নিজের জরিপেই নাজুক অবস্থা টের পেল আ. লীগ by পাভেল হায়দার চৌধুরী
এক বছর আগে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের এক
সভায় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই বলেছিলেন, দলের এমপিদের মধ্যে ৬০ জনের
অবস্থা বেশ খারাপ। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে ওই আসনগুলোতে দল ভালো ফল নাও
পেতে পারে।
এক বছরের ব্যবধানে সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়েছে।
বর্তমানে শতাধিক আসনে নাজুক অবস্থায় আছেন ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা। তাঁদের
কারণে আওয়ামী লীগের ওপরও বিরূপ হয়ে উঠছে এলাকাবাসী। দলের নির্ভরযোগ্য
সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর আস্থাভাজন একটি টিম দিয়ে এরই মধ্যে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে জরিপ করিয়েছেন। এর ফল এখন তাঁর হাতে। জরিপে দেখা গেছে, ১০০-এর বেশি আসনে আওয়ামী লীগ এমপিদের অবস্থা বেশ নাজুক। এ ছাড়া সাত বিভাগের দায়িত্বে থাকা দলীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরাও একই বিষয়ে দলের সভাপতির কাছে আলাদাভাবে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রতিবেদনেও একই চিত্র ফুটে উঠেছে। কোনো কোনো আসনে দলের অবস্থান ভালো হলেও এমপিদের কর্মকাণ্ডে আগামী নির্বাচনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব আসনের মধ্যে অন্যতম ঢাকা বিভাগের শরীয়তপুর-১ এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী-৩ আসন। শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি বি এম মোজাম্মেল এবং পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি গোলাম মাওলা রনি। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনির নামও আছে ঝুঁকির তালিকায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এলাকার জনগণের সঙ্গে করা অঙ্গীকার রক্ষা না করা, দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব, দলে কোন্দল জিইয়ে রাখা, এলাকায় নিয়মিত না যাওয়া এবং দুর্নীতি ও দখলদারির কারণে দলের পাশাপাশি নিজেদের অবস্থানও ঝুঁকিপূর্ণ করে
তুলেছেন ওই এমপিরা। এসব কারণে এলাকার ভোটারদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব গড়ে উঠছে। নাজুক অবস্থায় থাকা কোনো কোনো এমপি শেষ সময়ে এসে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্য থেকে দাবি উঠেছে, আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বদলের। তাঁরা বলছেন, তা না হলে আগামী নির্বাচনে ফল বিপর্যয় ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি, দলীয় ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোক দিয়ে দলীয় সভাপতি সারা দেশে জরিপ চালিয়েছেন এটা জানি। ফলাফল কী এসেছে, তা জানি না। তবে বহুমুখী সমস্যার কথা ওঠে এসেছে জরিপে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রতিকারের ব্যবস্থাও নিচ্ছেন।' তিনি বলেন, যেসব এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতারাই দলীয় নেতাদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে শেখ হাসিনা তা মীমাংসা করছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্য এক সদস্য মোহাম্মদ নাসিম কালের কণ্ঠকে বলেন, এমপিদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে কিছু আসনে দলীয় প্রার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। তবে এ অবস্থা ঠিক হয়ে যাবে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম জানান, সংসদ সদস্যদের বিষয়ে ভবিষ্যতে পর্যালোচনা করেই মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থীরা হেরে যাওয়ায় ওই অঞ্চলগুলোর আওয়ামী লীগ এমপিরা বেশ চাপে পড়ে গেছেন। সরকারের প্রতি ওই চার সিটির ভোটারদের অসন্তোষের প্রতিফলন আগামী জাতীয় নির্বাচনেও বজায় থাকলে আওয়ামী লীগের এমপিরা বেকায়দায় পড়বেন।
