দুর্গম চরে সড়ক
যমুনার দুর্গম চরের মানুষ কোন দিন চিন্তাই
করেনি যাতায়াত সুবিধার জন্য চরের ভেতরে এত বড় রাস্তা হবে। হোক কাঁচা
রাস্তা -তবুও অনেক প্রশস্ত এবং লম্বা এ সড়ক দিযে ছেলেমেয়েরা
স্কুল-মাদ্রাসায যেতে পারছে।
জরুরী রোগী পরিবহনের জন্য
ভ্যানগাড়ি মোটরসাইকেল চলাচল করছে। বর্ষায় বাঁধ হিসেবে কাজ করে। মানুষজন
গবাদিপশু নিয়ে বন্যার সময় সড়কে আশ্রয় নিতে পারে। এছাড়াও দুর্গম এ চরাঞ্চল
থেকে বেলকুচি উপজেলা সদরে যাতায়াত সুবিধার জন্য আরও ৭টি সংযোগ সড়কও নির্মাণ
করা হচ্ছে। যমুনা পারের অবহেলিত দুর্গম চরাঞ্চলের ভেতরে প্রায় ১২ ফুট চওড়া
এবং ২১ কিলোমিটার লম্বা সড়ক সরেজমিন ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা
গেছে, তাদের এমন সুবিধা এনে দিয়েছেন বেলকুচির সন্তান সরকারের মৎস্য ও
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এমপি। চরের মানুষ এখন এই রাস্তা
পাঁকাকরণ ও বিদ্যুতের বাতি চায়। বঙ্গবন্ধু সেতুর ভাটিতে সিরাজগঞ্জ সদর,
বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার ৫ ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ এই সুবিধা
পাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হবার পর উজানে এবং ভাটিতে অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। বিগত দশ বছরে এসব চরে বসতিও গড়েছে মানুষ। আবাদও হয়। পুরাতন চরও আছে। কিন্তু এসব চরে কখনও রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। যদিও বা টিআর কিংবা কাবিখা প্রকল্পে ছোট ছোট কিছু রাস্তা তৈরি হতো, তা পরবর্তী বর্ষায় পানির স্রোতে ভেঙ্গে যেত। চরের মানুষের চলাচল ছিল অনেক কষ্টকর। উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করা, রোগী পরিবহন, নিত্যদিনের বাজারসহ এ পাড়া থেকে ও পাড়ায় যাতায়াত ছিল অনেকটা দুরূহ। এ কারণেই বলা হয় যমুনার দুর্গম চর। এই দুর্গম চরের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে দিয়েছে ২১ কি.মি. দীর্ঘ একটি সড়ক।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য ছেলেমেয়ে স্কুল-মাদ্রাসায় যায়। স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে দেখা হলো বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনী বাড়ি খেয়াঘাটে। ওরা দল বেঁধে যাচ্ছে নদীর পশ্চিমপারে রান্ধুনী বাড়ি স্কুল ও মাদ্রাসায়। ওদের মনে খুবই আনন্দ। মাত্র দু’বছর আগেও ওরা স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে যাতায়াতে নানা প্রতিকুল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। এখন এই সড়কটি নির্মিত হবার পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। শাহিদা, সাজেদা, হাবীব,সফিকুল ওরা সবাই বলেছে এখন আর কাঁদা পানি বা উত্তপ্ত বালি মাটিতে এক পায়ের রাস্তায যেতে হয়না। ১২ ফুট চওড়া উঁচু রাস্তায় হেসে খেলে আনন্দ স্ফুর্তিতে যাতায়াত করছি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের বড়শিমুল চরের বাসিন্দা আব্দুল হালিম বললেন বালিয়াড়ির এই চরে এত বড় উঁচু রাস্তা হবে তা কখনও চিন্তাই করিনি। আগে অনেক কষ্টে মানুষ চলাচল করেছে। বর্ষায় ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। আশ্রয়ের জায়গা ছিল না। এখন চলাচল সুবিধা হয়েছে। বর্ষায় মানুষজন গবাদিপশু নিয়ে উঁচু সড়কে আশ্রয় নিতে পারছে। এসব সুবিধা পেয়েছি মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসের বদৌলতে। বেলকুচি উপজেলার নাগফাটা চরের মুদি দোকানি ছাইদুল ইসলাম বললেন- এই সড়কটি নির্মাণের পর চরের মানুষের জীবন জীবিকার আবহ পাল্টে গেছে। এক সময় তাকেই সরু রাস্তায় কিংবা জমির আইল পথে বোঝা মাথায় নিয়ে চরাচল করতে হয়েছে। এখন সে সওদার বোঝা ভ্যান গাড়িতে চরাচর করছে। এমনকি রাতের বেলায় আপদে-বিপদে ভ্যানগাড়ি বা মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে। রোগী পরিবহন সহজ হয়েছে। বেলকুচি উপজেলার আজুগড়া থেকে বড়ধুল, বেলকুচি,রাজাপুর এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিযন হয়ে ২১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও বেলকুচি উপজেলা সদরের সঙ্গে চরের মানুষের সরাসরি সংযোগের জন্য ৭টি সংযোগ সড়কও নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। এজন্য মূল সড়ক নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং খাদ্য শস্য ব্যয় করা হয়েছে ৯শ’ ৩৪ মে. টন। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় করা হচ্ছে এক কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং ৬৪৩ মে.টন খাদ্য শস্য।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান মানব মুক্তি সংস্থার সহযোগিতায় এ প্রকল্প বাস্তবাযন করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী ও এলজিইডি। যমুনার দুর্গম চরে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এমপি জনকণ্ঠকে বলেছেন, চরাঞ্চল ও তৃণমূলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই চরের অবহেলিত মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে চরের এ রাস্তাটি পাকা করে বিদ্যুতায়িত করারও পরিকল্পনার কথা জানালেন মৎস্য মন্ত্রী।
