খুকী ও মেঘ by বিএম বরকতউল্লাহ্
এই মেঘ, তোমরা এত ছুটোছুটি করছ কেন? কই
যাও এমন করে? আমাদের বাড়ি চলে আসতে পারো না তোমরা? এই দেখো আমাদের ঘর। এই
যে সাদা উঠোন। এই যে আমাদের গাছ, পুকুর আর ফসলের মাঠ।
তোমরা চলে আস আমাদের বাড়ি। বসতে দেবো পিঁড়ি আর খেতে দেবো মুড়ি। আর কী করব জানো, আমি সারাদিন খেলা করব তোমাদের সাথে।
এক টুকরো মেঘ নিচের দিকে তাকিয়ে দেখে একটি ছোট মেয়ে হাত বাড়িয়ে কী যেন বলছে। মেঘটি একটু নিচে নেমে এসে বলে, ‘এই মেয়ে কার সাথে কথা বলছ তুমি?’ মেঘের কথা শুনে খুশিতে লাফিয়ে উঠল খুকী। সে পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে আরেকটু উঁচু হয়ে হাত বাড়িয়ে বলে, ‘তুমি আমার কাছে আসো না মেঘভাই, আমি তোমার সাথে কথা বলব।’ মেঘ আরেকটু নিচে এসে বলল, ‘তুমি কে গো, কার সাথে কথা বলো তুমি?’
‘বারে, আমাকে চেন না বুঝি? আমি খুকী। আমিই তো কথা বলি তোমাদের সাথে। তোমরা আমার কথা শুনতে পাও না?’ বলল খুকী।
মেঘ বলে, ‘তুমি তো খুব মজা করে কথা বলতে পার দেখি। কী কথা বলো তুমি খুকী?’
খুকী অভিমানে গাল ফুলিয়ে বলে, ‘কী কথা বলব আবার। দেখছ না আমার যে কোন সাথী নেই। মা-বাবা সারাদিন জমিতে কাজ করে। এ বাড়িতে আমি একদম একা। বাড়ি-ঘর নেই আশপাশে। আমি কারও সাথে কথা বলতে পারি না, খেলতেও পারি না। এখন বুঝতে পারছ কত বড় দুঃখ আমার?’
মেঘ মায়া করে বলল, ‘ইশ্, ঠিকই ত তোমার অনেক দুঃখ। এখন কী করতে পারি আমি বল তো?’
‘তুমি আমার সাথী হবে মেঘভাই? আমি তোমার সাথে খেলা করব আর ঘুরে বেড়াব আকাশে। আমাকে নিয়ে চলো না তোমাদের দেশে?’ আবদার করে বলল খুকী।
মেঘটির মায়া হলো খুব। মেঘ বলল, ‘কিভাবে যাবে আমার সাথে, তোমার তো পাখা-টাখা নেই।’
‘কেন, তোমার পিঠে চড়ে!’ চটপট জবাব দিল খুকী।
‘তোমার তো বেজায় সাহস!’ বলল মেঘ।
খুকী চোখ গোল করে ঠোকর মেরে বলল, ‘ত?’
মেঘ রাজি হয়ে গেল আর বলল, ‘খুকী তুমি কি আমার পিঠে বসতে পারবে?’ খুকী মাথা কাত করে বলে, ‘হ্যা খুব পারব।’ মেঘ আরেকটু নিচে নেমে এসে বলল, ‘এবার লাফ দিয়ে বসে পড়ো আমার পিঠে।’ খুকী বলে, ‘আমি এত উঁচুতে উঠব কী করে? তুমি উঠোনে এসে বসো না।’
মেঘ বলে, ‘আমি মাটি ছুঁতেও পারব না। মাটির ছোঁয়া লাগলেই আর আমাকে খুঁজে পাবে না তুমি। আমি পানি হয়ে মিশে যাব মাটিতে, তখন?’
