আত্মবিশ্বাসী বিএনপির নজর এখন গাজীপুরে by মোশাররফ বাবলু
চার সিটি নির্বাচনে বিজয়ের পর বিএনপির নজর
এবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দিকে। গাজীপুরের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী
জয়ী হলে ভবিষ্যতে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তা বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে
বলেই দলীয় নেতাদের বিশ্বাস।
এ কারণে বিএনপি নেতৃত্বাধীন
১৮ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা
পরিষদের সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নানকে বিজয়ী করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে
দলটি।
লক্ষ্য অর্জনে আটঘাট বেঁধেই শুরু হয়েছে বিএনপির নির্বাচনী তৎপরতা। শিগগিরই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নামবেন। দলটির নেতারা মনে করেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এবার গাজীপুর সিটি নির্বাচনেও জোটের সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী বিজয়ী হবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় সূত্র এ তথ্য জানায়।
৬ জুলাই গাজীপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে আছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। ১৯৯১-৯৬ সালে বিএনপি সরকার আমলে আব্দুল মান্নান প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে গাজীপুর জেলা বিএনপি নেতাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ অবস্থায় মেয়র পদপ্রার্থী চূড়ান্ত করতে সম্প্রতি গাজীপুর নেতাদের গুলশান কার্যালয়ে ডেকে পাঠান দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এসব নেতাকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদুল বাবুল, কেন্দ্রীয় সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আব্দুল মান্নানকে মেয়র পদপ্রার্থী চূড়ান্ত করে চেয়ারপারসন বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাসান উদ্দিন সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে হাসান উদ্দিন সরকার মেয়র পদে প্রার্থিতা থেকে সরে যান এবং মান্নানের পক্ষে কাজ করবেন বলে ঘোষণা দেন। এর পর থেকেই নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরোধ কমে আসে। এ অবস্থায় বিএনপি নেতারা বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির জয় অনিবার্য।
খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহকে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের জন্য একটি নির্বাচনী টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের সব সদস্য সমন্বয়ক হান্নান শাহর সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছেন। চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে ২৪ জুন ঢাকায় ফিরে আসার পর চেয়ারপারসন নিজেই গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের নির্দেশনা দেবেন বলে সূত্র জানায়।
এদিকে সমন্বয়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর হান্নান শাহ দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ গাজীপুর জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন। বৈঠকে গাজীপুর নির্বাচনে জয়লাভের কৌশল এবং নির্বাচনী প্রচার জোরদার করা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ের পর বিএনপির জনসমর্থন আরো বেড়ে গেছে। দলের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে গাজীপুরেও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন।
১৮ দল সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জনগণের ব্যাপক সমর্থন আছে। বিএনপির মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে মিলেমিশে সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব।'
লক্ষ্য অর্জনে আটঘাট বেঁধেই শুরু হয়েছে বিএনপির নির্বাচনী তৎপরতা। শিগগিরই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নামবেন। দলটির নেতারা মনে করেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এবার গাজীপুর সিটি নির্বাচনেও জোটের সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী বিজয়ী হবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় সূত্র এ তথ্য জানায়।
৬ জুলাই গাজীপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে আছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। ১৯৯১-৯৬ সালে বিএনপি সরকার আমলে আব্দুল মান্নান প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে গাজীপুর জেলা বিএনপি নেতাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ অবস্থায় মেয়র পদপ্রার্থী চূড়ান্ত করতে সম্প্রতি গাজীপুর নেতাদের গুলশান কার্যালয়ে ডেকে পাঠান দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এসব নেতাকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদুল বাবুল, কেন্দ্রীয় সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আব্দুল মান্নানকে মেয়র পদপ্রার্থী চূড়ান্ত করে চেয়ারপারসন বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাসান উদ্দিন সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে হাসান উদ্দিন সরকার মেয়র পদে প্রার্থিতা থেকে সরে যান এবং মান্নানের পক্ষে কাজ করবেন বলে ঘোষণা দেন। এর পর থেকেই নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরোধ কমে আসে। এ অবস্থায় বিএনপি নেতারা বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির জয় অনিবার্য।
খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহকে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের জন্য একটি নির্বাচনী টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের সব সদস্য সমন্বয়ক হান্নান শাহর সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছেন। চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে ২৪ জুন ঢাকায় ফিরে আসার পর চেয়ারপারসন নিজেই গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের নির্দেশনা দেবেন বলে সূত্র জানায়।
এদিকে সমন্বয়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর হান্নান শাহ দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ গাজীপুর জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন। বৈঠকে গাজীপুর নির্বাচনে জয়লাভের কৌশল এবং নির্বাচনী প্রচার জোরদার করা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ের পর বিএনপির জনসমর্থন আরো বেড়ে গেছে। দলের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে গাজীপুরেও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন।
১৮ দল সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জনগণের ব্যাপক সমর্থন আছে। বিএনপির মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে মিলেমিশে সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব।'
No comments