-বাবু ইসলাম, সিরাজগঞ্জ
বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হবার পর উজানে এবং ভাটিতে অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। বিগত দশ বছরে এসব চরে বসতিও গড়েছে মানুষ। আবাদও হয়। পুরাতন চরও আছে। কিন্তু এসব চরে কখনও রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। যদিও বা টিআর কিংবা কাবিখা প্রকল্পে ছোট ছোট কিছু রাস্তা তৈরি হতো, তা পরবর্তী বর্ষায় পানির স্রোতে ভেঙ্গে যেত। চরের মানুষের চলাচল ছিল অনেক কষ্টকর। উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করা, রোগী পরিবহন, নিত্যদিনের বাজারসহ এ পাড়া থেকে ও পাড়ায় যাতায়াত ছিল অনেকটা দুরূহ। এ কারণেই বলা হয় যমুনার দুর্গম চর। এই দুর্গম চরের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে দিয়েছে ২১ কি.মি. দীর্ঘ একটি সড়ক।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য ছেলেমেয়ে স্কুল-মাদ্রাসায় যায়। স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে দেখা হলো বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনী বাড়ি খেয়াঘাটে। ওরা দল বেঁধে যাচ্ছে নদীর পশ্চিমপারে রান্ধুনী বাড়ি স্কুল ও মাদ্রাসায়। ওদের মনে খুবই আনন্দ। মাত্র দু’বছর আগেও ওরা স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে যাতায়াতে নানা প্রতিকুল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। এখন এই সড়কটি নির্মিত হবার পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। শাহিদা, সাজেদা, হাবীব,সফিকুল ওরা সবাই বলেছে এখন আর কাঁদা পানি বা উত্তপ্ত বালি মাটিতে এক পায়ের রাস্তায যেতে হয়না। ১২ ফুট চওড়া উঁচু রাস্তায় হেসে খেলে আনন্দ স্ফুর্তিতে যাতায়াত করছি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের বড়শিমুল চরের বাসিন্দা আব্দুল হালিম বললেন বালিয়াড়ির এই চরে এত বড় উঁচু রাস্তা হবে তা কখনও চিন্তাই করিনি। আগে অনেক কষ্টে মানুষ চলাচল করেছে। বর্ষায় ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। আশ্রয়ের জায়গা ছিল না। এখন চলাচল সুবিধা হয়েছে। বর্ষায় মানুষজন গবাদিপশু নিয়ে উঁচু সড়কে আশ্রয় নিতে পারছে। এসব সুবিধা পেয়েছি মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসের বদৌলতে। বেলকুচি উপজেলার নাগফাটা চরের মুদি দোকানি ছাইদুল ইসলাম বললেন- এই সড়কটি নির্মাণের পর চরের মানুষের জীবন জীবিকার আবহ পাল্টে গেছে। এক সময় তাকেই সরু রাস্তায় কিংবা জমির আইল পথে বোঝা মাথায় নিয়ে চরাচল করতে হয়েছে। এখন সে সওদার বোঝা ভ্যান গাড়িতে চরাচর করছে। এমনকি রাতের বেলায় আপদে-বিপদে ভ্যানগাড়ি বা মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে। রোগী পরিবহন সহজ হয়েছে। বেলকুচি উপজেলার আজুগড়া থেকে বড়ধুল, বেলকুচি,রাজাপুর এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিযন হয়ে ২১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও বেলকুচি উপজেলা সদরের সঙ্গে চরের মানুষের সরাসরি সংযোগের জন্য ৭টি সংযোগ সড়কও নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। এজন্য মূল সড়ক নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং খাদ্য শস্য ব্যয় করা হয়েছে ৯শ’ ৩৪ মে. টন। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় করা হচ্ছে এক কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং ৬৪৩ মে.টন খাদ্য শস্য।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান মানব মুক্তি সংস্থার সহযোগিতায় এ প্রকল্প বাস্তবাযন করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী ও এলজিইডি। যমুনার দুর্গম চরে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এমপি জনকণ্ঠকে বলেছেন, চরাঞ্চল ও তৃণমূলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই চরের অবহেলিত মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে চরের এ রাস্তাটি পাকা করে বিদ্যুতায়িত করারও পরিকল্পনার কথা জানালেন মৎস্য মন্ত্রী।
-বাবু ইসলাম, সিরাজগঞ্জ
No comments