খুকী বলল, ‘দাঁড়াও, আমি আসছি।’ সে দৌড়ে গিয়ে নিয়ে এলো একটি জলচকি। খুকী জলচকির ওপর পা রেখে এক লাফে চড়ে বসল মেঘের পিঠে। মেঘটি খুকীকে নিয়ে ধীরে ধীরে উপরে উঠতে লাগল। খুকী নিচের দিকে তাকিয়ে দেখে বাড়ি-ঘর, গাছপালা, উঠোন, ফসলের মাঠ সব ছোট হয়ে আসছে। অনেক উপরে উঠে গেল মেঘ। খুকী দেখে, উঠোনে দাঁড়িয়ে আছে তার মা ও বাবা, মনে হয় দুটি কাক দাঁড়িয়ে আছে। খুকী একটুও ভয় পেল না। সে সোজা চলে গেল মেঘের মায়ের কাছে। খুশির সীমা নেই তার।
খুকীকে নিয়ে গিয়ে ছোট মেঘটি তার মাকে বলে, ‘মা, মা, দেখো কাকে নিয়ে এসেছি।’ মেঘের মা খুকীকে দেখে অনেক খুশি হয়ে গেল। বলল, ‘কেমন আছ তুমি? বাড়ি কই তোমার?’ খুকীও অনেক কথা বলল মেঘের মার কাছে। মেঘের মা খুকীর কথা শুনে তার নাক টিপে দিয়ে বলে ‘পাকনা বুড়ি’।
খুকীকে পেয়ে মেঘেরা খুব খুশি। তারা তাকে নিয়ে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায়। ছোট একটি মেঘ এসে বলে, ‘আমার কোলে বসো তো খুকী।’ সে কোলে বসতেই মেঘটি ছুটে চলে যায় অনেক দূরে। আবার আরেকটা মেঘ তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে চলে যায় সাগর আর বনের উপরে। খুশিতে টগবগ করতে থাকে খুকী।
খুকী মেঘের মাকে বলে, ‘এবার আমাকে শোনাতে হবে মজার মজার গল্্প।’ মেঘের মা বলে, কি গল্প শুনবে পাকনা বুড়ি?’ খুকী বলে, ‘তোমাদের বাড়ি কোথায়? কই থাকো? পাখা ছাড়া কিভাবে উড়ে বেড়াও এসব গল্প শোনাও আমাকে।’
মেঘের মা খুকীর কথা শুনে হাসতে হাসতে বলল, ‘আমাদের বাড়ি আকাশে, বাতাসে, পুকুরে, নদীতে, সাগরে, পাহাড়ে, সবখানে।’ খুকী চোখ বড় করে বলে, ‘ওরে বাবা! এতগুলো বাড়ি তোমাদের? তোমরা অনেক বড়লোক নাকি? আমি তো তোমাদের খালি আকাশেই দেখি, আর তো কোথাও দেখি না।’
মেঘের মা বলে, ‘শোনো খুকী, আমরা তোমার আশপাশেই থাকি। আমরা হলাম পানি। পানি কঠিন হয়ে মেঘ হয় আর মেঘ গলে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে পড়ে মাটিতে। আমরা পানি হয়ে গড়িয়ে যাই পুকুরে, নদীতে-সাগরে, তারপর সুরুজ মামার রোদের তাপে পানি থেকে হয়ে যাই পানির কণা। বাতাসে ভেসে বেড়াই। তখন আমাদের বলে বাষ্প। তারপর বাতাসে ভেসে ভেসে উঠে পড়ি অনেক উপরে। তারপর আকাশে আমরা একজনের সাথে আরেক জন লাগালাগি করে থাকি। এই যে দেখছ আমাকে, আমার ভেতরে আছে অনেক অনেক পানির কণা। এভাবে সব কণা মিলে হয়ে গেলাম মেঘ। তারপর মনের খুশিতে ঘুরে বেড়াই আকাশে। বুঝেছ এবার?’
খুকী হাততালি দিয়ে বলে, ‘কি মজা, কি মজা। আমিও মেঘ হব, বৃষ্টি হব। আমি তোমাদের মতো মাটিতে, পুকুরে, সাগরে, আকাশে-বাতাসে উড়ে বেড়াব। আমাকে মেঘ বানিয়ে দাও না।’
মেঘ মা খুকীর গাল টিপে দিয়ে বলল, ‘বোকা মেয়ে, আকাশে উড়তে তোমাকে মেঘ হতে হবে কেন, এমনিতেউ উড়তে পারবে তুমি।’
খুকী হতাশ গলায় বলল, ‘কিভাবে আমি আকাশে উড়ব, আমার তো পাখা নেই!’
মেঘের মা বলল, ‘পাখা নেই তো কী হয়েছে, পাখা গজাবে। তারপর তুমি উড়বে আকাশে।’
খুকী চোখ বড় করে বলল, ‘মানুষের আবার পাখা গজায় নাকি?’
