বিবাহিত না হলেও স্বামী-স্ত্রী
কোন অবিবাহিত তরুণ- তরুণী যৌনকর্মে লিপ্ত
হলে তাদেরকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গণ্য করা হবে। আর তারা যদি এরপর আলাদা
হতে চান তাহলে তাদেরকে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে হবে।
ভারতের
একটি আদালতের দেয়া রায়ে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের একজন
বিচারক তার রায়ে বলেছেন পরিণত বয়সের কোন তরুণ-তরুণী (পুরুষের জন্য ২১ বছর
এবং নারীর জন্য ১৮ বছর প্রযোজ্য) নিজেদের ইচ্ছায় যৌনকর্মে লিপ্ত হন তাহলে
সেটাকে ‘পূর্ণ সম্মতির বহিঃপ্রকাশ’ বলে বিবেচনা করা উচিত। আর আইনের
দৃষ্টিতে এটাকেই বিয়ে হিসেবে গণ্য করা উচিত। আদালত বলেছে বিয়ের নিবন্ধন এবং
বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে সামাজিক স্বীকৃতির জন্য আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এতে আরও
বলা হয়েছে একবার কোন যুগল যৌনকর্মে লিপ্ত হলে এর পরবর্তী সব ধরনের
পরিস্থিতির জন্য তারা প্রতিশ্রুতবদ্ধ বলে বিবেচিত হবেন। এমনকি পরবর্তীতে
তাদের দুজনের কেউ যদি অন্য কারো সঙ্গে থাকতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের বিবাহ
বিচ্ছেদের অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া, দুজনের একজন যদি বিয়ে নিবন্ধন করতে চান
তাহলে পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে সেটা তারা পেতে পারেন। একবার তাদের বিয়ের
বিষয়টি আদালতের অনুমোদন পেলে একজন অপরজনকে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে দাবি
করতে পারবেন। এতে অপরপক্ষ স্বীকার করুক বা না করুক। আদালতের রায়ে আরও বলা
হয়েছে সাধারণ ভাবে বিয়ে হলে দম্পতিরা যে আইনি অধিকার ভোগ করেন এভাবে বিয়ের
ক্ষেত্রেও দম্পতিরা একই আইনি অধিকার ভোগ করার সুযোগ পাবেন। স্ত্রীকে খোরপোষ
দেয়া সংক্রান্ত একটি মামলার রায়ে হাইকোর্ট এসব কথা বলেছে। এ সংক্রান্ত
মামলায় নিম্ন আদালতের এক রায়ে বলা হয়েছিল বিয়ের কোন প্রমাণ না থাকায় দুই
সন্তানের জননী তার স্বামীর কাছ থেকে কোন খোরপোষ পাবার উপযোগী নন। বিচারপতি
সি এস কারণান রায়ে বলেন, বিয়ের প্রমাণের চেয়ে এ দম্পতির জীবনযাপনের তথ্য
প্রমাণই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ মামলায় দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম সনদে বাবার
স্বাক্ষরের কারণেই তাকে স্বামী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বিচারপতি বলেছেন- তারা
দুজনেই একই ছাদের নিচে বৈবাহিক জীবনযাপন করেছেন এবং দুই সন্তানের জন্ম
দিয়েছেন। এরপর রায়ে ওই ব্যক্তিকে ওই নারী এবং দুই সন্তানের ভরণ পোষণের জন্য
প্রতি মাসে ৫০০ রুপি করে দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
No comments