বিরোধী নেতাকে প্রধানমন্ত্রী-তত্ত্বাবধায়ক এলে আপনি জেলে যাবেন আমিও যাব
বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ
সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ব্যবস্থা যদি আসে আপনিও জেলে যাবেন এবং আমিও যাব।'
গতকাল
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা আরো বলেন,
'বর্তমান সরকার সবকটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলার
মাটিতে জাতীয়
নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। শুধু তত্ত্বাবধায়ক, তত্ত্বাবধায়ক করেন কেন?'
২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে দুদিন আগেই গতকাল শুক্রবার এ আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অনুপস্থিত ছিলেন। মহাজোটের অন্যতম শরিক এরশাদের জাতীয় পার্টির কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। সভায় কয়েকজন বক্তা কর্মীদের চাওয়া-পাওয়ার হিসাব ভুলে ভবিষ্যতে দলকে জয়ী করতে কাজ করার অনুরোধ জানান।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইতিহাস বিরোধীদলীয় নেতাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে উনাকেও (খালেদা) গ্রেপ্তার করেছিল। উনার ছেলেকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে দেশের বাইরে বের করে দিয়েছিল। এগুলো কি ভুলে গেছেন?'
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস উল্লেখ করে বলেন, জনগণ জানে সময়মতো কাকে ভোট দিতে হবে। তিনি সবাইকে অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এবং দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীরা যেন আর দেশের ক্ষমতায় আসতে না পারে, তা নিয়ে কাজ করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। বিএনপি জোটের আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেলখানায় (১/১১ সময়কালে) পাশাপাশি ছিলাম। অনেক কিছুই দেখেছি। যার সকাল হয় দুপুর ১২টায়। উনি আস্তিক। আমরা ফজরের নামাজ পড়ে, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে দিন শুরু করি- আমরা নাস্তিক। এটা কোন ধরনের খেলা। এই মিথ্যাচারের বিচারের ভার দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দিলাম।
হেফাজতের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা গুজব ছড়াচ্ছে ২৫০০ মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তাহলে তো এক লাখ আহত হওয়ার কথা। নিহতদের পরিবার কোথায়, আহতরাই বা কোথায়। গত ৫ মে হেফাজতের কর্মীদের তাণ্ডবের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, 'একজন মুসলমান কিভাবে কোরআন পোড়ায়, মসজিদে আগুন দেয়। পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও এত কোরআন একসঙ্গে পোড়ানো হয়নি। তাদের নিকট ধর্ম হেফাজত থাকতে পারে না। আমি দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলি্লদের নিকট এর বিচার দিলাম। এর জবাব বিএনপিকে দিতে হবে।' সে দিনের ক্ষতিগ্রস্তদের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিনের তাণ্ডবে জামায়াত-শিবিরের লোকজন জড়িত ছিল।
সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চলছে উল্লেখ শেখ হাসিনা বলেন, হাইতিতে ভূমিকম্পে মারা যাওয়ার ছবি, আমেরিকার সুইসাইডের ছবি ও কাবার গিলাফ পরিবর্তনের ছবি দিয়ে অপপ্রচার করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় একটি মহল। পবিত্র মক্কা শরিফ নিয়ে তামাশা করতেও এদের লজ্জা লাগে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুর এলাকার এক ইমাম আরো কয়েকজন ইমামকে নিয়ে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ করেছে। এ সময় তিনি তার পরিবারের বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে বলেন, এসব মিথ্যাচারের বিচার জনগণ করবে। বিরোধীদলীয় নেতার পরিবারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'শিলিগুড়ির চা বাগানে যার জন্ম তিনি কি না আমার পরিবার নিয়ে কথা বলেন।' বিরোধীদলীয় নেতা ভাঙা সুটকেস থেকে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, উনার ছেলেরা ১৫টা ইন্ডাস্ট্রির মালিক। ক্ষমতায় থেকে জনগণের টাকা লুট করে তারা সম্পদের পাহাড় গড়েছে। আমরা ক্ষমতায় থাকলে জনগণের মুখে ভাত তুলে দেই। আর তারা জনগণের মুখের খাবার কেড়ে নেয়।
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাওলানা গোলাম মাওলা নঙ্বন্দি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মলি্লক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের মাহবুবউল আলম হানিফ, এম এ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আবদুল মতিন খসরু, সিমিন হোসেন রিমি, এ কে এম রহমত উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। শুধু তত্ত্বাবধায়ক, তত্ত্বাবধায়ক করেন কেন?'
