ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের উদ্যোগ গুরুতর অপরাধেও আপস করার বিধান আসছে by কামরুল হাসান
চাঁদা আদায়, মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি,
চুরি, ব্যাংক জালিয়াতি, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে বা
অবহেলাজনিত মৃত্যু, হত্যার উদ্দেশ্যে জখম করার মতো গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে
প্রচলিত আদালতের বাইরেও আপস-মীমাংসা করা যাবে।
এ জন্য
জেলায় জেলায় ‘মধ্যস্থতাকারী’ নিয়োগ দেবে সরকার। মধ্যস্থতাকারীর সিদ্ধান্ত
মেনে নিলে কোনো আদালতেই আর আপিল করা যাবে না। এ ছাড়া সব মামলার তদন্ত ১৫০
দিনের মধ্যেই শেষ করতে হবে।
ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে এসব বিষয় যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যদিও বিদ্যমান আইনে সাধারণ অপরাধ আপস-মীমাংসা করার বিধান আছে। ১৮৯৮ সালে প্রণীত এ আইনটির সংশোধনী বিলের খসড়ার ব্যাপারে মতামত সংগ্রহে আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠক ডেকেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব ছাড়াও আইন প্রয়োগের সঙ্গে যুক্ত মন্ত্রণালয়, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন বাহিনী, মানবাধিকার সংগঠন ও আইনজীবীদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এটা ঠিক না যে সাধারণ মানুষ এর সুফল পাবে না। এখানে যা হবে তা সবার মতামতের ভিত্তিতেই হবে। তা ছাড়া মধ্যস্থতাকারী দুই পক্ষের কথা শুনেই কাজ করবেন। দুই পক্ষ রাজি না হলে মীমাংসা হবে না। তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে সব কাজ গুছিয়ে ফেলেছে। এখন সবার মতামত পেলেই বিল আকারে এটি সংসদে উত্থাপন করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিলের যে খসড়া পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে, ফৌজদারি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ও মামলার জট কমাতে এ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধনীতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রচলিত আইনে মামলা নিষ্পত্তি করার যে বিধান আছে, তার তালিকা আরও বাড়ানো হয়েছে।
জানতে চাইলে বিশিষ্ট আইনবিদ শাহদীন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে যেসব ধারায় আপসের বিধান আছে, তারই কোনো কার্যকারিতা নেই। তাহলে এ তালিকা বাড়ানোর দরকার কী? তিনি বলেন, সোয়া শ বছর ধরে মানুষ যে আইনে অভ্যস্ত, তা হঠাৎ করে পরিবর্তন করলে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হবে।
যেসব অপরাধ মীমাংসা করা যাবে: ২৪৩(এ) ধারায় প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১০ বছরের কম সাজা হতে পারে, এমন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এ আইনের অধীনে আপস-মীমাংসার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানাতে পারবেন। আদালত বিষয়টি আপস-মীমাংসার জন্য বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষে নোটিশ করবেন। এর জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হবে। তাঁরা যদি ক্ষতিপূরণ দিয়ে বা মামলার খরচ দিয়ে মীমাংসা করতে রাজি হন, তাহলে আদালত শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করে দেবেন। খসড়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪৫ ধারা অনুসারে মারাত্মক নয়, এমন অপরাধ দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করার বিধান আছে। ওই আইনে সাজা কম হতে পারে এমন ৬৪টি ধারার কথা উল্লেখ করা আছে। কিন্তু খসড়ায় নতুন করে ফৌজদারি আইনের আরও ২০টি ধারা এবং অন্য সাতটি আইনের বিভিন্ন ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
যেসব অপরাধে আপস-মীমাংসা করা যাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো হলো: বেআইনি সমাবেশ, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দুর্ঘটনায় মৃত্যু, অবহেলাজনিত মৃত্যু, হত্যাচেষ্টা, মারধর, মারাত্মক জখম করা, অপরাধজনক বল প্রয়োগ করা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মালামালসহ ডাকাত গ্রেপ্তার, চাঁদাবাজি, ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি, হত্যার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি, চাঁদার জন্য নির্যাতন, অবৈধ গৃহপ্রবেশ, সিঁধ কেটে চুরি করা, ব্যাংক প্রতারণা, ব্যাংকে অসদাচরণ করা, ব্যাংকে জালিয়াতি করা ও মাতলামি করা।
