৪০০ একরের আখখেতে অজ্ঞাত পোকার আক্রমণ
ফরিদপুরে প্রায় ৪০০ একর আখের জমিতে অজ্ঞাত
পোকার আক্রমণে চলতি বছর আখের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে
প্রতি একরে আখের উৎপাদন ১৫ টনের মতো কমে যাবে বলে ফরিদপুর চিনিকল
কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কয়েক শ আখচাষি।
এ পোকা দমনে এখনো কোনো কার্যকর উপায় বের করতে পারেননি কৃষি গবেষকেরা। জেলার মধুখালী উপজেলার মেছোরদিয়া ও সদরের কোষা গোপালপুর এলাকার চিনিকল নিয়ন্ত্রিত আখের জমিতে ওই পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
ফরিদপুর চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-১৩ মৌসুমে জেলায় এ চিনিকলের অধীনে ১০ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আট হাজার ৬৫৩ জন চাষি এর সঙ্গে জড়িত।
চিনিকলের সংশ্লিষ্ট ইউনিট কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, মধুখালীর মেছোরদিয়া ও লহ্মণদিয়া এলাকার আখের খেতগুলোতে ৮ জুন থেকে অজ্ঞাতনামা পোকার আক্রমণ চোখে পড়ে। ধীরে ধীরে তা মধুখালীর বাজারকান্দা এবং ফরিদপুর সদরের কোষা গোপালপুর এলাকার আখচাষিদের জমিতেও ছড়িয়ে পড়ে।
এলাকাবাসী জানান, মেছোরদিয়া, লহ্মণদিয়া, বাজারকান্দা ও কোষা গোপালপুর এলাকার শতাধিক কৃষকের জমিতে এ পোকার আক্রমণ দেখা গেছে। এর মধ্যে মেছোরদিয়ার চাষি কামরুজ্জামানের ১২০ শতাংশ, নাসিরুজ্জামানের ৮০, রাকিবুজ্জামানের ৫৬ এবং মিতু মীর, শামসুর রহমান ও শামীম মৃধার ৫০ শতাংশ করে জমি রয়েছে।
চিনিকলের সম্প্রসারণ বিভাগের একাংশের ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার কুণ্ডু বলেন, আখপাতা থেকে শুরু করে মধ্যশিরা বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ পত্র ফলকই খেয়ে ফেলে এই পোকা। পাতার সবুজ অংশ না থাকায় গাছের সালোকসংশ্লেষণ (পাতায় খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া) হচ্ছে না। ফলে আখের ফলনে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
চিনিকল আখচাষি কল্যাণ সংস্থার নেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৯৭৩ সাল থেকে আখ চাষ করছি। কোনো দিন এ জাতীয় পোকার আক্রমণ দেখিনি।’ তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে একরপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টন আখ উৎপন্ন হয়। পোকার এ আক্রমণ রোধ সম্ভব না হলে এ হার পাঁচ থেকে ছয় টনে নেমে আসবে।
পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মো. আবদুল্লাহ বলেন, দেশে এ জাতীয় পোকার আক্রমণ আগে দেখা যায়নি। আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে এ পোকার আক্রমণ দেখা যেতে পারে। প্রচলিত কীটনাশকে এগুলো পুরোপুরি দমন সম্ভব নয়। তাই আপাতত ফরিদপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষকে এগুলো ধরে মেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মিলের ব্যবস্থাপানা পরিচালক কমল কান্তি সরকার বলেন, ‘৮ জুন যেদিন পোকার আক্রমণ চোখে পড়ে, ওই দিনই আমি আক্রান্ত খেত পরিদর্শন করেছি। বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ৯ জুন থেকে পোকা ধরার কার্যক্রম শুরু করা হয়।’
এ পোকা দমনে এখনো কোনো কার্যকর উপায় বের করতে পারেননি কৃষি গবেষকেরা। জেলার মধুখালী উপজেলার মেছোরদিয়া ও সদরের কোষা গোপালপুর এলাকার চিনিকল নিয়ন্ত্রিত আখের জমিতে ওই পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
ফরিদপুর চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-১৩ মৌসুমে জেলায় এ চিনিকলের অধীনে ১০ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আট হাজার ৬৫৩ জন চাষি এর সঙ্গে জড়িত।
চিনিকলের সংশ্লিষ্ট ইউনিট কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, মধুখালীর মেছোরদিয়া ও লহ্মণদিয়া এলাকার আখের খেতগুলোতে ৮ জুন থেকে অজ্ঞাতনামা পোকার আক্রমণ চোখে পড়ে। ধীরে ধীরে তা মধুখালীর বাজারকান্দা এবং ফরিদপুর সদরের কোষা গোপালপুর এলাকার আখচাষিদের জমিতেও ছড়িয়ে পড়ে।
এলাকাবাসী জানান, মেছোরদিয়া, লহ্মণদিয়া, বাজারকান্দা ও কোষা গোপালপুর এলাকার শতাধিক কৃষকের জমিতে এ পোকার আক্রমণ দেখা গেছে। এর মধ্যে মেছোরদিয়ার চাষি কামরুজ্জামানের ১২০ শতাংশ, নাসিরুজ্জামানের ৮০, রাকিবুজ্জামানের ৫৬ এবং মিতু মীর, শামসুর রহমান ও শামীম মৃধার ৫০ শতাংশ করে জমি রয়েছে।
চিনিকলের সম্প্রসারণ বিভাগের একাংশের ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার কুণ্ডু বলেন, আখপাতা থেকে শুরু করে মধ্যশিরা বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ পত্র ফলকই খেয়ে ফেলে এই পোকা। পাতার সবুজ অংশ না থাকায় গাছের সালোকসংশ্লেষণ (পাতায় খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া) হচ্ছে না। ফলে আখের ফলনে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
চিনিকল আখচাষি কল্যাণ সংস্থার নেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৯৭৩ সাল থেকে আখ চাষ করছি। কোনো দিন এ জাতীয় পোকার আক্রমণ দেখিনি।’ তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে একরপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টন আখ উৎপন্ন হয়। পোকার এ আক্রমণ রোধ সম্ভব না হলে এ হার পাঁচ থেকে ছয় টনে নেমে আসবে।
পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মো. আবদুল্লাহ বলেন, দেশে এ জাতীয় পোকার আক্রমণ আগে দেখা যায়নি। আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে এ পোকার আক্রমণ দেখা যেতে পারে। প্রচলিত কীটনাশকে এগুলো পুরোপুরি দমন সম্ভব নয়। তাই আপাতত ফরিদপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষকে এগুলো ধরে মেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মিলের ব্যবস্থাপানা পরিচালক কমল কান্তি সরকার বলেন, ‘৮ জুন যেদিন পোকার আক্রমণ চোখে পড়ে, ওই দিনই আমি আক্রান্ত খেত পরিদর্শন করেছি। বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ৯ জুন থেকে পোকা ধরার কার্যক্রম শুরু করা হয়।’
No comments