যেসব আসনে এমপিরা নাজুক অবস্থায় : রংপুর বিভাগে নাজুক অবস্থায় আছেন দিনাজপুর-৩ আসনের এমপি ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৪ আসনের আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দিনাজপুর-৬ আসনের আজিজুল হক চৌধুরী, রংপুর-৫ আসনের এইচ এন আশিকুর রহমান, লালমনিরহাট-১ আসনের মোতাহার হোসেন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জাকির হোসেন, গাইবান্ধা-২ আসনের মাহাবুব আরা গিনি, গাইবান্ধা-৫ আসনের ফজলে রাবি্ব মিয়া।
রাজশাহী বিভাগে নাজুক অবস্থায় আছেন নাটোর-২ আসনের আহাদ আলী সরকার, পাবনা-১ আসনের শামসুল হক টুকু, পাবনা-৩ আসনের মকবুল হোসেন, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের ইসহাক হোসেন তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের শফিকুল ইসলাম, রাজশাহী-১ আসনের ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৪ আসনের এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের আবদুল ওয়াদুদ, নওগাঁ-১ আসনের সাধন চন্দ্র মজুমদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের মোহাম্মদ এনামুল হক, বগুড়া-১ আসনের আবদুল মান্নান, বগুড়া-৫ আসনের হাবিবুর রহমান।
খুলনা বিভাগে বেকায়দায় আছেন মেহেরপুর-১ আসনের জয়নাল আবেদীন, কুষ্টিয়া-১ আসনের আফাজউদ্দিন আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন, যশোর-২ আসনের মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ, যশোর-৩ আসনের খালেদুর রহমান টিটো, যশোর-৪ আসনের রণজিৎ কুমার রায়, যশোর-৬ আসনের শেখ আবদুল ওহাব, নড়াইল-২ আসনের এস কে আবু বাকের, খুলনা-৩ আসনের বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৫ আসনের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সাতক্ষীরা-৩ আসনের আ ফ ম রুহুল হক। সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহ জেলার কোনো আসনের এমপিই ভালো অবস্থানে নেই।
বরিশাল বিভাগে নাজুক অবস্থায় আছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের গোলাম মাওলা রনি, বরগুনা-১ আসনের ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, বরিশাল-২ আসনের মনিরুল ইসলাম, ঝালকাঠি-১ আসনের বজলুল হক হারুন, পিরোজপুর-১ আসনের এ কে এম এ আউয়াল, পিরোজপুর-২ আসনের শাহ আলম।
ঢাকা বিভাগে যাঁদের অবস্থা খারাপ তাঁদের মধ্যে আছেন টাঙ্গাইল-৪ আসনের আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেরপুর-৩ আসনের এ কে এম ফজলুল হক, ময়মনসিংহ-৬ আসনের মোসলেম উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৭ আসনের রেজা আলী, ময়মনসিংহ-১০ আসনের গিয়াসউদ্দিন, ময়মনসিংহ-১১ আসনের মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, নেত্রকোনা-২ আসনের আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোনা-৩ আসনের মঞ্জুর কাদের কোরাইশী, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের আফজাল হোসেন, নরসিংদী-৩ আসনের জহিরুল হক ভূঞা মোহন, গাজীপুর-৩ আসনের অ্যাডভোকেট রহমত আলী, ফরিদপুর-২ আসনের সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ফরিদপুর-৩ আসনের খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মানিকগঞ্জ-৩ ছাড়া জেলার অন্য সব আসনের এমপির অবস্থাই নাজুক। ঢাকা মহানগর ও আশপাশের সব আসনে খারাপ অবস্থা মহাজোট এমপিদের। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম বাবু ছাড়া বাকিদের অবস্থা ভালো নয়।
