দোহায় তালেবান কার্যালয় বিতর্ক-আফগান শান্তি আলোচনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে
তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বা
আফগানিস্তান সরকারের শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়াটি ঘোলাটে হয়ে উঠেছে। শুরুতে
তালেবানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিলেও এখন আফগান সরকারকে না নিয়ে
কোনো সংলাপে যেতে চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র।
আফগান
প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই তালেবান কার্যালয়ের নাম ও এর মর্যাদা নিয়ে
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অন্যদিকে তালেবান নেতারা দোহার কার্যালয়
থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় সম্মত হলেও কারজাই সরকারের সঙ্গে বসার
সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়েছে। শান্তি আলোচনাকে স্বাগত জানালেও সব মার্কিন
সেনা আফগানিস্তান ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত সহিংসতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার
করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে শান্তি আলোচনা শুরু ও এর ফলপ্রসূতা নিয়েই
অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দোহায় একটি কার্যালয় উদ্বোধন করে তালেবান। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ওই দিনই তালেবানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের আগেই তালেবানের সঙ্গে সমঝোতার লক্ষ্যে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব গ্রহণ করলেও আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা বাতিল করে দেয় তালেবান সদস্যরা। এদিকে আফগান কর্তৃপক্ষকে বাদ দিয়ে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা শুরুর বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান কারজাই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০১৪ সালের পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা উপস্থিতি সংক্রান্ত আলোচনা স্থগিত করা হয়। তবে কারজাইকে ফোন করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি আশ্বস্ত করেন, আফগান কর্তৃপক্ষকে বাদ দিয়ে তালেবানের সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাবে না যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার দোহায় তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করে হোয়াইট হাউস।
এদিকে দোহায় তালেবান কার্যালয়ের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন পাকিস্তানের দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকাকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরুর জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি দল গঠন করেছেন তালেবান নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর। মার্কিন কর্মকর্তাদের পরামর্শেই এই দল গঠন করা হয়েছে। শীর্ষ পর্যায়ের ছয় নেতাসহ প্রায় ৩০ জন তালেবান সদস্য এখন দোহায় আছেন বলেও জানান তিনি।
তবে তালেবান সদস্যদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, সব মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত সহিংসতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে তারা। কান্দাহার থেকে মোল্লা এহসানুল্লাহ নামের এক তালেবান যোদ্ধা বলেন, 'দোহায় তালেবানের কার্যালয় হওয়ায় আমরা খুশি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদায় আলোচনা করতে চাই আমরা। যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করার লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি আমরা। এখন আফগানিস্তানকে আমরা দখলদারমুক্ত করতে চাই।' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক তালেবান যোদ্ধা জানান, শান্তি আলোচনা শুরু হলেও যোদ্ধাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসবে না। বোমা বিস্ফোরণ ও আত্মঘাতী হামলা চলতেই থাকবে।
এদিকে তালেবানকে শান্তি আলোচনায় রাজি করাতে মূল ভূমিকা পালন করলেও এখন আফগান সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইজাজ চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার বলেন, পাকিস্তান বারবার আফগান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ ও আলোচনাভিত্তিক সমাধানের আহবান জানাচ্ছে। এর সমর্থনেই তালেবানকে কার্যালয় খোলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে শান্তি অর্জনের জন্য তালেবানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট কারজাই সরকারের সার্বিক আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তান। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
গত মঙ্গলবার দোহায় একটি কার্যালয় উদ্বোধন করে তালেবান। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ওই দিনই তালেবানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের আগেই তালেবানের সঙ্গে সমঝোতার লক্ষ্যে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব গ্রহণ করলেও আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা বাতিল করে দেয় তালেবান সদস্যরা। এদিকে আফগান কর্তৃপক্ষকে বাদ দিয়ে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা শুরুর বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান কারজাই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০১৪ সালের পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা উপস্থিতি সংক্রান্ত আলোচনা স্থগিত করা হয়। তবে কারজাইকে ফোন করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি আশ্বস্ত করেন, আফগান কর্তৃপক্ষকে বাদ দিয়ে তালেবানের সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাবে না যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার দোহায় তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করে হোয়াইট হাউস।
এদিকে দোহায় তালেবান কার্যালয়ের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন পাকিস্তানের দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকাকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরুর জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি দল গঠন করেছেন তালেবান নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর। মার্কিন কর্মকর্তাদের পরামর্শেই এই দল গঠন করা হয়েছে। শীর্ষ পর্যায়ের ছয় নেতাসহ প্রায় ৩০ জন তালেবান সদস্য এখন দোহায় আছেন বলেও জানান তিনি।
তবে তালেবান সদস্যদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, সব মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত সহিংসতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে তারা। কান্দাহার থেকে মোল্লা এহসানুল্লাহ নামের এক তালেবান যোদ্ধা বলেন, 'দোহায় তালেবানের কার্যালয় হওয়ায় আমরা খুশি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদায় আলোচনা করতে চাই আমরা। যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করার লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি আমরা। এখন আফগানিস্তানকে আমরা দখলদারমুক্ত করতে চাই।' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক তালেবান যোদ্ধা জানান, শান্তি আলোচনা শুরু হলেও যোদ্ধাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসবে না। বোমা বিস্ফোরণ ও আত্মঘাতী হামলা চলতেই থাকবে।
এদিকে তালেবানকে শান্তি আলোচনায় রাজি করাতে মূল ভূমিকা পালন করলেও এখন আফগান সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইজাজ চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার বলেন, পাকিস্তান বারবার আফগান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ ও আলোচনাভিত্তিক সমাধানের আহবান জানাচ্ছে। এর সমর্থনেই তালেবানকে কার্যালয় খোলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে শান্তি অর্জনের জন্য তালেবানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট কারজাই সরকারের সার্বিক আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তান। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
No comments