাইকিং, পোস্টার ও লিফলেটের মাধ্যমে জমে উঠেছে প্রচার। পুরো
এলাকায় এখন নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। এদিকে সকল গুঞ্জন ও জল্পনাকল্পনার
অবসান ঘটিয়ে শনিবার থেকে জাহাঙ্গীর আলম ১৪ দলীয় মেয়রপ্রার্থী এ্যাডভোকেট
আজমত উল্লা খানের পক্ষেই গণসংযোগে নামবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
গাজীপুর-১ আসনের সাংসদ ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ.ক.ম মোজাম্মেল হক জানান, তিনিসহ গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল, টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রজব আলীকে সঙ্গে নিয়ে এ্যাডভোকেট আজমত উল্লার (দোয়াত-কলম) পক্ষে গণসংযোগ করবেন।
প্রার্থীদের গণসংযোগ ॥ শুক্রবার ১৪ দল সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী এ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান (দোয়াত-কলম) দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গাজীপুর সদর উপজেলার পূবাইলের হায়দরাবাদ, টঙ্গীর মিলগেট, মন্নু টেক্সটাইল মিল, বোর্ড বাজার, বাসনের চানপাড়া, চান্দনা-চৌরাস্তা, জয়দেবপুর বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে গাছা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম এমএ, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুর রশিদ, হাজী আদম আলী, গাজীপুর সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউল্লাহ ম-ল, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন, রফিজ উদ্দিন রফিজ, জামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সেলিম আজাদ, জুয়েল ম-ল, কাসেম মাতব্বরসহ গাজীপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী গণসংযোগে অংশ নেন।
একইদিন ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক এমএ মান্নান (টেলিভিশন) গাজীপুর সদরের চেরাগ আলী মার্কেট, আউচপাড়া, কলেজরোড, মিলগেট, দেওড়া, খৈরতল, গুটিয়া, মুদাফা, সাতাইশ এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকার, সালাউদ্দিন সরকার, গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহেন শাহ আলমসহ দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থক নিয়ে গণসংযোগ করেন।
এছাড়া মেয়রপ্রার্থী ডা. নাজিম উদ্দিন (ঘোড়া), রীনা সুলতানা (প্রজাপতি) ও আমান উল্লাহ (তালা) সিটির বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের গণসংযোগ ॥ শুক্রবার বাদ জুমা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মেয়রপ্রার্থী এ্যাডভোকেট আজমত উল্লার (দোয়াত-কলম) পক্ষে গণসংযোগ করেছেন। তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন। ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী গণসংযোগে অংশ নেন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম গণসংযোগকালে জানান, ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭টি ওয়ার্ড কমিটি ছাড়াও প্রতি ওয়ার্ডের প্রতি কেন্দ্রে একটি করে কেন্দ্র কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওয়ার্ড ও কেন্দ্র কমিটিতে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র কমিটি পর্যবেক্ষণে থাকবেন একজন করে কেন্দ্রীয় নেতা।
১৪ দল সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী এ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান (দোয়াত-কলম) বলেন, আমি পরপর তিনবার টঙ্গী পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র। আমার অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার পাশাপাশি নতুন আঙ্গিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে একটি আধুনিক সিটি কর্পোরেশন হিসেবে গড়ে তুলব। আমি পরাজিত হলেও যিনি নির্বাচিত হবেন, তাকে তার চাহিদা অনুযায়ী সার্বিক সহযোগিতা করব।
১৮ দলীয় জোট প্রার্থী অধ্যাপক এম,এ মান্নান (টেলিভিশন) বলেন, ১৯৯১ সালে এ এলাকার জনগণ আমাকে দেশের সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছিল। সে সময় আমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করেছিলাম। আমি এবার মেয়র নির্বাচিত হলে গাজীপুরকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য উন্নতমানের ইনস্টিটিউট গড়ে তুলব। এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি এখানকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মাণ করব।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হক এমপি জানান, আমাদের দলে দুজন প্রার্থী থাকলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ী হওয়া যাবে না। তাই জাহাঙ্গীর আলম নিজেই আজমত উল্লা খানকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে তার আত্মগোপনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, শনিবার থেকে জাহাঙ্গীর আলম আজমত উল্লাহর পক্ষে গণসংযোগে নামবেন। এদিকে শুক্রবারও জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে বন্ধ পাওয়া গেছে।