সিলেট বিভাগে নাজুক অবস্থায় আছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সিলেট-১ আসনের আবুল মাল আবদুল মুহিত, সিলেট-২ আসনের শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৬ আসনের নুরুল ইসলাম নাহিদ, সিলেট-৩ আসনের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বিভাগে খারাপ অবস্থায় আছেন কুমিল্লা-১ আসনের সুবিদ আলী ভূঁইয়া, কুমিল্লা-১০ আসনের আ হ ম মোস্তফা কামাল, কুমিল্লা-৭ আসনের অধ্যাপক আলী আশরাফ। চাঁদপুর-৫ আসনের রফিকুল ইসলাম ছাড়া জেলার অন্য সব আসনের এমপিই ঝুঁকিতে আছেন। ফেনী ও নোয়াখালী জেলার সব আসনেই বিপদ সংকেত রয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-৫ ও চট্টগ্রাম-১২ ছাড়া জেলার অন্য সব আসনে ক্ষমতাসীনদের অবস্থা খারাপ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর আস্থাভাজন একটি টিম দিয়ে এরই মধ্যে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে জরিপ করিয়েছেন। এর ফল এখন তাঁর হাতে। জরিপে দেখা গেছে, ১০০-এর বেশি আসনে আওয়ামী লীগ এমপিদের অবস্থা বেশ নাজুক। এ ছাড়া সাত বিভাগের দায়িত্বে থাকা দলীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরাও একই বিষয়ে দলের সভাপতির কাছে আলাদাভাবে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রতিবেদনেও একই চিত্র ফুটে উঠেছে। কোনো কোনো আসনে দলের অবস্থান ভালো হলেও এমপিদের কর্মকাণ্ডে আগামী নির্বাচনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব আসনের মধ্যে অন্যতম ঢাকা বিভাগের শরীয়তপুর-১ এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী-৩ আসন। শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি বি এম মোজাম্মেল এবং পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি গোলাম মাওলা রনি। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনির নামও আছে ঝুঁকির তালিকায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এলাকার জনগণের সঙ্গে করা অঙ্গীকার রক্ষা না করা, দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব, দলে কোন্দল জিইয়ে রাখা, এলাকায় নিয়মিত না যাওয়া এবং দুর্নীতি ও দখলদারির কারণে দলের পাশাপাশি নিজেদের অবস্থানও ঝুঁকিপূর্ণ করে
তুলেছেন ওই এমপিরা। এসব কারণে এলাকার ভোটারদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব গড়ে উঠছে। নাজুক অবস্থায় থাকা কোনো কোনো এমপি শেষ সময়ে এসে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্য থেকে দাবি উঠেছে, আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বদলের। তাঁরা বলছেন, তা না হলে আগামী নির্বাচনে ফল বিপর্যয় ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি, দলীয় ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোক দিয়ে দলীয় সভাপতি সারা দেশে জরিপ চালিয়েছেন এটা জানি। ফলাফল কী এসেছে, তা জানি না। তবে বহুমুখী সমস্যার কথা ওঠে এসেছে জরিপে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রতিকারের ব্যবস্থাও নিচ্ছেন।' তিনি বলেন, যেসব এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতারাই দলীয় নেতাদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে শেখ হাসিনা তা মীমাংসা করছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্য এক সদস্য মোহাম্মদ নাসিম কালের কণ্ঠকে বলেন, এমপিদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে কিছু আসনে দলীয় প্রার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। তবে এ অবস্থা ঠিক হয়ে যাবে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম জানান, সংসদ সদস্যদের বিষয়ে ভবিষ্যতে পর্যালোচনা করেই মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থীরা হেরে যাওয়ায় ওই অঞ্চলগুলোর আওয়ামী লীগ এমপিরা বেশ চাপে পড়ে গেছেন। সরকারের প্রতি ওই চার সিটির ভোটারদের অসন্তোষের প্রতিফলন আগামী জাতীয় নির্বাচনেও বজায় থাকলে আওয়ামী লীগের এমপিরা বেকায়দায় পড়বেন।
যেসব আসনে এমপিরা নাজুক অবস্থায় : রংপুর বিভাগে নাজুক অবস্থায় আছেন দিনাজপুর-৩ আসনের এমপি ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৪ আসনের আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দিনাজপুর-৬ আসনের আজিজুল হক চৌধুরী, রংপুর-৫ আসনের এইচ এন আশিকুর রহমান, লালমনিরহাট-১ আসনের মোতাহার হোসেন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জাকির হোসেন, গাইবান্ধা-২ আসনের মাহাবুব আরা গিনি, গাইবান্ধা-৫ আসনের ফজলে রাবি্ব মিয়া।