এ ছাড়া ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকায় চেক ফেরত আসা (চেক ডিজঅনার), ১৯১০ সালে প্রণীত বিদ্যুৎ আইন ও ১৯২৭ সালে প্রণীত বন আইনে দায়ের করা সব ধরনের মামলা, মুসলিম পারিবারিক আইনে দেনমোহর আদায়-সংক্রান্ত মামলা, যৌতুক দাবি ও যৌতুকের জন্য নির্যাতন-সংক্রান্ত মামলা আপস করা যাবে।
১৫০ দিনে তদন্ত শেষ: খসড়ায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধের সব মামলার তদন্ত ৬০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। যদি এ সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব না হয়, তাহলে আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় আরও ৩০ দিন বাড়ানো যাবে। আর যদি তদন্তের ক্ষেত্রে তদন্তকারী বদল হন, তাহলেও তিনি আরও ৬০ দিন সময় পাবেন। এতে করে একটি মামলা তদন্তের জন্য সর্বমোট সময় পাওয়া যাবে ১৫০ দিন।
খসড়ায় বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেন, ফৌজদারি আইনে কিছু মামলার তদন্ত শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া আছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে সেটা করা হলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল মামলা সময় দিয়ে শেষ করা সম্ভব হয় না।
আরও কিছু সংশোধনী: ফৌজদারি আইনে আরও যেসব উল্লেখযোগ্য সংশোধনী আনা হয়েছে, সেগুলো হলো: ৫০-এ ধারায় বলা হয়েছে, কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে সে খবর তাঁর আত্মীয়স্বজন বা গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির পছন্দের লোককে জানাতে হবে।
১৭১ ধারার সংশোধনীতে বলা হয়েছে, এ আইনে মামলায় ফরিয়াদি বা সাক্ষীকে আদালতে হাজির করার ব্যবস্থা করবে পুলিশ। তারা তা করতে ব্যর্থ হলে সেটা দায়িত্ব অবহেলা বলে ধরা হবে। এ জন্য আদালত সেই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবেন। ধারা ২৪১-এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, বিচারিক হাকিমের আদালতে থানায় করা (জিআর) যেসব মামলার বিচার হয়, তা রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি পরিচালনা করবেন। এতে করে মামলার সব নথিও রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির হাতে চলে যাবে। বর্তমানে নিম্ন আদালতে এ ধরনের সব মামলার নথি পুলিশ সংরক্ষণ ও পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে আইজির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, খসড়ার কিছু বিষয় নিয়ে পুলিশের ভিন্নমত আছে। আজকের বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে এসব তুলে ধরা হবে।
ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে এসব বিষয় যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যদিও বিদ্যমান আইনে সাধারণ অপরাধ আপস-মীমাংসা করার বিধান আছে। ১৮৯৮ সালে প্রণীত এ আইনটির সংশোধনী বিলের খসড়ার ব্যাপারে মতামত সংগ্রহে আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠক ডেকেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব ছাড়াও আইন প্রয়োগের সঙ্গে যুক্ত মন্ত্রণালয়, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন বাহিনী, মানবাধিকার সংগঠন ও আইনজীবীদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এটা ঠিক না যে সাধারণ মানুষ এর সুফল পাবে না। এখানে যা হবে তা সবার মতামতের ভিত্তিতেই হবে। তা ছাড়া মধ্যস্থতাকারী দুই পক্ষের কথা শুনেই কাজ করবেন। দুই পক্ষ রাজি না হলে মীমাংসা হবে না। তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে সব কাজ গুছিয়ে ফেলেছে। এখন সবার মতামত পেলেই বিল আকারে এটি সংসদে উত্থাপন করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিলের যে খসড়া পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে, ফৌজদারি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ও মামলার জট কমাতে এ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধনীতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রচলিত আইনে মামলা নিষ্পত্তি করার যে বিধান আছে, তার তালিকা আরও বাড়ানো হয়েছে।
জানতে চাইলে বিশিষ্ট আইনবিদ শাহদীন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে যেসব ধারায় আপসের বিধান আছে, তারই কোনো কার্যকারিতা নেই। তাহলে এ তালিকা বাড়ানোর দরকার কী? তিনি বলেন, সোয়া শ বছর ধরে মানুষ যে আইনে অভ্যস্ত, তা হঠাৎ করে পরিবর্তন করলে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হবে।