গাজীপুর-১ আসনের সাংসদ ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ.ক.ম মোজাম্মেল হক জানান, তিনিসহ গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল, টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রজব আলীকে সঙ্গে নিয়ে এ্যাডভোকেট আজমত উল্লার (দোয়াত-কলম) পক্ষে গণসংযোগ করবেন।
প্রার্থীদের গণসংযোগ ॥ শুক্রবার ১৪ দল সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী এ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান (দোয়াত-কলম) দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গাজীপুর সদর উপজেলার পূবাইলের হায়দরাবাদ, টঙ্গীর মিলগেট, মন্নু টেক্সটাইল মিল, বোর্ড বাজার, বাসনের চানপাড়া, চান্দনা-চৌরাস্তা, জয়দেবপুর বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে গাছা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম এমএ, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুর রশিদ, হাজী আদম আলী, গাজীপুর সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউল্লাহ ম-ল, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন, রফিজ উদ্দিন রফিজ, জামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সেলিম আজাদ, জুয়েল ম-ল, কাসেম মাতব্বরসহ গাজীপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী গণসংযোগে অংশ নেন।
একইদিন ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক এমএ মান্নান (টেলিভিশন) গাজীপুর সদরের চেরাগ আলী মার্কেট, আউচপাড়া, কলেজরোড, মিলগেট, দেওড়া, খৈরতল, গুটিয়া, মুদাফা, সাতাইশ এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকার, সালাউদ্দিন সরকার, গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহেন শাহ আলমসহ দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থক নিয়ে গণসংযোগ করেন।
এছাড়া মেয়রপ্রার্থী ডা. নাজিম উদ্দিন (ঘোড়া), রীনা সুলতানা (প্রজাপতি) ও আমান উল্লাহ (তালা) সিটির বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের গণসংযোগ ॥ শুক্রবার বাদ জুমা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মেয়রপ্রার্থী এ্যাডভোকেট আজমত উল্লার (দোয়াত-কলম) পক্ষে গণসংযোগ করেছেন। তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন। ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী গণসংযোগে অংশ নেন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম গণসংযোগকালে জানান, ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭টি ওয়ার্ড কমিটি ছাড়াও প্রতি ওয়ার্ডের প্রতি কেন্দ্রে একটি করে কেন্দ্র কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওয়ার্ড ও কেন্দ্র কমিটিতে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র কমিটি পর্যবেক্ষণে থাকবেন একজন করে কেন্দ্রীয় নেতা।
১৪ দল সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী এ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান (দোয়াত-কলম) বলেন, আমি পরপর তিনবার টঙ্গী পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র। আমার অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার পাশাপাশি নতুন আঙ্গিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে একটি আধুনিক সিটি কর্পোরেশন হিসেবে গড়ে তুলব। আমি পরাজিত হলেও যিনি নির্বাচিত হবেন, তাকে তার চাহিদা অনুযায়ী সার্বিক সহযোগিতা করব।
১৮ দলীয় জোট প্রার্থী অধ্যাপক এম,এ মান্নান (টেলিভিশন) বলেন, ১৯৯১ সালে এ এলাকার জনগণ আমাকে দেশের সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছিল। সে সময় আমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করেছিলাম। আমি এবার মেয়র নির্বাচিত হলে গাজীপুরকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য উন্নতমানের ইনস্টিটিউট গড়ে তুলব। এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি এখানকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মাণ করব।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হক এমপি জানান, আমাদের দলে দুজন প্রার্থী থাকলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ী হওয়া যাবে না। তাই জাহাঙ্গীর আলম নিজেই আজমত উল্লা খানকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে তার আত্মগোপনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, শনিবার থেকে জাহাঙ্গীর আলম আজমত উল্লাহর পক্ষে গণসংযোগে নামবেন। এদিকে শুক্রবারও জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে বন্ধ পাওয়া গেছে।
No comments