রাজশাহী বিভাগে নাজুক অবস্থায় আছেন নাটোর-২ আসনের আহাদ আলী সরকার, পাবনা-১ আসনের শামসুল হক টুকু, পাবনা-৩ আসনের মকবুল হোসেন, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের ইসহাক হোসেন তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের শফিকুল ইসলাম, রাজশাহী-১ আসনের ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৪ আসনের এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের আবদুল ওয়াদুদ, নওগাঁ-১ আসনের সাধন চন্দ্র মজুমদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের মোহাম্মদ এনামুল হক, বগুড়া-১ আসনের আবদুল মান্নান, বগুড়া-৫ আসনের হাবিবুর রহমান।
খুলনা বিভাগে বেকায়দায় আছেন মেহেরপুর-১ আসনের জয়নাল আবেদীন, কুষ্টিয়া-১ আসনের আফাজউদ্দিন আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন, যশোর-২ আসনের মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ, যশোর-৩ আসনের খালেদুর রহমান টিটো, যশোর-৪ আসনের রণজিৎ কুমার রায়, যশোর-৬ আসনের শেখ আবদুল ওহাব, নড়াইল-২ আসনের এস কে আবু বাকের, খুলনা-৩ আসনের বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৫ আসনের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সাতক্ষীরা-৩ আসনের আ ফ ম রুহুল হক। সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহ জেলার কোনো আসনের এমপিই ভালো অবস্থানে নেই।
বরিশাল বিভাগে নাজুক অবস্থায় আছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের গোলাম মাওলা রনি, বরগুনা-১ আসনের ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, বরিশাল-২ আসনের মনিরুল ইসলাম, ঝালকাঠি-১ আসনের বজলুল হক হারুন, পিরোজপুর-১ আসনের এ কে এম এ আউয়াল, পিরোজপুর-২ আসনের শাহ আলম।
ঢাকা বিভাগে যাঁদের অবস্থা খারাপ তাঁদের মধ্যে আছেন টাঙ্গাইল-৪ আসনের আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেরপুর-৩ আসনের এ কে এম ফজলুল হক, ময়মনসিংহ-৬ আসনের মোসলেম উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৭ আসনের রেজা আলী, ময়মনসিংহ-১০ আসনের গিয়াসউদ্দিন, ময়মনসিংহ-১১ আসনের মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, নেত্রকোনা-২ আসনের আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোনা-৩ আসনের মঞ্জুর কাদের কোরাইশী, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের আফজাল হোসেন, নরসিংদী-৩ আসনের জহিরুল হক ভূঞা মোহন, গাজীপুর-৩ আসনের অ্যাডভোকেট রহমত আলী, ফরিদপুর-২ আসনের সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ফরিদপুর-৩ আসনের খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মানিকগঞ্জ-৩ ছাড়া জেলার অন্য সব আসনের এমপির অবস্থাই নাজুক। ঢাকা মহানগর ও আশপাশের সব আসনে খারাপ অবস্থা মহাজোট এমপিদের। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম বাবু ছাড়া বাকিদের অবস্থা ভালো নয়।
সিলেট বিভাগে নাজুক অবস্থায় আছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সিলেট-১ আসনের আবুল মাল আবদুল মুহিত, সিলেট-২ আসনের শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৬ আসনের নুরুল ইসলাম নাহিদ, সিলেট-৩ আসনের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বিভাগে খারাপ অবস্থায় আছেন কুমিল্লা-১ আসনের সুবিদ আলী ভূঁইয়া, কুমিল্লা-১০ আসনের আ হ ম মোস্তফা কামাল, কুমিল্লা-৭ আসনের অধ্যাপক আলী আশরাফ। চাঁদপুর-৫ আসনের রফিকুল ইসলাম ছাড়া জেলার অন্য সব আসনের এমপিই ঝুঁকিতে আছেন। ফেনী ও নোয়াখালী জেলার সব আসনেই বিপদ সংকেত রয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-৫ ও চট্টগ্রাম-১২ ছাড়া জেলার অন্য সব আসনে ক্ষমতাসীনদের অবস্থা খারাপ।
No comments