গ্রামীণ ব্যাংক ভাগ নিয়ে মার্কিন মুলুকে অসন্তোষ
আইন পরিবর্তন করে গ্রামীণ ব্যাংককে ১৯
ভাগে বিভক্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের
নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের ১২তম কংগ্রেশনাল ডিসট্রিক্টের প্রতিনিধি রুশ হল্ট।
গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর সরকারের আক্রমণ অব্যাহত থাকলে মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনারও আহবান জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহবান জানান।
হল্ট বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংকের মতো আরও প্রতিষ্ঠান এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো আরও অগ্রদূত বাংলাদেশে প্রয়োজন আছে।”
যুক্তরাষ্ট্র যে গ্রামীণ ব্যাংককে সমর্থন দেয় এবং এটি যে বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বত্র দরিদ্রদের জন্য কাজ করে তা ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে আরো পরিষ্কার করতেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির প্রতি আহবান জানান নিউজার্সির এই রাজনীতিক।
হল্ট বলেন, “দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখায় ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল জয় করেন। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়ার আজীবন প্রতিশ্রুতি ও ক্ষুদ্র ঋণ চালু করার স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলও পান ড. ইউনূস।”
উল্লেখ্য, গ্রামীণ ব্যাংককে কমপক্ষে ১৯ ভাগে ভাগ করার সুপারিশ করেছে সরকার গঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আদলে গ্রামীণ ব্যাংককে ছোট ছোট স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হবে। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় কেবল নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে মূলত গ্রামীণ ব্যাংকের কাঠামো ভেঙে ফেলারই সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিশন বলছে, এই স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর পরস্পরের মধ্যে কোনো আইনগত, ব্যবস্থাপনাগত ও আর্থিক যোগাযোগ থাকবে না। এসব প্রতিষ্ঠান বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো স্থানীয় সম্পদ ও দায় ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। আর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মতো গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় শুধু নিয়ন্ত্রণকারীর ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর খবরদারি বজায় রাখতে সরকারি শেয়ারের অংশ ৫১ শতাংশে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। এ জন্য গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ সংশোধন করার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে।
কমিশন বলেছে, কমপক্ষে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার শেয়ারধারীর সমন্বয়ে গঠিত গ্রামীণ ব্যাংককে একক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের আওতায় রাখতে শিল্প ব্যাংকের আইনি কাঠামোর কাছাকাছি আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার (৫১ শতাংশ) থাকবে। বাকি শেয়ার গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের দেওয়া হবে। আর পরিচালনা পর্ষদেও সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রক্ষা করতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে ৩০ বছর আগে নিজের গড়া গ্রামীণ ব্যাংকে ভেঙে ফেলার সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ৮৪ লাখ দরিদ্র নারীর মালিকানাধীন বিশ্বব্যাপী পরিচিত একটি স্বনির্ভর আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করা হলে এটা হবে সরকারের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার। আইনি কাঠামো পরিবর্তনের বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংক তদন্ত কমিশনের সুপারিশগুলোর কোনোটাই সামান্যতম বিবেচনারও যোগ্যতা রাখে না।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহবান জানান।
হল্ট বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংকের মতো আরও প্রতিষ্ঠান এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো আরও অগ্রদূত বাংলাদেশে প্রয়োজন আছে।”
যুক্তরাষ্ট্র যে গ্রামীণ ব্যাংককে সমর্থন দেয় এবং এটি যে বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বত্র দরিদ্রদের জন্য কাজ করে তা ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে আরো পরিষ্কার করতেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির প্রতি আহবান জানান নিউজার্সির এই রাজনীতিক।
হল্ট বলেন, “দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখায় ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল জয় করেন। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়ার আজীবন প্রতিশ্রুতি ও ক্ষুদ্র ঋণ চালু করার স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলও পান ড. ইউনূস।”
উল্লেখ্য, গ্রামীণ ব্যাংককে কমপক্ষে ১৯ ভাগে ভাগ করার সুপারিশ করেছে সরকার গঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আদলে গ্রামীণ ব্যাংককে ছোট ছোট স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হবে। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় কেবল নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে মূলত গ্রামীণ ব্যাংকের কাঠামো ভেঙে ফেলারই সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিশন বলছে, এই স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর পরস্পরের মধ্যে কোনো আইনগত, ব্যবস্থাপনাগত ও আর্থিক যোগাযোগ থাকবে না। এসব প্রতিষ্ঠান বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো স্থানীয় সম্পদ ও দায় ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। আর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মতো গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় শুধু নিয়ন্ত্রণকারীর ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর খবরদারি বজায় রাখতে সরকারি শেয়ারের অংশ ৫১ শতাংশে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। এ জন্য গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ সংশোধন করার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে।
কমিশন বলেছে, কমপক্ষে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার শেয়ারধারীর সমন্বয়ে গঠিত গ্রামীণ ব্যাংককে একক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের আওতায় রাখতে শিল্প ব্যাংকের আইনি কাঠামোর কাছাকাছি আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার (৫১ শতাংশ) থাকবে। বাকি শেয়ার গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের দেওয়া হবে। আর পরিচালনা পর্ষদেও সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রক্ষা করতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে ৩০ বছর আগে নিজের গড়া গ্রামীণ ব্যাংকে ভেঙে ফেলার সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ৮৪ লাখ দরিদ্র নারীর মালিকানাধীন বিশ্বব্যাপী পরিচিত একটি স্বনির্ভর আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করা হলে এটা হবে সরকারের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার। আইনি কাঠামো পরিবর্তনের বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংক তদন্ত কমিশনের সুপারিশগুলোর কোনোটাই সামান্যতম বিবেচনারও যোগ্যতা রাখে না।
No comments