‘লেখাপড়া করলেই মানুষের পাখা গজায় আর তখনই মানুষ তার খুশিমতো উড়তে পারে আকাশে’, বলল মেঘের মা। ‘তাই!’ বলল খুকী। ‘তাহলে আমি অনেক লেখাপড়া করব আর আমার পাখা গজাবে, নাহ্?। তখন আমি উড়ে উড়ে চলে আসব তোমাদের কাছে। আমি অনেক জোরে ছুটে বেড়াব, তখন তোমরা কেউ পারবে না আমার সাথে, বলে দিলাম, হু।’
মেঘ মা আদর করে বলল, ‘ঠিক আছে বুড়ি, দেখা যাবে কে ছুটতে পারে বেশি।’
‘আমি এখন বাড়ি যাব’, বলল খুকী। খুকী মেঘের পিঠে চড়ে শোঁ শোঁ করে ফিরে এলো বাড়ি। খুকীর এখন একটাই ভাবনা। পড়ালেখা করবে। পাখা গজাবে। আর উড়ে বেড়াবে আকাশে।
অলঙ্করণ : শাহরিন আক্তার
এক টুকরো মেঘ নিচের দিকে তাকিয়ে দেখে একটি ছোট মেয়ে হাত বাড়িয়ে কী যেন বলছে। মেঘটি একটু নিচে নেমে এসে বলে, ‘এই মেয়ে কার সাথে কথা বলছ তুমি?’ মেঘের কথা শুনে খুশিতে লাফিয়ে উঠল খুকী। সে পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে আরেকটু উঁচু হয়ে হাত বাড়িয়ে বলে, ‘তুমি আমার কাছে আসো না মেঘভাই, আমি তোমার সাথে কথা বলব।’ মেঘ আরেকটু নিচে এসে বলল, ‘তুমি কে গো, কার সাথে কথা বলো তুমি?’
‘বারে, আমাকে চেন না বুঝি? আমি খুকী। আমিই তো কথা বলি তোমাদের সাথে। তোমরা আমার কথা শুনতে পাও না?’ বলল খুকী।
মেঘ বলে, ‘তুমি তো খুব মজা করে কথা বলতে পার দেখি। কী কথা বলো তুমি খুকী?’
খুকী অভিমানে গাল ফুলিয়ে বলে, ‘কী কথা বলব আবার। দেখছ না আমার যে কোন সাথী নেই। মা-বাবা সারাদিন জমিতে কাজ করে। এ বাড়িতে আমি একদম একা। বাড়ি-ঘর নেই আশপাশে। আমি কারও সাথে কথা বলতে পারি না, খেলতেও পারি না। এখন বুঝতে পারছ কত বড় দুঃখ আমার?’
মেঘ মায়া করে বলল, ‘ইশ্, ঠিকই ত তোমার অনেক দুঃখ। এখন কী করতে পারি আমি বল তো?’
‘তুমি আমার সাথী হবে মেঘভাই? আমি তোমার সাথে খেলা করব আর ঘুরে বেড়াব আকাশে। আমাকে নিয়ে চলো না তোমাদের দেশে?’ আবদার করে বলল খুকী।
মেঘটির মায়া হলো খুব। মেঘ বলল, ‘কিভাবে যাবে আমার সাথে, তোমার তো পাখা-টাখা নেই।’
‘কেন, তোমার পিঠে চড়ে!’ চটপট জবাব দিল খুকী।
‘তোমার তো বেজায় সাহস!’ বলল মেঘ।
খুকী চোখ গোল করে ঠোকর মেরে বলল, ‘ত?’
মেঘ রাজি হয়ে গেল আর বলল, ‘খুকী তুমি কি আমার পিঠে বসতে পারবে?’ খুকী মাথা কাত করে বলে, ‘হ্যা খুব পারব।’ মেঘ আরেকটু নিচে নেমে এসে বলল, ‘এবার লাফ দিয়ে বসে পড়ো আমার পিঠে।’ খুকী বলে, ‘আমি এত উঁচুতে উঠব কী করে? তুমি উঠোনে এসে বসো না।’
মেঘ বলে, ‘আমি মাটি ছুঁতেও পারব না। মাটির ছোঁয়া লাগলেই আর আমাকে খুঁজে পাবে না তুমি। আমি পানি হয়ে মিশে যাব মাটিতে, তখন?’
