ধ্বংসস্তূপে মাথা তুলেছে নতুন বৌদ্ধবিহার by আব্দুল কুদ্দুস
আট মাস আগে উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর হামলা ও
অগ্নিসংযোগে বিধ্বস্ত কক্সবাজারের ১৭টি বৌদ্ধবিহার এখন নতুনরূপে মাথা তুলে
দাঁড়িয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিহারগুলোর নির্মাণকাজ শেষ করে এনেছেন।
চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামুতে এসে বিহারগুলোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
বৌদ্ধবিহার নির্মাণকাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ১৭ ইসিবির (ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লে. কর্নেল ছিদ্দিক মো. জুলফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতের হামলায় বিধ্বস্ত রামু, উখিয়া ও পটিয়ার ১৯টি বৌদ্ধবিহার পুনর্নির্মাণের জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম করে ইতিমধ্যে ৯৫ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ করে ফেলেছেন। কয়েকটি বিহারের অবশিষ্ট কাজ কয়েক দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তারপর বিহারগুলো হস্তান্তর করা হবে। চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন বিহারের উদ্বোধন করতে পারেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের ৮ অক্টোবর শেখ হাসিনা রামু বৌদ্ধপল্লি পরিদর্শনে এসে বিধ্বস্ত বিহারগুলোর পুনর্নির্মাণের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। পাশাপাশি বিজিবিসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দেওয়া প্রায় ৩০ লাখ টাকায় তৈরি করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ৬০টি ঘরবাড়ি।
৯ জুন সকালে রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার ঘুরে দেখা গেছে, তিনতলা ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। এখন দেয়ালে প্রলেপ (প্লাস্টার) ও রঙের কাজ চলছে। সেনাসদস্যদের পাশাপাশি দৈনিক ১০০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করছেন।
প্রায় একই চিত্র দেখা গেল শ্রীকুল গ্রামের লাল চিং, সাদাচিং বৌদ্ধবিহারে। পাশের হাইটুপি বড় ক্যাংয়ের (রাখাইন বিহার) ওপরের রঙিন টিন দূর থেকে মানুষের নজর কাড়ছে। উত্তর মিঠাছড়ির পাহাড়ের চূড়ায় তৈরি ১০০ ফুট দীর্ঘ গৌতম বুদ্ধ সিংহশয্যা মূর্তি দেখতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ল।
রামু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ ঐক্য ও কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুণ বড়ুয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ইচ্ছায় আমরা নতুন বিহারগুলো পাচ্ছি। বৌদ্ধসম্প্রদায় নতুন বিহারগুলোকে শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ধরে নিচ্ছে।’
ভিক্ষু করুণাশ্রী মহাথের জানান, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে চার শতাধিক লোক পাহাড় চূড়ায় স্থাপিত এশিয়ার বৃহৎ ১০০ ফুট দীর্ঘ গৌতম বুদ্ধের মূর্তিটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। মূর্তির ভেতরে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে মূর্তিটি দুটি অংশে ফাটল ধরে এবং বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেনাবাহিনী এই মূর্তির পাশে তিনতলা বিহার নির্মাণের পাশাপাশি অন্যান্য স্থাপনাও তৈরি করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এতে আমরা খুশি। তবে বিহারের (পাহাড়ের) চারদিকে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হলে আমরা নিরাপদে ঘুমোতে পারতাম।’
হাইটুপি রাখাইন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উ থোয়াই চিং বলেন, ধ্বংসস্তূপের ওপর নতুন করে বিহারগুলো পুনর্নির্মাণ করায় রামু আগের সেই ঐতিহ্য ফিরে পাচ্ছে। কিন্তু হামলার মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ আস্থা ফিরে পাচ্ছে না।
বৌদ্ধবিহার নির্মাণকাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ১৭ ইসিবির (ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লে. কর্নেল ছিদ্দিক মো. জুলফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতের হামলায় বিধ্বস্ত রামু, উখিয়া ও পটিয়ার ১৯টি বৌদ্ধবিহার পুনর্নির্মাণের জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম করে ইতিমধ্যে ৯৫ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ করে ফেলেছেন। কয়েকটি বিহারের অবশিষ্ট কাজ কয়েক দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তারপর বিহারগুলো হস্তান্তর করা হবে। চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন বিহারের উদ্বোধন করতে পারেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের ৮ অক্টোবর শেখ হাসিনা রামু বৌদ্ধপল্লি পরিদর্শনে এসে বিধ্বস্ত বিহারগুলোর পুনর্নির্মাণের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। পাশাপাশি বিজিবিসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দেওয়া প্রায় ৩০ লাখ টাকায় তৈরি করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ৬০টি ঘরবাড়ি।
৯ জুন সকালে রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার ঘুরে দেখা গেছে, তিনতলা ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। এখন দেয়ালে প্রলেপ (প্লাস্টার) ও রঙের কাজ চলছে। সেনাসদস্যদের পাশাপাশি দৈনিক ১০০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করছেন।
প্রায় একই চিত্র দেখা গেল শ্রীকুল গ্রামের লাল চিং, সাদাচিং বৌদ্ধবিহারে। পাশের হাইটুপি বড় ক্যাংয়ের (রাখাইন বিহার) ওপরের রঙিন টিন দূর থেকে মানুষের নজর কাড়ছে। উত্তর মিঠাছড়ির পাহাড়ের চূড়ায় তৈরি ১০০ ফুট দীর্ঘ গৌতম বুদ্ধ সিংহশয্যা মূর্তি দেখতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ল।
রামু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ ঐক্য ও কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুণ বড়ুয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ইচ্ছায় আমরা নতুন বিহারগুলো পাচ্ছি। বৌদ্ধসম্প্রদায় নতুন বিহারগুলোকে শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ধরে নিচ্ছে।’
ভিক্ষু করুণাশ্রী মহাথের জানান, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে চার শতাধিক লোক পাহাড় চূড়ায় স্থাপিত এশিয়ার বৃহৎ ১০০ ফুট দীর্ঘ গৌতম বুদ্ধের মূর্তিটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। মূর্তির ভেতরে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে মূর্তিটি দুটি অংশে ফাটল ধরে এবং বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেনাবাহিনী এই মূর্তির পাশে তিনতলা বিহার নির্মাণের পাশাপাশি অন্যান্য স্থাপনাও তৈরি করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এতে আমরা খুশি। তবে বিহারের (পাহাড়ের) চারদিকে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হলে আমরা নিরাপদে ঘুমোতে পারতাম।’
হাইটুপি রাখাইন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উ থোয়াই চিং বলেন, ধ্বংসস্তূপের ওপর নতুন করে বিহারগুলো পুনর্নির্মাণ করায় রামু আগের সেই ঐতিহ্য ফিরে পাচ্ছে। কিন্তু হামলার মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ আস্থা ফিরে পাচ্ছে না।
No comments