স্পিকারকে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে সংসদে শালীনতা বজায় রাখুন
বাংলাদেশের সংবিধান শালীনতা ও নৈতিকতা
সাপেক্ষে সাংসদদেরও বাক্ ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। এমনকি
সংবিধানে দেওয়া সংসদীয় দায়মুক্তিকেও এ সীমারেখার আলোকেই বুঝতে হবে।
কিন্তু ধারণা করা যায়, সাংসদদের একটি অংশ এ বিষয়ে দারুণ উদাসীন। তাঁরা
হয়তো ধরেই নিচ্ছেন, দায়মুক্তির সনদই সবকিছু। সংসদে আবারও হাতে গোনা কয়েকজন
সদস্য যাঁরা পরোক্ষভাবে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত, তাঁরা শিষ্টাচার ও
সভ্যতা-ভব্যতার সীমারেখা লঙ্ঘন করে চলেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এটাই কি
নারীর ক্ষমতায়নের নমুনা?
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে একটি রুলিং এবং কতিপয় ব্যবস্থা আমরা আশা করি। সংসদের বৈঠক থেকে বিরোধী দলের হলেও কাউকে বহিষ্কারের এখতিয়ার প্রয়োগ না করতে পারার সীমাবদ্ধতাও উদ্বেগজনক।
অসংসদীয় শব্দ এবং অনৈতিক ও অশালীন বক্তব্যের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। অস্ট্রেলীয় সিনেটে কাউকে বোবা বলা যায় না। হাউস অব কমনসে হাবা, গুন্ডা, ইঁদুর, শুয়োর ইত্যাদি শব্দ অসংসদীয় শব্দ হিসেবে চিহ্নিত। প্রতিবেশী ভারতের লোকসভায় একবার একজন সাংসদ বলেছিলেন, ‘বন্ধুত্বের অর্থ এই নয় যে কমিউনিস্টদের কাছে আমি আমার বউকে দিয়ে দেব।’ সেই থেকে ‘কমিউনিস্ট’ একটি অসংসদীয় ভাষার তকমা পেল। এভাবে নানা বিতর্কে শালা, শাড়ি বদলানো, ষড়যন্ত্র এমনকি সততা শব্দটিও অসংসদীয় শব্দভান্ডারে ঠাঁই পেয়েছে ভারতে। গত ৬৬ বছরের বিতর্কে স্পিকারের রুলিংয়ে ৯০০ পৃষ্ঠাব্যাপী শব্দভান্ডার তৈরি হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশের এমন শব্দগত কালো তালিকা নেই। একটি অসংসদীয় শব্দকোষ স্পিকারের উদ্যোগে বের করা যেতে পারে। তবে সাংসদেরা যে কুৎসা ও মানহানিকর বেপরোয়া কথাবার্তা বলে চলেছেন, তাতে তাঁরা যে সংসদীয় দায়মুক্তির চরম অপব্যবহার করছেন এবং তা যে প্রচলিত আইনে চ্যালেঞ্জযোগ্য, সে কথা স্পিকারের নির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়ার সময় এসেছে। বিরোধীদলীয় নেত্রী তাঁর দলের অতিশয় উগ্রপন্থীদের সতর্ক করে দিয়েছেন বলে খবর বেরিয়েছে।
এটা লোক দেখানো কি না, তা নিয়ে সন্দেহ করার অবকাশ আছে। কারণ, লক্ষ করা যাচ্ছে, বিএনপির নির্দিষ্ট দু-একজন নারী সদস্যই ধারাবাহিকভাবে অশালীন বক্তব্য দেওয়ার মহড়ায় উচ্চকণ্ঠ। উচ্চপর্যায় থেকে আশকারা না পেলে এতটা আস্পর্ধা দেখানোর কথা নয়। প্রায় একই কথা প্রযোজ্য ক্ষমতাসীন দলের জন্য। এই বেঞ্চের মুখগুলোও চেনা। প্রধানমন্ত্রী পরিচয়ের আড়ালে সংসদ নেত্রীর স্বকীয়তা এমনিতেই ম্লান হয়ে পড়েছে। বিরোধী দলের নেত্রী সংসদেই যান না। কিন্তু সংসদীয় সংস্কৃতিতে অবক্ষয়ের পাগলা ঘোড়া দাবড়ানোর দায় চূড়ান্ত বিচারে তাঁদেরই নিতে হবে।