২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে দুদিন আগেই গতকাল শুক্রবার এ আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অনুপস্থিত ছিলেন। মহাজোটের অন্যতম শরিক এরশাদের জাতীয় পার্টির কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। সভায় কয়েকজন বক্তা কর্মীদের চাওয়া-পাওয়ার হিসাব ভুলে ভবিষ্যতে দলকে জয়ী করতে কাজ করার অনুরোধ জানান।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইতিহাস বিরোধীদলীয় নেতাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে উনাকেও (খালেদা) গ্রেপ্তার করেছিল। উনার ছেলেকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে দেশের বাইরে বের করে দিয়েছিল। এগুলো কি ভুলে গেছেন?'
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস উল্লেখ করে বলেন, জনগণ জানে সময়মতো কাকে ভোট দিতে হবে। তিনি সবাইকে অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এবং দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীরা যেন আর দেশের ক্ষমতায় আসতে না পারে, তা নিয়ে কাজ করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। বিএনপি জোটের আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেলখানায় (১/১১ সময়কালে) পাশাপাশি ছিলাম। অনেক কিছুই দেখেছি। যার সকাল হয় দুপুর ১২টায়। উনি আস্তিক। আমরা ফজরের নামাজ পড়ে, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে দিন শুরু করি- আমরা নাস্তিক। এটা কোন ধরনের খেলা। এই মিথ্যাচারের বিচারের ভার দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দিলাম।
হেফাজতের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা গুজব ছড়াচ্ছে ২৫০০ মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তাহলে তো এক লাখ আহত হওয়ার কথা। নিহতদের পরিবার কোথায়, আহতরাই বা কোথায়। গত ৫ মে হেফাজতের কর্মীদের তাণ্ডবের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, 'একজন মুসলমান কিভাবে কোরআন পোড়ায়, মসজিদে আগুন দেয়। পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও এত কোরআন একসঙ্গে পোড়ানো হয়নি। তাদের নিকট ধর্ম হেফাজত থাকতে পারে না। আমি দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলি্লদের নিকট এর বিচার দিলাম। এর জবাব বিএনপিকে দিতে হবে।' সে দিনের ক্ষতিগ্রস্তদের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিনের তাণ্ডবে জামায়াত-শিবিরের লোকজন জড়িত ছিল।
সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চলছে উল্লেখ শেখ হাসিনা বলেন, হাইতিতে ভূমিকম্পে মারা যাওয়ার ছবি, আমেরিকার সুইসাইডের ছবি ও কাবার গিলাফ পরিবর্তনের ছবি দিয়ে অপপ্রচার করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় একটি মহল। পবিত্র মক্কা শরিফ নিয়ে তামাশা করতেও এদের লজ্জা লাগে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুর এলাকার এক ইমাম আরো কয়েকজন ইমামকে নিয়ে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ করেছে। এ সময় তিনি তার পরিবারের বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে বলেন, এসব মিথ্যাচারের বিচার জনগণ করবে। বিরোধীদলীয় নেতার পরিবারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'শিলিগুড়ির চা বাগানে যার জন্ম তিনি কি না আমার পরিবার নিয়ে কথা বলেন।' বিরোধীদলীয় নেতা ভাঙা সুটকেস থেকে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, উনার ছেলেরা ১৫টা ইন্ডাস্ট্রির মালিক। ক্ষমতায় থেকে জনগণের টাকা লুট করে তারা সম্পদের পাহাড় গড়েছে। আমরা ক্ষমতায় থাকলে জনগণের মুখে ভাত তুলে দেই। আর তারা জনগণের মুখের খাবার কেড়ে নেয়।
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাওলানা গোলাম মাওলা নঙ্বন্দি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মলি্লক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের মাহবুবউল আলম হানিফ, এম এ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আবদুল মতিন খসরু, সিমিন হোসেন রিমি, এ কে এম রহমত উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
No comments