রাজধানীতে পানিসংকট কার দোষে? উত্তপ্ত ও তৃষ্ণার্ত মানুষ
বলা অতিশয়োক্তি হবে না যে ঢাকা ক্রমশ এক
পৌর বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। চারপাশে নদী নিয়েও ঢাকা পরিণত হতে যাচ্ছে
এক আধুনিক কারবালায়। ঢাকার মিরপুরে ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রয়োজনের অর্ধেক,
অন্যদিকে পুরান ঢাকা ও মোহাম্মদপুরের অবস্থাও ভালো নয়।
এর বাইরেও অনেক এলাকা থেকেই ওয়াসার পানি সরবরাহ নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিদ্যুৎসংকট ও পানির ঘাটতি তখনই বাড়ছে, যখন চাহিদা থাকে সর্বোচ্চ। দাবদাহের মধ্যে পশলা বৃষ্টি আর ওয়াসার পানি দুটোই নগরবাসীর তৃষ্ণা মেটাতে ব্যর্থ। সামনে আসছে রোজা। অথচ ওয়াসার পানির মূল্য বারেবারে বাড়লেও সেবার মান বাড়ার লক্ষণ নেই। রাজধানীতে প্রতিদিন পানির চাহিদা ২২৫ কোটি লিটার। এর মধ্যে মিরপুরেই দরকার হয় ৪০ কোটি লিটার। অথচ সেখানে ২০ কোটি লিটারের বেশি পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট এলাকার গভীর নলকূপগুলোর বেশ কয়েকটা নষ্ট হওয়া এবং অনেকগুলোর উত্তোলন-ক্ষমতা কমে যাওয়ার কথা বলেছে। বিদ্যুৎ ঘাটতির জন্যও পানি উত্তোলন ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে, জরুরি প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ পানি সরবরাহ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। পানি ছাড়া যেখানে এক মুহূর্তও চলে না, সেখানে এ অবস্থার শোচনীয় শিকার মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়ছে।
ওয়াসার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু প্রকল্প নেওয়া হলেও সেগুলো সুফল দিতে পারছে না। সায়েদাবাদের দ্বিতীয় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে পানি সরবরাহ বাড়লেও তা মিরপুর অঞ্চল পর্যন্ত আনার ব্যবস্থা নেই। এলাকাটির সরু পাইপ, দুর্বল অবকাঠামো ও অব্যবস্থাপনারও দায় কম নয়। ঢাকার পানি সরবরাহব্যবস্থাকেই ঢেলে সাজাতে হবে, তার আগে আশু ব্যবস্থা হিসেবে মিরপুরসহ পানিদুর্গত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ. পাম্প ও জেনারেটর সচল রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
কয়েক বছর আগে পানির দাবিতে শনির আখড়ায় বিরাট গণ-অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল, স্থানীয় সাংসদকে জনরোষে পালাতেও হয়েছিল। তা ছাড়া প্রতিবছরই বছরের এই সময়ে ঢাকাবাসীকে পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাসের জন্য রাস্তায় নামতে হয়। রোজার আগেই পরিস্থিতি সহনীয় মাত্রায় আনতে হবে। সংকটটা তো নতুন নয়, তাহলে সমাধান হচ্ছে না কেন?
বিদ্যুৎসংকট ও পানির ঘাটতি তখনই বাড়ছে, যখন চাহিদা থাকে সর্বোচ্চ। দাবদাহের মধ্যে পশলা বৃষ্টি আর ওয়াসার পানি দুটোই নগরবাসীর তৃষ্ণা মেটাতে ব্যর্থ। সামনে আসছে রোজা। অথচ ওয়াসার পানির মূল্য বারেবারে বাড়লেও সেবার মান বাড়ার লক্ষণ নেই। রাজধানীতে প্রতিদিন পানির চাহিদা ২২৫ কোটি লিটার। এর মধ্যে মিরপুরেই দরকার হয় ৪০ কোটি লিটার। অথচ সেখানে ২০ কোটি লিটারের বেশি পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট এলাকার গভীর নলকূপগুলোর বেশ কয়েকটা নষ্ট হওয়া এবং অনেকগুলোর উত্তোলন-ক্ষমতা কমে যাওয়ার কথা বলেছে। বিদ্যুৎ ঘাটতির জন্যও পানি উত্তোলন ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে, জরুরি প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ পানি সরবরাহ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। পানি ছাড়া যেখানে এক মুহূর্তও চলে না, সেখানে এ অবস্থার শোচনীয় শিকার মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়ছে।
ওয়াসার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু প্রকল্প নেওয়া হলেও সেগুলো সুফল দিতে পারছে না। সায়েদাবাদের দ্বিতীয় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে পানি সরবরাহ বাড়লেও তা মিরপুর অঞ্চল পর্যন্ত আনার ব্যবস্থা নেই। এলাকাটির সরু পাইপ, দুর্বল অবকাঠামো ও অব্যবস্থাপনারও দায় কম নয়। ঢাকার পানি সরবরাহব্যবস্থাকেই ঢেলে সাজাতে হবে, তার আগে আশু ব্যবস্থা হিসেবে মিরপুরসহ পানিদুর্গত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ. পাম্প ও জেনারেটর সচল রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
কয়েক বছর আগে পানির দাবিতে শনির আখড়ায় বিরাট গণ-অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল, স্থানীয় সাংসদকে জনরোষে পালাতেও হয়েছিল। তা ছাড়া প্রতিবছরই বছরের এই সময়ে ঢাকাবাসীকে পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাসের জন্য রাস্তায় নামতে হয়। রোজার আগেই পরিস্থিতি সহনীয় মাত্রায় আনতে হবে। সংকটটা তো নতুন নয়, তাহলে সমাধান হচ্ছে না কেন?
No comments