কষ্টের ওপর কষ্ট! by রহমত উল্যাহ
কারো কারো জীবন বড় সুখকর হলেও কারো কারো
কাছে খুবই কষ্টের। অর্থবিত্তশালীদের কাছে কিছু কিছু সময় অত্যন্ত আনন্দের
হলেও নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে ওই সময়গুলো খুবই কষ্টের।
বিশেষ
করে রাত। আমাদের সমাজের একটি বড় শ্রমিক শ্রেণী। যেমন রিকশাওয়ালা। শহরে
ঘর-বাড়িহীন এসব মানুষ ঘুমান রাস্তায়। তবে বাধ্য হয়েই তাদের ঘুমাতে হয় নিজ
নিজ রিকশার মধ্যেই।
শহরের বাইরে থেকে আসা এসব ছিন্নমূল মানুষ পেটের দায়ে শহরে রিকশা চালান। রিকশায়ই তাদের বাস। সারাদিন রিকশা চালিয়ে গভীর রাতে কষ্ট করে রিকশার ওপরই শুয়ে পড়েন। মশার কামড় তো নিত্যদিনের। আবহাওয়ার তারতম্য হলে, বিশেষ করে বৃষ্টি হলে তো কোনো কথাই নেই। এ যেন কষ্টের ওপর আরেক কষ্ট।
রাজধানীতে ৪০-৫০ হাজার রিকশাচালক রয়েছেন, যারা রিকশায় ঘুমান। বাসা ভাড়া, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের মিল না থাকায় তাদের রাস্তায় থাকতে হয়।
শুক্রবার রাতভর রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, সারাদিন বৃষ্টির পর রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এতে এসব মানুষ যাত্রী বহনে ব্যবহৃত প্লাস্টিক দিয়ে কোনো মতে পা ঢেকে রাখার চেষ্টা করছেন। তবে বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চেষ্টাটুকুও ব্যহত হয়।
ফলে সারাদিনে পরিশ্রমের পর শান্তির ঘুমটুকুও ঘুমাতে পারছেন না তারা। যেন ভাগ্যও তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় নুর উদ্দিন নামে এক রিকশাচালক বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘বাড়ি টাঙ্গাইল। তিন বছর ধরে ঢাকায় রিকশা চালাই। সারা মাস রিকশা চালিয়ে যে টাকা আয় হয় তাতেও পরিবারের সদস্যদের ভরণ-পোষন করতে টানাপড়েনে পড়তে হয়।”
“ঢাকায় ছোট একটি বাসা ভাড়া নিলে তাতেও মাসে দু’ হাজার টাকা চলে যাবে। এতে পরিবারের সদস্যদের আরো কষ্ট করতে হবে। এজন্য বাসা ভাড়া না নিয়ে খুবই কষ্ট করে রিকশায়ই ঘুমাই। মশার যন্ত্রণা, গরম হলেও ঘুমানো যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলে ঘুমানো যায় না। কাল সারাদিন কষ্ট করে রিকশা চালাতে হবে।”
“যাদের অঢেল আছে, তাদের কষ্ট না দিয়ে বিধাতা শুধুই আমাদের কষ্ট দেন” বলেও তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
পলাশীর মোড় এলাকায় রিকশাচালক শরীফুল বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘কার কাছে কষ্টের কথা বলবো রে ভাই। বাড়ি ভোলা। দু’বছর ধরে ঢাকায়। রিকশা চালিয়ে আটজনের সংসার চালাতে হয়। তার ওপর মা-বাবার চিকিৎসার খরচ সব বহন করতে হয়।”
“ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া বেশি হওয়ায় কষ্ট করে রিকশায় রাত কাটাই। সারাদিন রিকশা চালালেও কষ্ট লাগে না, যদি রাতে ঘুমাতে পারি। বৃষ্টি হওয়ায় ঘুম হারাম হয়ে গেল”- বলেন তিনি।
কাওরানবাজার এলাকায় পঞ্চাশোর্ধ্ব রিকশাচালক সুলতান মিয়া জানান, ‘‘২০ বছর আগে পেটের দায়ে ঢাকা শহরে আসি। রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। রিকশা চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে অসুস্থ স্ত্রী ও আমার ওষুধের টাকাও হয় না। দু’ ছেলে মানুষ করার পর তারা আলাদা থাকে।”
“সারাদিন রিকশা চালিয়ে কষ্ট লাগে না, যদি একটু ঘুমাতে পারি। এতো বছর রিকশার ওপর ঘুমিয়ে এসেছি। বৃষ্টি হলে ঘুমাতে পারি না।”