আমাদের সাংসদেরা কথায় কথায় মহান সংসদ বলে থাকেন। সংসদীয় গণতন্ত্রে অসংসদীয় শব্দবন্ধে স্পিকারের বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া আছে। কিন্তু তাঁর পক্ষে ভারসাম্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়া কি বাস্তবসম্মত? কিন্তু তিনি অপারগ থাকলে সংসদের ঐতিহ্যগত গাম্ভীর্য বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। তাই তাঁকে কঠোর হতে হবে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে একটি রুলিং এবং কতিপয় ব্যবস্থা আমরা আশা করি। সংসদের বৈঠক থেকে বিরোধী দলের হলেও কাউকে বহিষ্কারের এখতিয়ার প্রয়োগ না করতে পারার সীমাবদ্ধতাও উদ্বেগজনক।
অসংসদীয় শব্দ এবং অনৈতিক ও অশালীন বক্তব্যের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। অস্ট্রেলীয় সিনেটে কাউকে বোবা বলা যায় না। হাউস অব কমনসে হাবা, গুন্ডা, ইঁদুর, শুয়োর ইত্যাদি শব্দ অসংসদীয় শব্দ হিসেবে চিহ্নিত। প্রতিবেশী ভারতের লোকসভায় একবার একজন সাংসদ বলেছিলেন, ‘বন্ধুত্বের অর্থ এই নয় যে কমিউনিস্টদের কাছে আমি আমার বউকে দিয়ে দেব।’ সেই থেকে ‘কমিউনিস্ট’ একটি অসংসদীয় ভাষার তকমা পেল। এভাবে নানা বিতর্কে শালা, শাড়ি বদলানো, ষড়যন্ত্র এমনকি সততা শব্দটিও অসংসদীয় শব্দভান্ডারে ঠাঁই পেয়েছে ভারতে। গত ৬৬ বছরের বিতর্কে স্পিকারের রুলিংয়ে ৯০০ পৃষ্ঠাব্যাপী শব্দভান্ডার তৈরি হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশের এমন শব্দগত কালো তালিকা নেই। একটি অসংসদীয় শব্দকোষ স্পিকারের উদ্যোগে বের করা যেতে পারে। তবে সাংসদেরা যে কুৎসা ও মানহানিকর বেপরোয়া কথাবার্তা বলে চলেছেন, তাতে তাঁরা যে সংসদীয় দায়মুক্তির চরম অপব্যবহার করছেন এবং তা যে প্রচলিত আইনে চ্যালেঞ্জযোগ্য, সে কথা স্পিকারের নির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়ার সময় এসেছে। বিরোধীদলীয় নেত্রী তাঁর দলের অতিশয় উগ্রপন্থীদের সতর্ক করে দিয়েছেন বলে খবর বেরিয়েছে।
এটা লোক দেখানো কি না, তা নিয়ে সন্দেহ করার অবকাশ আছে। কারণ, লক্ষ করা যাচ্ছে, বিএনপির নির্দিষ্ট দু-একজন নারী সদস্যই ধারাবাহিকভাবে অশালীন বক্তব্য দেওয়ার মহড়ায় উচ্চকণ্ঠ। উচ্চপর্যায় থেকে আশকারা না পেলে এতটা আস্পর্ধা দেখানোর কথা নয়। প্রায় একই কথা প্রযোজ্য ক্ষমতাসীন দলের জন্য। এই বেঞ্চের মুখগুলোও চেনা। প্রধানমন্ত্রী পরিচয়ের আড়ালে সংসদ নেত্রীর স্বকীয়তা এমনিতেই ম্লান হয়ে পড়েছে। বিরোধী দলের নেত্রী সংসদেই যান না। কিন্তু সংসদীয় সংস্কৃতিতে অবক্ষয়ের পাগলা ঘোড়া দাবড়ানোর দায় চূড়ান্ত বিচারে তাঁদেরই নিতে হবে।
আমাদের সাংসদেরা কথায় কথায় মহান সংসদ বলে থাকেন। সংসদীয় গণতন্ত্রে অসংসদীয় শব্দবন্ধে স্পিকারের বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া আছে। কিন্তু তাঁর পক্ষে ভারসাম্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়া কি বাস্তবসম্মত? কিন্তু তিনি অপারগ থাকলে সংসদের ঐতিহ্যগত গাম্ভীর্য বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। তাই তাঁকে কঠোর হতে হবে।
No comments