খুকী বলল, ‘দাঁড়াও, আমি আসছি।’ সে দৌড়ে গিয়ে নিয়ে এলো একটি জলচকি। খুকী জলচকির ওপর পা রেখে এক লাফে চড়ে বসল মেঘের পিঠে। মেঘটি খুকীকে নিয়ে ধীরে ধীরে উপরে উঠতে লাগল। খুকী নিচের দিকে তাকিয়ে দেখে বাড়ি-ঘর, গাছপালা, উঠোন, ফসলের মাঠ সব ছোট হয়ে আসছে। অনেক উপরে উঠে গেল মেঘ। খুকী দেখে, উঠোনে দাঁড়িয়ে আছে তার মা ও বাবা, মনে হয় দুটি কাক দাঁড়িয়ে আছে। খুকী একটুও ভয় পেল না। সে সোজা চলে গেল মেঘের মায়ের কাছে। খুশির সীমা নেই তার।
খুকীকে নিয়ে গিয়ে ছোট মেঘটি তার মাকে বলে, ‘মা, মা, দেখো কাকে নিয়ে এসেছি।’ মেঘের মা খুকীকে দেখে অনেক খুশি হয়ে গেল। বলল, ‘কেমন আছ তুমি? বাড়ি কই তোমার?’ খুকীও অনেক কথা বলল মেঘের মার কাছে। মেঘের মা খুকীর কথা শুনে তার নাক টিপে দিয়ে বলে ‘পাকনা বুড়ি’।
খুকীকে পেয়ে মেঘেরা খুব খুশি। তারা তাকে নিয়ে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায়। ছোট একটি মেঘ এসে বলে, ‘আমার কোলে বসো তো খুকী।’ সে কোলে বসতেই মেঘটি ছুটে চলে যায় অনেক দূরে। আবার আরেকটা মেঘ তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে চলে যায় সাগর আর বনের উপরে। খুশিতে টগবগ করতে থাকে খুকী।
খুকী মেঘের মাকে বলে, ‘এবার আমাকে শোনাতে হবে মজার মজার গল্্প।’ মেঘের মা বলে, কি গল্প শুনবে পাকনা বুড়ি?’ খুকী বলে, ‘তোমাদের বাড়ি কোথায়? কই থাকো? পাখা ছাড়া কিভাবে উড়ে বেড়াও এসব গল্প শোনাও আমাকে।’
মেঘের মা খুকীর কথা শুনে হাসতে হাসতে বলল, ‘আমাদের বাড়ি আকাশে, বাতাসে, পুকুরে, নদীতে, সাগরে, পাহাড়ে, সবখানে।’ খুকী চোখ বড় করে বলে, ‘ওরে বাবা! এতগুলো বাড়ি তোমাদের? তোমরা অনেক বড়লোক নাকি? আমি তো তোমাদের খালি আকাশেই দেখি, আর তো কোথাও দেখি না।’
মেঘের মা বলে, ‘শোনো খুকী, আমরা তোমার আশপাশেই থাকি। আমরা হলাম পানি। পানি কঠিন হয়ে মেঘ হয় আর মেঘ গলে গিয়ে বৃষ্টি হয়ে পড়ে মাটিতে। আমরা পানি হয়ে গড়িয়ে যাই পুকুরে, নদীতে-সাগরে, তারপর সুরুজ মামার রোদের তাপে পানি থেকে হয়ে যাই পানির কণা। বাতাসে ভেসে বেড়াই। তখন আমাদের বলে বাষ্প। তারপর বাতাসে ভেসে ভেসে উঠে পড়ি অনেক উপরে। তারপর আকাশে আমরা একজনের সাথে আরেক জন লাগালাগি করে থাকি। এই যে দেখছ আমাকে, আমার ভেতরে আছে অনেক অনেক পানির কণা। এভাবে সব কণা মিলে হয়ে গেলাম মেঘ। তারপর মনের খুশিতে ঘুরে বেড়াই আকাশে। বুঝেছ এবার?’
খুকী হাততালি দিয়ে বলে, ‘কি মজা, কি মজা। আমিও মেঘ হব, বৃষ্টি হব। আমি তোমাদের মতো মাটিতে, পুকুরে, সাগরে, আকাশে-বাতাসে উড়ে বেড়াব। আমাকে মেঘ বানিয়ে দাও না।’
মেঘ মা খুকীর গাল টিপে দিয়ে বলল, ‘বোকা মেয়ে, আকাশে উড়তে তোমাকে মেঘ হতে হবে কেন, এমনিতেউ উড়তে পারবে তুমি।’
খুকী হতাশ গলায় বলল, ‘কিভাবে আমি আকাশে উড়ব, আমার তো পাখা নেই!’
মেঘের মা বলল, ‘পাখা নেই তো কী হয়েছে, পাখা গজাবে। তারপর তুমি উড়বে আকাশে।’
খুকী চোখ বড় করে বলল, ‘মানুষের আবার পাখা গজায় নাকি?’
‘লেখাপড়া করলেই মানুষের পাখা গজায় আর তখনই মানুষ তার খুশিমতো উড়তে পারে আকাশে’, বলল মেঘের মা। ‘তাই!’ বলল খুকী। ‘তাহলে আমি অনেক লেখাপড়া করব আর আমার পাখা গজাবে, নাহ্?। তখন আমি উড়ে উড়ে চলে আসব তোমাদের কাছে। আমি অনেক জোরে ছুটে বেড়াব, তখন তোমরা কেউ পারবে না আমার সাথে, বলে দিলাম, হু।’
মেঘ মা আদর করে বলল, ‘ঠিক আছে বুড়ি, দেখা যাবে কে ছুটতে পারে বেশি।’
‘আমি এখন বাড়ি যাব’, বলল খুকী। খুকী মেঘের পিঠে চড়ে শোঁ শোঁ করে ফিরে এলো বাড়ি। খুকীর এখন একটাই ভাবনা। পড়ালেখা করবে। পাখা গজাবে। আর উড়ে বেড়াবে আকাশে।
অলঙ্করণ : শাহরিন আক্তার
No comments