দ. সুদানে ব্র্যাকের কর্মকর্তা খুন
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের একজন
বাংলাদেশি কর্মকর্তা দক্ষিণ সুদানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। গত
বুধবার এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই কর্মকর্তার নাম হাবিবুর রহমান (৪৫)। তাঁর
গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার নুরুন্দী ইউনিয়নের গণপাড়া এলাকায়।
ব্র্যাকের
আন্তর্জাতিক বিভাগের সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন কালের কণ্ঠকে জানান,
হাবিবুর রহমান প্রায় তিন বছর ধরে দক্ষিণ সুদানে ব্র্যাকের শিক্ষা
কার্যক্রমের ব্যবস্থাপক পদে কাজ করে আসছিলেন। তিনি ২২ বছর ধরে ব্র্যাকে
কর্মরত ছিলেন।
জালাল উদ্দিন জানান, বুধবার দক্ষিণ সুদানের যুবা এলাকা থেকে অফিসের কাজে ইয়েই নামের একটি স্থানে যাওয়ার পথে কয়েকজন লোক হাবিবুরের গাড়ির পথরোধ করে। তারা চালককে জোরপূর্বক নামিয়ে গাড়িসহ হাবিবুরকে নিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় পুলিশ একটি সড়কের পাশে হাবিবুরকে ছুরিকাহত অবস্থায় পায় এবং দ্রুত তাঁকে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রায় একই সময় ঘটনাস্থলের কাছ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।
জালাল উদ্দিন বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি যেন তাঁর মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা যায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ব্র্যাকের পক্ষ থেকে সাউথ সুদান কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।' আগামী মঙ্গলবার নাগাদ হাবিবুর রহমানের মরদেহ দেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে নিহত হাবিবুরের ছোট ভাই দেলোয়ার কালের কণ্ঠকে জানান, হাবিবুরের স্ত্রী সালমা বেগম শেরপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তাঁদের আট বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। দেলোয়ার আরো জানান, হাবিবুর সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে দেশে এসেছিলেন, আবার আগামী কোরবানির ঈদে তাঁর আসার কথা ছিল। তিনি বলেন, 'আমার বাবা অসুস্থ। ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ সহ্য করতে পারবেন না, তাই আমরা এখনো তাঁকে বিষয়টি জানাইনি।'
জালাল উদ্দিন জানান, বুধবার দক্ষিণ সুদানের যুবা এলাকা থেকে অফিসের কাজে ইয়েই নামের একটি স্থানে যাওয়ার পথে কয়েকজন লোক হাবিবুরের গাড়ির পথরোধ করে। তারা চালককে জোরপূর্বক নামিয়ে গাড়িসহ হাবিবুরকে নিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় পুলিশ একটি সড়কের পাশে হাবিবুরকে ছুরিকাহত অবস্থায় পায় এবং দ্রুত তাঁকে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রায় একই সময় ঘটনাস্থলের কাছ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।
জালাল উদ্দিন বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি যেন তাঁর মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা যায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ব্র্যাকের পক্ষ থেকে সাউথ সুদান কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।' আগামী মঙ্গলবার নাগাদ হাবিবুর রহমানের মরদেহ দেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে নিহত হাবিবুরের ছোট ভাই দেলোয়ার কালের কণ্ঠকে জানান, হাবিবুরের স্ত্রী সালমা বেগম শেরপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তাঁদের আট বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। দেলোয়ার আরো জানান, হাবিবুর সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে দেশে এসেছিলেন, আবার আগামী কোরবানির ঈদে তাঁর আসার কথা ছিল। তিনি বলেন, 'আমার বাবা অসুস্থ। ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ সহ্য করতে পারবেন না, তাই আমরা এখনো তাঁকে বিষয়টি জানাইনি।'
No comments