তিনি জানান, ঢাকা নগরে তার মতো প্রায় ৪০-৫০ হাজার রিকশাচালক রয়েছেন, যারা রিকশায় ঘুমান। বাসা ভাড়া, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের মিল না থাকায় তাদের রাস্তায় থাকতে হয়। এসব ছিন্নমূল মানুষের জন্য কিছু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শহরের বাইরে থেকে আসা এসব ছিন্নমূল মানুষ পেটের দায়ে শহরে রিকশা চালান। রিকশায়ই তাদের বাস। সারাদিন রিকশা চালিয়ে গভীর রাতে কষ্ট করে রিকশার ওপরই শুয়ে পড়েন। মশার কামড় তো নিত্যদিনের। আবহাওয়ার তারতম্য হলে, বিশেষ করে বৃষ্টি হলে তো কোনো কথাই নেই। এ যেন কষ্টের ওপর আরেক কষ্ট।
রাজধানীতে ৪০-৫০ হাজার রিকশাচালক রয়েছেন, যারা রিকশায় ঘুমান। বাসা ভাড়া, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের মিল না থাকায় তাদের রাস্তায় থাকতে হয়।
শুক্রবার রাতভর রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, সারাদিন বৃষ্টির পর রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এতে এসব মানুষ যাত্রী বহনে ব্যবহৃত প্লাস্টিক দিয়ে কোনো মতে পা ঢেকে রাখার চেষ্টা করছেন। তবে বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চেষ্টাটুকুও ব্যহত হয়।
ফলে সারাদিনে পরিশ্রমের পর শান্তির ঘুমটুকুও ঘুমাতে পারছেন না তারা। যেন ভাগ্যও তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় নুর উদ্দিন নামে এক রিকশাচালক বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘বাড়ি টাঙ্গাইল। তিন বছর ধরে ঢাকায় রিকশা চালাই। সারা মাস রিকশা চালিয়ে যে টাকা আয় হয় তাতেও পরিবারের সদস্যদের ভরণ-পোষন করতে টানাপড়েনে পড়তে হয়।”
“ঢাকায় ছোট একটি বাসা ভাড়া নিলে তাতেও মাসে দু’ হাজার টাকা চলে যাবে। এতে পরিবারের সদস্যদের আরো কষ্ট করতে হবে। এজন্য বাসা ভাড়া না নিয়ে খুবই কষ্ট করে রিকশায়ই ঘুমাই। মশার যন্ত্রণা, গরম হলেও ঘুমানো যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলে ঘুমানো যায় না। কাল সারাদিন কষ্ট করে রিকশা চালাতে হবে।”
“যাদের অঢেল আছে, তাদের কষ্ট না দিয়ে বিধাতা শুধুই আমাদের কষ্ট দেন” বলেও তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
পলাশীর মোড় এলাকায় রিকশাচালক শরীফুল বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘কার কাছে কষ্টের কথা বলবো রে ভাই। বাড়ি ভোলা। দু’বছর ধরে ঢাকায়। রিকশা চালিয়ে আটজনের সংসার চালাতে হয়। তার ওপর মা-বাবার চিকিৎসার খরচ সব বহন করতে হয়।”
“ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া বেশি হওয়ায় কষ্ট করে রিকশায় রাত কাটাই। সারাদিন রিকশা চালালেও কষ্ট লাগে না, যদি রাতে ঘুমাতে পারি। বৃষ্টি হওয়ায় ঘুম হারাম হয়ে গেল”- বলেন তিনি।
কাওরানবাজার এলাকায় পঞ্চাশোর্ধ্ব রিকশাচালক সুলতান মিয়া জানান, ‘‘২০ বছর আগে পেটের দায়ে ঢাকা শহরে আসি। রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। রিকশা চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে অসুস্থ স্ত্রী ও আমার ওষুধের টাকাও হয় না। দু’ ছেলে মানুষ করার পর তারা আলাদা থাকে।”
“সারাদিন রিকশা চালিয়ে কষ্ট লাগে না, যদি একটু ঘুমাতে পারি। এতো বছর রিকশার ওপর ঘুমিয়ে এসেছি। বৃষ্টি হলে ঘুমাতে পারি না।”
তিনি জানান, ঢাকা নগরে তার মতো প্রায় ৪০-৫০ হাজার রিকশাচালক রয়েছেন, যারা রিকশায় ঘুমান। বাসা ভাড়া, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের মিল না থাকায় তাদের রাস্তায় থাকতে হয়। এসব ছিন্নমূল মানুষের জন্য কিছু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
No comments