মিস মিসিসিপি বাংলাদেশের পারমিতা by ইব্রাহিম চৌধুরী
‘মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতায় যাঁরা আমাকে
সমর্থন জানিয়েছেন, তাঁদের জানাচ্ছি কৃতজ্ঞতা। ফলাফল যা-ই হোক, প্রতিযোগিতার
মঞ্চ আমি উপভোগ করেছি দারুণভাবে।’
মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতার
পরদিন কথাগুলো বলেছেন পারমিতা মিত্র। ঢাকায় জন্ম নেওয়া পারমিতা ২০১৩ সালের
মিসিসিপি অঙ্গরাজ্য থেকে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সফল হয়ে মিস মিসিসিপির
মুকুট লাভ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রেও চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার দিনে পারমিতার
সঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে বাংলাদেশের নাম।
ঢাকা টু মিসিসিপি
পারমিতার বাবা ডা. অমল মিত্র। গ্রামের বাড়ি বরিশালে। ঢাকায় আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে চাকরিরত অবস্থায় পারমিতার জন্ম। পারমিতার এক বছর বয়সে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন তাঁরা। ১৯৯২ সালে আবার দেশেও ফিরে যান। পারমিতা মিত্রের বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন মিত্র পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী জীবন শুরু করে। মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের হ্যাটিসবার্গ এলাকায় তাঁদের বসবাস। হাইস্কুলে পড়ার সময়ই শিক্ষকদের নজরে পড়েন পারমিতা। স্কুলের বিতর্ক থেকে সাংস্কৃতিক নানা তৎপরতায় তাঁর প্রতিভার আভাস পান শিক্ষকেরা। পারমিতা বলেন, ‘পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষকের কাছ থেকেই প্রকৌশলবিজ্ঞানে পড়ালেখার প্রেরণা পেয়েছি।’
একমাত্র বড় ভাই অম্লান মিত্রও মহাকাশ নিয়ে সদা উৎসাহী, জানালেন পারমিতা। এভাবেই মহাকাশবিজ্ঞানে উৎসাহী হয়ে ওঠেন তিনি। মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের মেধাবী ছাত্রী পারমিতা হতে চান নভোচারী। মহাকাশযানে চেপে অনন্ত নক্ষত্রবীথি পরিভ্রমণই এখন তাঁর ইচ্ছা।
তৈলচিত্র, পিয়ানো বাজানো, ড্রাম বাজানোসহ নানা প্রতিভার অধিকারী পারমিতা। মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান প্যাসকুয়েল সিনেলা বলেন, ‘পারমিতা চৌকস, ভদ্র ও মেধাবী। পারমিতা নিজে মহাকাশবিজ্ঞানের বিষয়ে আগ্রহী। সে অন্যদেরও এতে উৎসাহিত করার কাজ করে যাচ্ছে।’
মহাকাশ প্রকৌশল বিষয়ের অধ্যাপক কিথ কোয়েং পারমিতা প্রসঙ্গে বলেন, পারমিতা দারুণ প্রাণবন্ত ও প্রতিভাধর। পারমিতার উপস্থিতি যেকোনো জায়গায় প্রাণের সঞ্চার করে।
পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার ২১ বছর বয়সী পারমিতা মিত্র এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন।
মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতির ফাঁকে বাংলাদেশ নিয়ে পারমিতা তাঁর আগ্রহের কথা জানান। পারমিতা চান, মহাকাশবিজ্ঞানে বাংলাদেশি আমেরিকানরা আরও উৎসাহী হয়ে উঠুক।
বাংলাদেশের মেয়ে
পারমিতার বাবা ডা. অমল মিত্র সাউদার্ন মিসিসিপি ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক। জানালেন, পারমিতা যুক্তরাষ্ট্রে বড় হলেও বাংলায় চমৎকার কথা বলতে পারেন। মাছ-ভাত শুধু খেতে নয়, রান্নায়ও পারদর্শী পারমিতা। পারমিতার মা রত্না মিত্রের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে। দূর প্রবাসে থাকলেও বাঙালি সংস্কৃতিকেই তিনি লালন করেন বুকের মধ্যে।
