খালেদা জিয়ার উদ্দেশে শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক এলে আপনাকে আমাকে জেলে যেতে হবে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে দুই নেত্রীকেই জেলে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।
গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।
তিনি
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক
তত্ত্বাবধায়ক কইরেন না। ওটা করে আপনার লাভ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে
আপনাকেও জেলে যেতে হবে, আমাকেও জেলে যেতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে
নির্বাচন হবে না। রোজ কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র করবে।’
অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দিন ধরে জাতীয় সংসদের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
বিরোধীদলীয় নেতার উদ্দেশে শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচনে জিততে পারেন। আবার তত্ত্বাবধায়ক কেন?’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট নির্বাচন করবে এবং জনগণ জানে সময়মতো কাকে ভোট দিতে হবে। আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
খালেদা জিয়ার সিঙ্গাপুর সফর সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, এর আগে বিরোধীদলীয় নেতা সিঙ্গাপুর থেকে আসার পর শাপলা চত্বরে বসে যাওয়ার কথা বললেন এবং বায়তুল মোকাররম ও কোরআন শরিফে আগুন দেওয়া হলো। তিনি সেখানে যান আর ষড়যন্ত্র করে আসেন। এবার সেখান থেকে ফিরে দেশের ও মানুষের জন্য কোন ষড়যন্ত্র করেন, সেটাই দেখার বিষয়। জনগণকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, তাঁর দাদিকে নিয়ে ফরিদপুরে এক মসজিদের ইমাম প্রচারপত্র ছেড়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমার জন্ম এবং আমার বাপ, দাদা, দাদি—সবার জন্ম এই মাটিতে। ১৮৫৪ সালের দালানকোঠা আমাদের বাড়িতে রয়েছে। আসলে তাঁরা ভুলে গেছেন। যার কথা বলতে চেয়েছিলেন, তা ভুলে গেছেন।’ বিরোধীদলীয় নেতার বাবা ও জন্মপরিচয় নিয়ে পুনরায় প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আপনি আল্লামা, আল্লাহ নন। আমি চার কলেমা পড়ার পর নাস্তিক বলার আপনি কে? মানুষ হয়ে কীভাবে বিচার করেন? বিচার করবেন আল্লাহ।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির আনিসুর রহমান মল্লিক, সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি প্রমুখ।
অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দিন ধরে জাতীয় সংসদের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
বিরোধীদলীয় নেতার উদ্দেশে শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচনে জিততে পারেন। আবার তত্ত্বাবধায়ক কেন?’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট নির্বাচন করবে এবং জনগণ জানে সময়মতো কাকে ভোট দিতে হবে। আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
খালেদা জিয়ার সিঙ্গাপুর সফর সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, এর আগে বিরোধীদলীয় নেতা সিঙ্গাপুর থেকে আসার পর শাপলা চত্বরে বসে যাওয়ার কথা বললেন এবং বায়তুল মোকাররম ও কোরআন শরিফে আগুন দেওয়া হলো। তিনি সেখানে যান আর ষড়যন্ত্র করে আসেন। এবার সেখান থেকে ফিরে দেশের ও মানুষের জন্য কোন ষড়যন্ত্র করেন, সেটাই দেখার বিষয়। জনগণকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, তাঁর দাদিকে নিয়ে ফরিদপুরে এক মসজিদের ইমাম প্রচারপত্র ছেড়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমার জন্ম এবং আমার বাপ, দাদা, দাদি—সবার জন্ম এই মাটিতে। ১৮৫৪ সালের দালানকোঠা আমাদের বাড়িতে রয়েছে। আসলে তাঁরা ভুলে গেছেন। যার কথা বলতে চেয়েছিলেন, তা ভুলে গেছেন।’ বিরোধীদলীয় নেতার বাবা ও জন্মপরিচয় নিয়ে পুনরায় প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আপনি আল্লামা, আল্লাহ নন। আমি চার কলেমা পড়ার পর নাস্তিক বলার আপনি কে? মানুষ হয়ে কীভাবে বিচার করেন? বিচার করবেন আল্লাহ।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির আনিসুর রহমান মল্লিক, সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি প্রমুখ।
No comments