যেসব অপরাধ মীমাংসা করা যাবে: ২৪৩(এ) ধারায় প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১০ বছরের কম সাজা হতে পারে, এমন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এ আইনের অধীনে আপস-মীমাংসার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানাতে পারবেন। আদালত বিষয়টি আপস-মীমাংসার জন্য বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষে নোটিশ করবেন। এর জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হবে। তাঁরা যদি ক্ষতিপূরণ দিয়ে বা মামলার খরচ দিয়ে মীমাংসা করতে রাজি হন, তাহলে আদালত শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করে দেবেন। খসড়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪৫ ধারা অনুসারে মারাত্মক নয়, এমন অপরাধ দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করার বিধান আছে। ওই আইনে সাজা কম হতে পারে এমন ৬৪টি ধারার কথা উল্লেখ করা আছে। কিন্তু খসড়ায় নতুন করে ফৌজদারি আইনের আরও ২০টি ধারা এবং অন্য সাতটি আইনের বিভিন্ন ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
যেসব অপরাধে আপস-মীমাংসা করা যাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো হলো: বেআইনি সমাবেশ, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দুর্ঘটনায় মৃত্যু, অবহেলাজনিত মৃত্যু, হত্যাচেষ্টা, মারধর, মারাত্মক জখম করা, অপরাধজনক বল প্রয়োগ করা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মালামালসহ ডাকাত গ্রেপ্তার, চাঁদাবাজি, ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি, হত্যার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি, চাঁদার জন্য নির্যাতন, অবৈধ গৃহপ্রবেশ, সিঁধ কেটে চুরি করা, ব্যাংক প্রতারণা, ব্যাংকে অসদাচরণ করা, ব্যাংকে জালিয়াতি করা ও মাতলামি করা।
এ ছাড়া ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকায় চেক ফেরত আসা (চেক ডিজঅনার), ১৯১০ সালে প্রণীত বিদ্যুৎ আইন ও ১৯২৭ সালে প্রণীত বন আইনে দায়ের করা সব ধরনের মামলা, মুসলিম পারিবারিক আইনে দেনমোহর আদায়-সংক্রান্ত মামলা, যৌতুক দাবি ও যৌতুকের জন্য নির্যাতন-সংক্রান্ত মামলা আপস করা যাবে।
১৫০ দিনে তদন্ত শেষ: খসড়ায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধের সব মামলার তদন্ত ৬০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। যদি এ সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব না হয়, তাহলে আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় আরও ৩০ দিন বাড়ানো যাবে। আর যদি তদন্তের ক্ষেত্রে তদন্তকারী বদল হন, তাহলেও তিনি আরও ৬০ দিন সময় পাবেন। এতে করে একটি মামলা তদন্তের জন্য সর্বমোট সময় পাওয়া যাবে ১৫০ দিন।
খসড়ায় বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেন, ফৌজদারি আইনে কিছু মামলার তদন্ত শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া আছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে সেটা করা হলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল মামলা সময় দিয়ে শেষ করা সম্ভব হয় না।
আরও কিছু সংশোধনী: ফৌজদারি আইনে আরও যেসব উল্লেখযোগ্য সংশোধনী আনা হয়েছে, সেগুলো হলো: ৫০-এ ধারায় বলা হয়েছে, কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে সে খবর তাঁর আত্মীয়স্বজন বা গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির পছন্দের লোককে জানাতে হবে।
১৭১ ধারার সংশোধনীতে বলা হয়েছে, এ আইনে মামলায় ফরিয়াদি বা সাক্ষীকে আদালতে হাজির করার ব্যবস্থা করবে পুলিশ। তারা তা করতে ব্যর্থ হলে সেটা দায়িত্ব অবহেলা বলে ধরা হবে। এ জন্য আদালত সেই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবেন। ধারা ২৪১-এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, বিচারিক হাকিমের আদালতে থানায় করা (জিআর) যেসব মামলার বিচার হয়, তা রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি পরিচালনা করবেন। এতে করে মামলার সব নথিও রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির হাতে চলে যাবে। বর্তমানে নিম্ন আদালতে এ ধরনের সব মামলার নথি পুলিশ সংরক্ষণ ও পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে আইজির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, খসড়ার কিছু বিষয় নিয়ে পুলিশের ভিন্নমত আছে। আজকের বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে এসব তুলে ধরা হবে।
No comments