সুযোগ পেলেই বাংলাদেশে আসেন পারমিতা। গত বছর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে বাংলাদেশে কাজ করেছেন কিছুদিন। ঠোঁটকাটা রোগে আক্রান্ত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য সেবামূলক কাজে অংশ নিয়েছেন। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনের মানোন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছা পারমিতার।
ঢাকা টু মিসিসিপি
পারমিতার বাবা ডা. অমল মিত্র। গ্রামের বাড়ি বরিশালে। ঢাকায় আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে চাকরিরত অবস্থায় পারমিতার জন্ম। পারমিতার এক বছর বয়সে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন তাঁরা। ১৯৯২ সালে আবার দেশেও ফিরে যান। পারমিতা মিত্রের বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন মিত্র পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী জীবন শুরু করে। মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের হ্যাটিসবার্গ এলাকায় তাঁদের বসবাস। হাইস্কুলে পড়ার সময়ই শিক্ষকদের নজরে পড়েন পারমিতা। স্কুলের বিতর্ক থেকে সাংস্কৃতিক নানা তৎপরতায় তাঁর প্রতিভার আভাস পান শিক্ষকেরা। পারমিতা বলেন, ‘পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষকের কাছ থেকেই প্রকৌশলবিজ্ঞানে পড়ালেখার প্রেরণা পেয়েছি।’
একমাত্র বড় ভাই অম্লান মিত্রও মহাকাশ নিয়ে সদা উৎসাহী, জানালেন পারমিতা। এভাবেই মহাকাশবিজ্ঞানে উৎসাহী হয়ে ওঠেন তিনি। মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের মেধাবী ছাত্রী পারমিতা হতে চান নভোচারী। মহাকাশযানে চেপে অনন্ত নক্ষত্রবীথি পরিভ্রমণই এখন তাঁর ইচ্ছা।
তৈলচিত্র, পিয়ানো বাজানো, ড্রাম বাজানোসহ নানা প্রতিভার অধিকারী পারমিতা। মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান প্যাসকুয়েল সিনেলা বলেন, ‘পারমিতা চৌকস, ভদ্র ও মেধাবী। পারমিতা নিজে মহাকাশবিজ্ঞানের বিষয়ে আগ্রহী। সে অন্যদেরও এতে উৎসাহিত করার কাজ করে যাচ্ছে।’
মহাকাশ প্রকৌশল বিষয়ের অধ্যাপক কিথ কোয়েং পারমিতা প্রসঙ্গে বলেন, পারমিতা দারুণ প্রাণবন্ত ও প্রতিভাধর। পারমিতার উপস্থিতি যেকোনো জায়গায় প্রাণের সঞ্চার করে।
পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার ২১ বছর বয়সী পারমিতা মিত্র এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন।
মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতির ফাঁকে বাংলাদেশ নিয়ে পারমিতা তাঁর আগ্রহের কথা জানান। পারমিতা চান, মহাকাশবিজ্ঞানে বাংলাদেশি আমেরিকানরা আরও উৎসাহী হয়ে উঠুক।
বাংলাদেশের মেয়ে
পারমিতার বাবা ডা. অমল মিত্র সাউদার্ন মিসিসিপি ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক। জানালেন, পারমিতা যুক্তরাষ্ট্রে বড় হলেও বাংলায় চমৎকার কথা বলতে পারেন। মাছ-ভাত শুধু খেতে নয়, রান্নায়ও পারদর্শী পারমিতা। পারমিতার মা রত্না মিত্রের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে। দূর প্রবাসে থাকলেও বাঙালি সংস্কৃতিকেই তিনি লালন করেন বুকের মধ্যে।
সুযোগ পেলেই বাংলাদেশে আসেন পারমিতা। গত বছর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে বাংলাদেশে কাজ করেছেন কিছুদিন। ঠোঁটকাটা রোগে আক্রান্ত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য সেবামূলক কাজে অংশ নিয়েছেন। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনের মানোন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছা পারমিতার।
No comments